নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
এবারের অমর একুশে বইমেলার শুরু থেকেই লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পাঠক-দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিল অনেকটাই কম। স্বাভাবিকভাবেই তাই বিক্রিও হয়েছে কম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে পাল্টে যায় সেই চিত্র। দল বেঁধে মানুষ এসেছে মেলায়—ফিরেছে চিরচেনা ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও।
ছুটির দিনের সকালটা যথারীতি বরাদ্দ ছিল কচিকাঁচাদের জন্য। এবারের মেলার দ্বিতীয় শিশুপ্রহর ছিল গতকাল। সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হতে থাকে শিশুরা। তাদের পদচারণ এবং কলতানে মুখর হয়ে উঠেছিল শিশু চত্বর। স্টলে স্টলে ঘুরে পছন্দের বই বেছে নিয়েছে তারা। পছন্দের বই কিনে না দেওয়ায় অভিমানে চোখের পানি ফেলতেও দেখা গেল কয়েকজনকে। সিসিমপুরের হালুম, ইকরি ও শিকুদের পরিবেশনা শিশুদের আনন্দে যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা।
প্রকাশকেরা জানালেন, খুদে পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভৌতিক গল্প, রূপকথা ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। এছাড়া পপআপ ও ডাই কাট বইয়ের প্রতিও বেশ আকর্ষণ রয়েছে তাদের।
প্রগতি পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী মালিহা আক্তার জানান, তাঁদের স্টলে ডাই কাট ও পপআপ বইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গ্রহ, নক্ষত্র, প্রথম চন্দ্রজয়ের মতো তথ্যমূলক গল্পছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বইগুলো। বিশেষ কায়দায় ছাপানো এবং বাঁধাই করা এসব বই ব্যতিক্রমী হওয়ায় শিশুদের টানছে বেশি। দাম কিছুটা বেশি হলেও বিক্রি হচ্ছে ভালো।
চার বছর বয়সী সামান্থা জোয়ারদার বইমেলায় এসেছিল মা ও পিসির সঙ্গে। অনেকগুলো বই কেনার পর তার চোখ পড়েছে পপআপ বইয়ের দিকে। বায়না এবার এসব বই কেনার। সামান্থার পিসি অনামিকা জোয়ারদার বললেন, যে স্টলে যে বই পছন্দ হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়া শুরু করছে সামান্থা। বাধ্য হয়ে তাই কিনেও দিতে হচ্ছে।
দুপুরের পর থেকে সব বয়সী পাঠক-দর্শনার্থীর সমাগম বাড়তে থাকে। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে বিভিন্ন স্টলে বই কিনতে দেখা গেছে পাঠকদের। পছন্দের লেখকদের অটোগ্রাফ এবং তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়েও আগ্রহের কমতি ছিল না বইপ্রেমীদের। সব মিলিয়ে ছুটির দিনের বইমেলা লেখক-পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। তরুণ কবি মিছিল খন্দকার বললেন, সময় যত গড়াচ্ছে মেলা তত জমছে। এটা সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, আশার খবর।
তবে মেলার স্টল বিন্যাসের কারণে কয়েক বছর ধরে একটি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বলে জানালেন শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন। তাঁর দাবি, নকশাগত কারণে মেলার একটি পাশে ভিড় হলেও অন্য পাশ পাঠকদের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তাই ওই অংশের স্টলগুলোতে পাঠকদের আনাগোনাও কম। তাই বিক্রিও হয় কম। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ২২০টি। মেলার মূলমঞ্চে ‘স্মরণ: গাজীউল হক ও সিকান্দার আবু জাফর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন আমিনুর রহমান সুলতান, আলফ্রেড খোকন ও তারেক রেজা।
আজও ছুটির দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুপ্রহর।
এবারের অমর একুশে বইমেলার শুরু থেকেই লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পাঠক-দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিল অনেকটাই কম। স্বাভাবিকভাবেই তাই বিক্রিও হয়েছে কম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে পাল্টে যায় সেই চিত্র। দল বেঁধে মানুষ এসেছে মেলায়—ফিরেছে চিরচেনা ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও।
ছুটির দিনের সকালটা যথারীতি বরাদ্দ ছিল কচিকাঁচাদের জন্য। এবারের মেলার দ্বিতীয় শিশুপ্রহর ছিল গতকাল। সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হতে থাকে শিশুরা। তাদের পদচারণ এবং কলতানে মুখর হয়ে উঠেছিল শিশু চত্বর। স্টলে স্টলে ঘুরে পছন্দের বই বেছে নিয়েছে তারা। পছন্দের বই কিনে না দেওয়ায় অভিমানে চোখের পানি ফেলতেও দেখা গেল কয়েকজনকে। সিসিমপুরের হালুম, ইকরি ও শিকুদের পরিবেশনা শিশুদের আনন্দে যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা।
প্রকাশকেরা জানালেন, খুদে পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভৌতিক গল্প, রূপকথা ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। এছাড়া পপআপ ও ডাই কাট বইয়ের প্রতিও বেশ আকর্ষণ রয়েছে তাদের।
প্রগতি পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী মালিহা আক্তার জানান, তাঁদের স্টলে ডাই কাট ও পপআপ বইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গ্রহ, নক্ষত্র, প্রথম চন্দ্রজয়ের মতো তথ্যমূলক গল্পছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বইগুলো। বিশেষ কায়দায় ছাপানো এবং বাঁধাই করা এসব বই ব্যতিক্রমী হওয়ায় শিশুদের টানছে বেশি। দাম কিছুটা বেশি হলেও বিক্রি হচ্ছে ভালো।
চার বছর বয়সী সামান্থা জোয়ারদার বইমেলায় এসেছিল মা ও পিসির সঙ্গে। অনেকগুলো বই কেনার পর তার চোখ পড়েছে পপআপ বইয়ের দিকে। বায়না এবার এসব বই কেনার। সামান্থার পিসি অনামিকা জোয়ারদার বললেন, যে স্টলে যে বই পছন্দ হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়া শুরু করছে সামান্থা। বাধ্য হয়ে তাই কিনেও দিতে হচ্ছে।
দুপুরের পর থেকে সব বয়সী পাঠক-দর্শনার্থীর সমাগম বাড়তে থাকে। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে বিভিন্ন স্টলে বই কিনতে দেখা গেছে পাঠকদের। পছন্দের লেখকদের অটোগ্রাফ এবং তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়েও আগ্রহের কমতি ছিল না বইপ্রেমীদের। সব মিলিয়ে ছুটির দিনের বইমেলা লেখক-পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। তরুণ কবি মিছিল খন্দকার বললেন, সময় যত গড়াচ্ছে মেলা তত জমছে। এটা সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, আশার খবর।
তবে মেলার স্টল বিন্যাসের কারণে কয়েক বছর ধরে একটি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বলে জানালেন শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন। তাঁর দাবি, নকশাগত কারণে মেলার একটি পাশে ভিড় হলেও অন্য পাশ পাঠকদের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তাই ওই অংশের স্টলগুলোতে পাঠকদের আনাগোনাও কম। তাই বিক্রিও হয় কম। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ২২০টি। মেলার মূলমঞ্চে ‘স্মরণ: গাজীউল হক ও সিকান্দার আবু জাফর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন আমিনুর রহমান সুলতান, আলফ্রেড খোকন ও তারেক রেজা।
আজও ছুটির দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুপ্রহর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪