ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদীর চরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকা আলুগাছের সবুজে ঢাকা পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় রুপালি বালুচরে বিছানো সবুজের গালিচা। গত মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ায় এবারও আলু চাষে ঝুঁকেছেন উপজেলার অনেক কৃষক। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হলেও আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের চোখে-মুখে হাসি ফুটলেও ন্যায্য দাম পাবে কি না—শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত মৌসুমে ১২৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার উপজেলায় ১৩০ হেক্টরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে কৃষকেরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলু বেশি চাষ করলেও আবাদের সময় বৃষ্টি হওয়ায় ৪০ হেক্টরে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে কৃষকেরা নতুন করে আবার আলু চাষ করেন। এ বছর উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি হেক্টরে ২১ থেকে ২২ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকেরা উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন।
মনোহরপুর গ্রামের আলুচাষি সুলতান মিয়া বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত হতে পারে। জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের মজুরি এবং উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায়, স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয় কম দামে। ফলে কৃষকের চেয়ে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।’
একই গ্রামের আলুচাষি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বাজারের আলুর দরের যে অবস্থা, চিন্তায় আছি। প্রতি কেজি আলুর বর্তমান দাম ১১ টাকা। এরপর প্রতিদিনই দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা উঠবে না। বরং লোকসান হবে।
উপজেলার অলুয়া গ্রামের আইনুল হক বলেন, চাষের শুরু থেকে আলু ওঠানো পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। যেসব কৃষক আগাম জাতের আলু চাষ করে প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রি করেছেন, তাঁরা লাভবান হয়েছেন। তখন বাজারে আলুর দাম বেশি ছিল। কিন্তু দিন দিন দাম কমে যাচ্ছে। কারণ আলুর উৎপাদন এবার ভালো হয়েছে। এখন যাঁরা আলু বিক্রি করছেন, তাঁদের খরচ উঠলেও কয়েক দিন পরে যাঁরা আলু বাজারে বিক্রি করবেন, তাঁরা লোকসানের পড়বে। তবে যাঁরা কোল্ডস্টোরে রাখার জন্য আলু চাষ করেছেন, তাদের সমস্যা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘উপজেলায় চলিত মৌসুমে ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে এবং ভালো ফলনও হয়েছে। রোগবালাই কম। আগাম আলুতে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছেন। পরবর্তী সময়েও কৃষকেরা আলুর দাম পাবেন আশা করছি।’
ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদীর চরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকা আলুগাছের সবুজে ঢাকা পড়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় রুপালি বালুচরে বিছানো সবুজের গালিচা। গত মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ায় এবারও আলু চাষে ঝুঁকেছেন উপজেলার অনেক কৃষক। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হলেও আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের চোখে-মুখে হাসি ফুটলেও ন্যায্য দাম পাবে কি না—শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত মৌসুমে ১২৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার উপজেলায় ১৩০ হেক্টরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে কৃষকেরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলু বেশি চাষ করলেও আবাদের সময় বৃষ্টি হওয়ায় ৪০ হেক্টরে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে কৃষকেরা নতুন করে আবার আলু চাষ করেন। এ বছর উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি হেক্টরে ২১ থেকে ২২ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকেরা উচ্চফলনশীল ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন।
মনোহরপুর গ্রামের আলুচাষি সুলতান মিয়া বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত হতে পারে। জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের মজুরি এবং উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায়, স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয় কম দামে। ফলে কৃষকের চেয়ে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।’
একই গ্রামের আলুচাষি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বাজারের আলুর দরের যে অবস্থা, চিন্তায় আছি। প্রতি কেজি আলুর বর্তমান দাম ১১ টাকা। এরপর প্রতিদিনই দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা উঠবে না। বরং লোকসান হবে।
উপজেলার অলুয়া গ্রামের আইনুল হক বলেন, চাষের শুরু থেকে আলু ওঠানো পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। যেসব কৃষক আগাম জাতের আলু চাষ করে প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রি করেছেন, তাঁরা লাভবান হয়েছেন। তখন বাজারে আলুর দাম বেশি ছিল। কিন্তু দিন দিন দাম কমে যাচ্ছে। কারণ আলুর উৎপাদন এবার ভালো হয়েছে। এখন যাঁরা আলু বিক্রি করছেন, তাঁদের খরচ উঠলেও কয়েক দিন পরে যাঁরা আলু বাজারে বিক্রি করবেন, তাঁরা লোকসানের পড়বে। তবে যাঁরা কোল্ডস্টোরে রাখার জন্য আলু চাষ করেছেন, তাদের সমস্যা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘উপজেলায় চলিত মৌসুমে ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে এবং ভালো ফলনও হয়েছে। রোগবালাই কম। আগাম আলুতে কৃষকেরা ভালো দাম পেয়েছেন। পরবর্তী সময়েও কৃষকেরা আলুর দাম পাবেন আশা করছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪