Ajker Patrika

বালুচরে সবুজের গালিচা, আলুর দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪১
বালুচরে সবুজের গালিচা, আলুর দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদীর চরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকা আলুগাছের সবুজে ঢাকা পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় রুপালি বালুচরে বিছানো সবুজের গালিচা। গত মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ায় এবারও আলু চাষে ঝুঁকেছেন উপজেলার অনেক কৃষক। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হলেও আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের চোখে-মুখে হাসি ফুটলেও ন্যায্য দাম পাবে কি না—শঙ্কায় আছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত মৌসুমে ১২৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার উপজেলায় ১৩০ হেক্টরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে কৃষকেরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলু বেশি চাষ করলেও আবাদের সময় বৃষ্টি হওয়ায় ৪০ হেক্টরে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে কৃষকেরা নতুন করে আবার আলু চাষ করেন। এ বছর উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি হেক্টরে ২১ থেকে ২২ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকেরা উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন।

মনোহরপুর গ্রামের আলুচাষি সুলতান মিয়া বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত হতে পারে। জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের মজুরি এবং উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায়, স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয় কম দামে। ফলে কৃষকের চেয়ে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।’

একই গ্রামের আলুচাষি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বাজারের আলুর দরের যে অবস্থা, চিন্তায় আছি। প্রতি কেজি আলুর বর্তমান দাম ১১ টাকা। এরপর প্রতিদিনই দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা উঠবে না। বরং লোকসান হবে।

উপজেলার অলুয়া গ্রামের আইনুল হক বলেন, চাষের শুরু থেকে আলু ওঠানো পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। যেসব কৃষক আগাম জাতের আলু চাষ করে প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রি করেছেন, তাঁরা লাভবান হয়েছেন। তখন বাজারে আলুর দাম বেশি ছিল। কিন্তু দিন দিন দাম কমে যাচ্ছে। কারণ আলুর উৎপাদন এবার ভালো হয়েছে। এখন যাঁরা আলু বিক্রি করছেন, তাঁদের খরচ উঠলেও কয়েক দিন পরে যাঁরা আলু বাজারে বিক্রি করবেন, তাঁরা লোকসানের পড়বে। তবে যাঁরা কোল্ডস্টোরে রাখার জন্য আলু চাষ করেছেন, তাদের সমস্যা নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘উপজেলায় চলিত মৌসুমে ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে এবং ভালো ফলনও হয়েছে। রোগবালাই কম। আগাম আলুতে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছেন। পরবর্তী সময়েও কৃষকেরা আলুর দাম পাবেন আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত