Ajker Patrika

যশ-খ্যাতির জন্য কোরবানি নয়

ইজাজুল হক, ঢাকা
যশ-খ্যাতির জন্য কোরবানি নয়

কোরবানি শব্দটি ফারসি হলেও এর উৎস আরবি কুরব শব্দ। কুরব অর্থ নৈকট্য লাভ ও সন্তুষ্টি অর্জন। ঈদুল আজহার দিন পশু জবাই করার বিধানকে ইসলামে কোরবানি বলা হয়। কোরবানি হতে হয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কোরবানি শব্দেই সেদিকে ইঙ্গিত রয়েছে। দুনিয়ার যশ-খ্যাতির জন্য কোরবানি করলে আল্লাহ তা কবুল করেন না।

ইসলামের সব ইবাদতই ইখলাস তথা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করতে হয়। পার্থিব লোভ-লালসা, যশ-খ্যাতি কিংবা মানুষের প্রশংসা কুড়াতে ইবাদত করাকে রিয়া বলা হয়। রিয়া নিকৃষ্ট মন্দ অভ্যাস। একে হাদিসে ছোট শিরক বলা হয়েছে। রিয়ার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

রিয়া করে ইবাদত করলে তাতে কোনো সওয়াব নেই; বরং তা গুনাহের কারণ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক থেকে খুব ভয় করি।’ সাহাবিরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ছোট শিরক কী?’ তিনি বলেন, ‘তা হলো রিয়া বা লোকদেখানো ইবাদত। যেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের আমলের প্রতিদান দেবেন, সেদিন রিয়াকারীদের বলবেন—দুনিয়ায় যাদের দেখাতে আমল করেছ, তাদের কাছে যাও। দেখো তাদের থেকে কোনো প্রতিদান পাও কি না।’ (মুসনাদে আহমদ)

কেয়ামতের দিন যশ-খ্যাতি ও লৌকিকতার জন্য কোরবানিদাতা মানুষের অবস্থা হবে ভয়াবহ। এ ব্যাপারে একটি দীর্ঘ হাদিসের সারমর্ম হলো, কেয়ামতের দিন রিয়াকারী ব্যক্তিকে আল্লাহর দরবারে হাজির করে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হবে। এরপর তার যশ-খ্যাতির লোভের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (নাসায়ি) 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত