Ajker Patrika

উপকারভোগীর কাছে পৌঁছায়নি টিসিবির কার্ড

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১২: ৪৫
উপকারভোগীর কাছে পৌঁছায়নি টিসিবির কার্ড

চারঘাট উপজেলায় কার্ডের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। উপজেলার ১০ হাজার ৫৫৭টি পরিবার পাবে এই কার্ড। আজ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল সোমবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো উপকারভোগীর কাছে কার্ড পৌঁছায়নি। ফলে নির্ধারিত দিনে টিসিবির পণ্য পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিকে টিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কার্ড ছাড়া তারা পণ্য বিক্রি করবে না। ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা বা ভোটার ছাড়া কার্ড দিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা। এতে অনেক দরিদ্র পরিবার কার্ড পাচ্ছে না। এ ছাড়া দরিদ্র পরিবারের তুলনায় কার্ডও কম। ফলে অনেক পরিবার টিসিবির স্বল্পমূল্যের পণ্য থেকে বঞ্চিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কার্ডের পাশাপাশি খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হবে, চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। প্রথম ধাপে কার্ডধারীরা প্রত্যেকে ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল এবং ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল পাবেন। চারঘাট উপজেলায় চারজন ডিলার থাকবেন।

টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপের প্রতিটি পণ্য চলে এসেছে। ডিলারদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা যাবে। পণ্য বিক্রি ও ডিলার নিয়োগের দায়িত্ব টিসিবির। তালিকা তৈরি ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব উপজেলার সংশ্লিষ্ট কমিটির। এ জন্য কার্ড বিতরণ দেরি হলেও পণ্য বিক্রি কার্যক্রমও পিছিয়ে যেতে পারে।

তবে নির্ধারিত সময়ের আগে টিসিবির কার্ড হাতে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।

চারঘাট পৌরসভার বাসিন্দা মতিউর রহমান গতকাল বলেন, ‘টিসিবির পণ্য ১০ মার্চ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে সময় বাড়িয়ে ১৫ মার্চ করা হয়। আজ ১৪ মার্চ। কার্ড হাতে পাইনি। সত্যিই টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে কি না বুঝতেছি না।’

টিসিবির তালিকার বিষয়ে নাগরিক সমাজের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিদের তালিকা নিয়ে সব সময়ই প্রশ্ন তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত অসহায় ও দরিদ্ররা বাদ পড়ে যান। এ ছাড়া দরিদ্র পরিবারের তুলনায় কার্ড কম। এ জন্য কার্ডধারীদের পাশাপাশি খোলা ট্রাকে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও বেশি করে পণ্য বিক্রি করা প্রয়োজন।

চারঘাটের টিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পণ্য বিক্রির বরাদ্দ পেয়ে গেছি। এখন প্রশাসনের নির্দেশনা পেলে বিক্রি শুরু হবে। তবে কার্ড ছাড়া কোনো পণ্য আমরা বিক্রি করতে পারব না।’

টিসিবির কার্ডের বিষয়ে চারঘাট পৌর সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা উপকারভোগীদের কার্ড হাতে পেয়েছি। কীভাবে বিতরণ করব, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। পণ্য বিক্রি শুরুর আগেই খুব কম সময়ে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত