Ajker Patrika

চারা রোপণেও বাড়তি খরচ

আতাউর রহমান, জয়পুরহাট 
চারা রোপণেও বাড়তি খরচ

শ্রাবণের শেষার্ধে দেখা মিলেছে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। তাই জয়পুরহাট জেলায় একযোগে আমনের চারা লাগানোর কাজ চলছে। কৃষকেরা বলছেন, একসঙ্গে জমি চাষ আর রোপণের কাজ শুরু হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে। তাঁরা নিজেদের চাহিদামতো জমি চাষ ও রোপণ করতে পারছেন না। তাঁদের নির্ভর করতে হচ্ছে ট্রাক্টর (মেসি) বা পাওয়ার টিলারের মালিক আর শ্রমিক দলের মর্জির ওপর। বেশি চাহিদা থাকায় শ্রমিকেরাও চারা রোপণের জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দাম নিচ্ছেন।

কৃষি বিভাগের দাবি, একযোগে পুরো জেলায় রোপা আমন রোপণ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের সংকটের বিষয়টি  নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। ধানের চারারও সংকট হবে না। কারণ, কিছু কিছু কৃষক চাহিদার চেয়েও বেশি পরিমাণে চারা উৎপাদন করে থাকেন। তাঁরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি চারাগুলো বিক্রি করে দেন।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আহাদ আলী জানান, ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সী ধানের চারা রোপণ করা ভালো। এ ধরনের ২ কেজি ধানের চারা দিয়ে দেড় থেকে দু বিঘা জমি রোপণ করা সম্ভব। কিন্তু এখন ধানের চারার বয়স হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ দিন। এই ধরনের বেশি বয়সী ২ কেজি ধানের চারা দিয়ে ৩৩ থেকে ৪০ শতকের বেশি জমি রোপণ করা যাবে না। চারার বয়স বেশি হওয়ায় তাঁকে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৪০০ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।

একই উপজেলার ধারকী গ্রামের বর্গাচাষি কৃষক সানোয়ার হোসেন বলেন,a নিজের চাহিদামতো জমি চাষ করার জন্য পাওয়ার টিলারের মালিককে বাজারের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। শ্রমিক দলের সিরিয়াল পেতে সময় লাগছে। বেশি টাকা দিলে আগে সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ২ বিঘা জমিতে মামুন আর ৬ বিঘা জমিতে বীণা-১৭ জাতের ধানের চারা লাগিয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, জয়পুরহাট জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম (পিপি) বলেন,  গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মজিবুর রহমান (শস্য) বলেন, একযোগে পুরো জেলায় রোপা আমন ধান রোপণ শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকটের বিষয়টি খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। আশা করা হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ জেলায় আমন ধানের চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত