Ajker Patrika

স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪২
স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। চলতি সপ্তাহেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। এ অবস্থাতেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে। জেলা শহরে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উপচেপড়া ভিড়েও স্বাস্থ্যবিধি পালনে ছিল উদাসীনতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলীতে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে চলছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। এই মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট এই মেলায় মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। মেলায় ঘুরতে আসা কিছু দর্শনার্থী ছাড়া অনেকেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন।

বিক্রেতাদেরও দেখা গেছে মাস্ক হাতে বা থুতনিতে রেখে বেচাকেনা করছেন। সরকার আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা বিশেষত মাস্ক পরার বিষয়ে মেলা আয়োজকও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিনই এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।

এদিকে গত শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার একজন মারা যান। ওই দিন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ৮ জনের শরীরে। পরদিন রোববার জেলায় আরও ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৮ জন। শনিবারে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এ বছরে প্রথম। সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণেও রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

কাউতলী বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী আশিষ দাস জানান, ইদানীং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার প্রকোপ বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। একই প্রতিক্রিয়া জানান মেলায় আগত দর্শনার্থী রুবেল মিয়া, আসলাম হোসেন। তাঁদের দাবি, কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মেলার এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা মাস্ক পরে থাকি। তবে মুখে মাস্ক রেখে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলতে পারি না। তাই মাস্ক খুলে রাখতে হয়।’

বাণিজ্য মেলা আয়োজকদের পক্ষে মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে যে অবস্থা, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আমাদের যখনই বলবে মেলা বন্ধ করতে, আমরা তখনই বন্ধ করে দেব।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার সম্প্রতি যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তাতে সাধারণের গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করছি। তবে বাণিজ্য মেলার বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। আইনগত যে ব্যবস্থা আছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী গ্রহণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত