Ajker Patrika

ছুটির দিনে ফের চিরচেনা ভিড়

নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২২, ১৩: ৫৪
ছুটির দিনে ফের চিরচেনা ভিড়

এবারের অমর একুশে বইমেলার শুরু থেকেই লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পাঠক-দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিল অনেকটাই কম। স্বাভাবিকভাবেই তাই বিক্রিও হয়েছে কম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে পাল্টে যায় সেই চিত্র। দল বেঁধে মানুষ এসেছে মেলায়—ফিরেছে চিরচেনা ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও।

ছুটির দিনের সকালটা যথারীতি বরাদ্দ ছিল কচিকাঁচাদের জন্য। এবারের মেলার দ্বিতীয় শিশুপ্রহর ছিল গতকাল। সকাল থেকেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হতে থাকে শিশুরা। তাদের পদচারণ এবং কলতানে মুখর হয়ে উঠেছিল শিশু চত্বর। স্টলে স্টলে ঘুরে পছন্দের বই বেছে নিয়েছে তারা। পছন্দের বই কিনে না দেওয়ায় অভিমানে চোখের পানি ফেলতেও দেখা গেল কয়েকজনকে। সিসিমপুরের হালুম, ইকরি ও শিকুদের পরিবেশনা শিশুদের আনন্দে যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা।

প্রকাশকেরা জানালেন, খুদে পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভৌতিক গল্প, রূপকথা ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। এছাড়া পপআপ ও ডাই কাট বইয়ের প্রতিও বেশ আকর্ষণ রয়েছে তাদের।

প্রগতি পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী মালিহা আক্তার জানান, তাঁদের স্টলে ডাই কাট ও পপআপ বইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গ্রহ, নক্ষত্র, প্রথম চন্দ্রজয়ের মতো তথ্যমূলক গল্পছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বইগুলো। বিশেষ কায়দায় ছাপানো এবং বাঁধাই করা এসব বই ব্যতিক্রমী হওয়ায় শিশুদের টানছে বেশি। দাম কিছুটা বেশি হলেও বিক্রি হচ্ছে ভালো।

চার বছর বয়সী সামান্থা জোয়ারদার বইমেলায় এসেছিল মা ও পিসির সঙ্গে। অনেকগুলো বই কেনার পর তার চোখ পড়েছে পপআপ বইয়ের দিকে। বায়না এবার এসব বই কেনার। সামান্থার পিসি অনামিকা জোয়ারদার বললেন, যে স্টলে যে বই পছন্দ হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়া শুরু করছে সামান্থা। বাধ্য হয়ে তাই কিনেও দিতে হচ্ছে।

দুপুরের পর থেকে সব বয়সী পাঠক-দর্শনার্থীর সমাগম বাড়তে থাকে। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে বিভিন্ন স্টলে বই কিনতে দেখা গেছে পাঠকদের। পছন্দের লেখকদের অটোগ্রাফ এবং তাঁদের সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়েও আগ্রহের কমতি ছিল না বইপ্রেমীদের। সব মিলিয়ে ছুটির দিনের বইমেলা লেখক-পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। তরুণ কবি মিছিল খন্দকার বললেন, সময় যত গড়াচ্ছে মেলা তত জমছে। এটা সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, আশার খবর।

তবে মেলার স্টল বিন্যাসের কারণে কয়েক বছর ধরে একটি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে বলে জানালেন শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন। তাঁর দাবি, নকশাগত কারণে মেলার একটি পাশে ভিড় হলেও অন্য পাশ পাঠকদের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তাই ওই অংশের স্টলগুলোতে পাঠকদের আনাগোনাও কম। তাই বিক্রিও হয় কম। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।

গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ২২০টি। মেলার মূলমঞ্চে ‘স্মরণ: গাজীউল হক ও সিকান্‌দার আবু জাফর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন আমিনুর রহমান সুলতান, আলফ্রেড খোকন ও তারেক রেজা।

আজও ছুটির দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে শিশুপ্রহর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত