Ajker Patrika

ফি দিয়েও মেলে না সেবা

খান রফিক, বরিশাল
ফি দিয়েও মেলে না সেবা

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) ‘ছাত্রছাত্রী চিকিৎসাকেন্দ্র’ দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ওই সময়ে খণ্ডকালীন দুই চিকিৎসককেও বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসা খাতে সেশন চার্জ বাবদ তাঁরা ২০ টাকা করে ফি দিলেও করোনা শেষে চিকিৎসাকেন্দ্রের দরজা খোলেনি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার কারণে সেটি বন্ধ ছিল, তারা এখন চিকিৎসক খুঁজছে।

গতকাল বুধবার বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বড় করে ‘ছাত্র-ছাত্রী চিকিৎসা কেন্দ্র’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলছে। ভবনের নিচতলায় চিকিৎসাকেন্দ্রের দরজায় ঝুলছে তালা। লাইব্রেরি ভবনের আশপাশের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁরা চিকিৎসাকেন্দ্রে কোনো দিন ঢোকেননি। অনেকে আবার জানেনই না সেটি কোথায়। তাঁরা চিকিৎসা ফি দিলেও সেবা পাচ্ছেন না। এটা দুর্ভাগ্যজনক দাবি করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাহলে এত বছরের ওই টাকা গেল কোথায়?

চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন ড. মনীষা চক্রবর্তী। বাম সংগঠনের এই নেত্রী মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করেন, ‘২০১৫ সালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে আমাকে বিএম কলেজের প্রশাসন নিযুক্ত করে। বর্তমান অধ্যক্ষ ২০২০ সালে ডেকে চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান। শিক্ষক পরিষদও নাকি এই সিদ্ধান্তে একমত। কিন্তু এখনো চিকিৎসাকেন্দ্রের সাইনবোর্ড এবং আমার নামসংবলিত সাইনবোর্ডটি কলেজে ঝুলিয়ে রেখেছেন।’

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছাত্র-ছাত্রী চিকিৎসা কেন্দ্রে দুইজন চিকিৎসক ছিলেন। এঁরা হচ্ছেন ডা. দেলোয়ার এবং ডা. মনীষা। করোনাকালীন অর্থ বরাদ্দ না থাকায় না আসার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া ওই দুই চিকিৎসক তো সময়ও দিতেন না। অধ্যক্ষ বলেন, ‘এখন আমরা চিকিৎসক খুঁজছি। ডাক্তার পেলে ছাত্র-ছাত্রী চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হবে।’

তবে কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসা খাতে শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর ২০ টাকা করে ফি দিয়ে আসছে। বিএম কলেজে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী। তাহলে ফান্ড সংকট অযৌক্তিক। করোনার ঢেউ কেটে গেছে অনেক আগে। এখনো কেন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক চিকিৎসাও পাচ্ছে না।

বিএম কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার বলেন, চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে এমন মত শিক্ষক পরিষদ দেয়নি। তবে করোনাকালে ডাক্তার রেখেও লাভ কী ছিল। তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সবশেষ সভায় অতি দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর মতে, ডা. মনীষা রাজনীতি করায় তিন দিনও আসতেন না। ফান্ড না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা ২০ টাকা করে চিকিৎসা ফি দেয়। করোনার সময় হয়তো সেটা পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্কর

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

গতকাল রাতে ৪৮টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

অহনার দাবি, নিজের দোষ ঢাকতে ডাবল টাইমিংয়ের কথা বলেছেন শামীম

পাকিস্তানে হামলায় ভারত এক দিনেই হারিয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি রুপির সামরিক সরঞ্জাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত