নওগাঁ প্রতিনিধি
ধান কাটা ও মাড়াই শেষে প্রয়োজনের তাগিদে বা দেনা-পাওনা মেটাতে আগেই ধান বিক্রি করে দেন অনেক কৃষক। তবে ভালো দামের আশায় অনেক কৃষক মৌসুমের শেষ সময় পর্যন্ত ধান মজুত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান বিক্রি করতে হয়েছে তাঁদের। তাই অধিকাংশ কৃষকের ঘরে এখন ধান নেই। এ জন্য হাটেও কমেছে সরবরাহ। হঠাৎ বেড়েছে ধানের দাম। আর ধানের ঊর্ধ্বমুখী দর দেখে কৃষকদের মুখ মলিন।
গত বুধবার নওগাঁর বৃহত্তর ধানের হাট রাণীনগরের আবাদ পুকুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে ধান কেনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মিলারদের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা এসেছেন। কিন্তু হাটে ধানের সরবরাহ কম। এতে বাড়তি দামে হলেও প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য হু হু করে বাড়ছে দাম।
হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন প্রতি মণ জিরা ধান ১ হাজার ৬৮০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৫-২০ দিন আগেও ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সম্পা কাটারি ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৪০ থেকে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়। অথচ কয়েক দিন আগেও এই ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়।
কৃষকেরা বলছেন, গত বোরো মৌসুমে ঝোড়ো বাতাস ও অতিবৃষ্টির ফলে ঠিকমতো ধান ঘরে তুলতে পারেননি অনেকে। এর আগে ধান চাষ করতে অনেককে ঋণ নিতে হয়েছে। কোনো কোনো কৃষক দোকান থেকে বাকিতে সার ও কীটনাশক কিনেছেন। এ জন্য আগেভাগেই ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা। এখন চাষিদের গোলা অনেকটাই শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বাজারে ধানের দাম বাড়লেও চাষিদের লাভ কিছুই হয়নি।
রাণীনগরের কৃষক গোলাম মস্তফা বলেন, ‘যে সময় ধান বিক্রি করেছি, সে সময় বর্তমান বাজারের মতো দাম ছিল না। এখন বাজারে চড়া দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, অথচ আমাদের ঘরে আর ধান নেই।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে ১০ মণ ধান হাটে নিয়ে এসে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। তাঁর ঘরে আর মজুত করা ধান নেই। যদি কিছু ধান রাখতে পারতেন, তাহলে লাভবান হতেন।
এ বিষয়ে আবাদ পুকুর হাটের আড়তদার শাহজাহান বলেন, হাটে এক হাজার মণ ধান কেনার চাহিদা ছিল, কিন্তু বাজারে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় মাত্র ৫০০ মণ ধান কিনতে পেরেছেন তিনি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে।
আবাদপুকুর ধান-চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দীন মণ্ডল জানান, প্রতিবছর এই সময় হাটে ৭ থেকে ৮ হাজার মণ ধানের সরবরাহ হতো। কিন্তু কৃষকেরা বৈরী আবহাওয়া কারণে ও দেনা মেটাতে আগেভাগেই ধান বিক্রি করেছেন। ফলে মোকামে ধানের চাহিদা থাকলেও বাজারে ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেলকন গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু ওয়াহিদ হোসেন আলাল বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ধানের দামও বেড়েছে। হাটে গিয়ে চাহিদামতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এর প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শুরু থেকেই এবার বাজারে ধানের দাম চড়া ছিল। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এখন বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই মিলারদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা বাড়ায় বোরো ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে; যে কারণে চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।
ধান কাটা ও মাড়াই শেষে প্রয়োজনের তাগিদে বা দেনা-পাওনা মেটাতে আগেই ধান বিক্রি করে দেন অনেক কৃষক। তবে ভালো দামের আশায় অনেক কৃষক মৌসুমের শেষ সময় পর্যন্ত ধান মজুত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান বিক্রি করতে হয়েছে তাঁদের। তাই অধিকাংশ কৃষকের ঘরে এখন ধান নেই। এ জন্য হাটেও কমেছে সরবরাহ। হঠাৎ বেড়েছে ধানের দাম। আর ধানের ঊর্ধ্বমুখী দর দেখে কৃষকদের মুখ মলিন।
গত বুধবার নওগাঁর বৃহত্তর ধানের হাট রাণীনগরের আবাদ পুকুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে ধান কেনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মিলারদের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা এসেছেন। কিন্তু হাটে ধানের সরবরাহ কম। এতে বাড়তি দামে হলেও প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য হু হু করে বাড়ছে দাম।
হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন প্রতি মণ জিরা ধান ১ হাজার ৬৮০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৫-২০ দিন আগেও ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সম্পা কাটারি ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৪০ থেকে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়। অথচ কয়েক দিন আগেও এই ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়।
কৃষকেরা বলছেন, গত বোরো মৌসুমে ঝোড়ো বাতাস ও অতিবৃষ্টির ফলে ঠিকমতো ধান ঘরে তুলতে পারেননি অনেকে। এর আগে ধান চাষ করতে অনেককে ঋণ নিতে হয়েছে। কোনো কোনো কৃষক দোকান থেকে বাকিতে সার ও কীটনাশক কিনেছেন। এ জন্য আগেভাগেই ধান বিক্রি করেছেন তাঁরা। এখন চাষিদের গোলা অনেকটাই শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বাজারে ধানের দাম বাড়লেও চাষিদের লাভ কিছুই হয়নি।
রাণীনগরের কৃষক গোলাম মস্তফা বলেন, ‘যে সময় ধান বিক্রি করেছি, সে সময় বর্তমান বাজারের মতো দাম ছিল না। এখন বাজারে চড়া দামে ধান বিক্রি হচ্ছে, অথচ আমাদের ঘরে আর ধান নেই।’ তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে ১০ মণ ধান হাটে নিয়ে এসে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। তাঁর ঘরে আর মজুত করা ধান নেই। যদি কিছু ধান রাখতে পারতেন, তাহলে লাভবান হতেন।
এ বিষয়ে আবাদ পুকুর হাটের আড়তদার শাহজাহান বলেন, হাটে এক হাজার মণ ধান কেনার চাহিদা ছিল, কিন্তু বাজারে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় মাত্র ৫০০ মণ ধান কিনতে পেরেছেন তিনি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে।
আবাদপুকুর ধান-চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দীন মণ্ডল জানান, প্রতিবছর এই সময় হাটে ৭ থেকে ৮ হাজার মণ ধানের সরবরাহ হতো। কিন্তু কৃষকেরা বৈরী আবহাওয়া কারণে ও দেনা মেটাতে আগেভাগেই ধান বিক্রি করেছেন। ফলে মোকামে ধানের চাহিদা থাকলেও বাজারে ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেলকন গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু ওয়াহিদ হোসেন আলাল বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ধানের দামও বেড়েছে। হাটে গিয়ে চাহিদামতো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এর প্রভাব চালের বাজারে পড়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শুরু থেকেই এবার বাজারে ধানের দাম চড়া ছিল। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এখন বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই মিলারদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা বাড়ায় বোরো ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে; যে কারণে চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫