রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
ঐচ্ছিক অনুশীলনে গতকাল দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমি মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে নেটে বেশ সময় নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল ব্যাটিং, কোচিং আর টিম ডিরেক্টরকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে অনুশীলনে যাওয়ার পথে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছিলেন, তাঁদের চাই সাহসী ক্রিকেটার। দল থেকে বাদ পড়ার ভয় নিয়ে খেলবেন, এমন খেলোয়াড় একাদশে রাখার পক্ষে নন তাঁরা। সে কারণেই কি মিরাজকে বিশেষ সময় দেওয়া?
মিরাজ সাহসী আর ইতিবাচক ক্রিকেটার। দলের প্রয়োজনে ওপেনিং থেকে নিচে—সব পজিশনেই ব্যাটিং করতে পারেন। তীব্র চাপ সামলাতেও তিনি অভ্যস্ত। ‘সাহসী’ ক্রিকেটারের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট আজ একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনতে চাইছে। সে লক্ষ্যে মিরাজের একাদশে জায়গা পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এটা নিশ্চিত টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ হতাশ মোহাম্মদ নাঈম আর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে। আজ উদ্বোধনী জুটিতে তাই পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বেশি।
নতুন অধিনায়ক আর নতুন কোচের অধীনে বাংলাদেশ নতুন একটা শুরু করতে চেয়েছিল এই এশিয়া কাপে।
গত পরশু শারজায় আফগানদের বিপক্ষে দেখা গেল সেই পুরোনো ধাঁচের ব্যাটিং। যেটি দেখে যারপরনাই বিরক্ত আর হতাশ বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। গতকাল যথারীতি আবারও টিম হোটেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বসেছিলেন দলের সঙ্গে। খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিবির নীতিনির্ধারকদের পরিষ্কার বার্তা, খেলতে নেমে মনে কোনো ভয় কিংবা দ্বিধা রাখলে চলবে না। জায়গা ধরে রাখতে স্বার্থপর ক্রিকেট খেলা যাবে না। টানা ডট বল খেলে চাপ বাড়ানোর ব্যাটিং কিছুতেই আর গ্রহণযোগ্য হবে না। বর্তমান সময়ের টি-টোয়েন্টিতে ভালো স্কোর গড়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে, কাজে লাগাতে হবে পাওয়ার-প্লে। উইকেট যদি চলেও যায়, বৃত্তের মধ্যে অধিকাংশ ফিল্ডার থাকার সুযোগে ধুমধাড়াক্কা চালিয়ে যেতে হবে। সবাইকে গেম প্ল্যান কিংবা বার্তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হয় মারতে হবে, না হয় মরতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে টুকটুক ব্যাটিং ‘অপরাধে’র পর্যায়ে পড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই বার্তা অনুযায়ী খেললেই হয়। একই ভুল করলে বাংলাদেশের টুর্নামেন্টই শেষ। কারণ, দুই দলই আছে একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে। পরের রাউন্ডে যেতে হলে আজ জিততেই হবে। বাঁচা-মরার এই ম্যাচকে তীব্র চাপের ম্যাচ বলছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর মনে করেন, ‘যে এই চাপ নিতে পারবে, তারাই জিতবে, আগামীকাল (আজ) স্নায়ুর পরীক্ষা হবে। টেকনিক, ট্যাকটিকস নয়, এটা চাপের খেলা। গতকাল মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে। যে দল চাপ নিয়ে খেলতে পারবে, তাদের সম্ভাবনা বেশি।’ সুজনের কথার সঙ্গে একমত সংবাদ সম্মেলনে আসা শ্রীলঙ্কার স্পিন কোচ পিয়াল বিজেতুঙ্গেও।
শারজার মন্থর ও নিচু উইকেটে কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান আর মুজিব-উর-রহমান। দুবাইয়ের উইকেট ঠিক তেমন হবে না বলেই মনে করেন সুজন। দুবাইয়ের উইকেটে জিততে হলে তাঁর সহজ রেসিপি—ভালো একটা শুরু চাই, পাওয়ার-প্লে কাজে লাগানো আর প্রথম ব্যাটিং করলে ১৫০–১৬০ রানের স্কোর গড়া। পরে ব্যাটিং করলে প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানের নিচে আটকে ফেলা।
তবে লঙ্কান দলেও একজন দুর্দান্ত লেগ স্পিনার আছেন, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। হাসারাঙ্গা যতই ভালো মানের রিস্ট স্পিনার হোন না কেন, বাংলাদেশ অবশ্য তাঁকে রশিদ-মুজিবের কাতারে ফেলতে রাজি নয়। আর গত কয়েক বছরে তিন সংস্করণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার লড়াইটা প্রায় সমান সমানই হচ্ছে।
অবশ্য ম্যাচের আগে যত ক্রিকেটিং টেকনিকের কথাই বলা হোক, আজকের ম্যাচ জিততে হলে খেলতে হবে মাথা দিয়ে। সুজন ঠিকই বলেছেন, চাপ যারা নিতে পারবে, তারাই জিতবে।
ঐচ্ছিক অনুশীলনে গতকাল দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমি মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে নেটে বেশ সময় নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল ব্যাটিং, কোচিং আর টিম ডিরেক্টরকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে অনুশীলনে যাওয়ার পথে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছিলেন, তাঁদের চাই সাহসী ক্রিকেটার। দল থেকে বাদ পড়ার ভয় নিয়ে খেলবেন, এমন খেলোয়াড় একাদশে রাখার পক্ষে নন তাঁরা। সে কারণেই কি মিরাজকে বিশেষ সময় দেওয়া?
মিরাজ সাহসী আর ইতিবাচক ক্রিকেটার। দলের প্রয়োজনে ওপেনিং থেকে নিচে—সব পজিশনেই ব্যাটিং করতে পারেন। তীব্র চাপ সামলাতেও তিনি অভ্যস্ত। ‘সাহসী’ ক্রিকেটারের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট আজ একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনতে চাইছে। সে লক্ষ্যে মিরাজের একাদশে জায়গা পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এটা নিশ্চিত টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ হতাশ মোহাম্মদ নাঈম আর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে। আজ উদ্বোধনী জুটিতে তাই পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বেশি।
নতুন অধিনায়ক আর নতুন কোচের অধীনে বাংলাদেশ নতুন একটা শুরু করতে চেয়েছিল এই এশিয়া কাপে।
গত পরশু শারজায় আফগানদের বিপক্ষে দেখা গেল সেই পুরোনো ধাঁচের ব্যাটিং। যেটি দেখে যারপরনাই বিরক্ত আর হতাশ বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। গতকাল যথারীতি আবারও টিম হোটেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বসেছিলেন দলের সঙ্গে। খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিবির নীতিনির্ধারকদের পরিষ্কার বার্তা, খেলতে নেমে মনে কোনো ভয় কিংবা দ্বিধা রাখলে চলবে না। জায়গা ধরে রাখতে স্বার্থপর ক্রিকেট খেলা যাবে না। টানা ডট বল খেলে চাপ বাড়ানোর ব্যাটিং কিছুতেই আর গ্রহণযোগ্য হবে না। বর্তমান সময়ের টি-টোয়েন্টিতে ভালো স্কোর গড়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে, কাজে লাগাতে হবে পাওয়ার-প্লে। উইকেট যদি চলেও যায়, বৃত্তের মধ্যে অধিকাংশ ফিল্ডার থাকার সুযোগে ধুমধাড়াক্কা চালিয়ে যেতে হবে। সবাইকে গেম প্ল্যান কিংবা বার্তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হয় মারতে হবে, না হয় মরতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে টুকটুক ব্যাটিং ‘অপরাধে’র পর্যায়ে পড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই বার্তা অনুযায়ী খেললেই হয়। একই ভুল করলে বাংলাদেশের টুর্নামেন্টই শেষ। কারণ, দুই দলই আছে একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে। পরের রাউন্ডে যেতে হলে আজ জিততেই হবে। বাঁচা-মরার এই ম্যাচকে তীব্র চাপের ম্যাচ বলছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর মনে করেন, ‘যে এই চাপ নিতে পারবে, তারাই জিতবে, আগামীকাল (আজ) স্নায়ুর পরীক্ষা হবে। টেকনিক, ট্যাকটিকস নয়, এটা চাপের খেলা। গতকাল মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে। যে দল চাপ নিয়ে খেলতে পারবে, তাদের সম্ভাবনা বেশি।’ সুজনের কথার সঙ্গে একমত সংবাদ সম্মেলনে আসা শ্রীলঙ্কার স্পিন কোচ পিয়াল বিজেতুঙ্গেও।
শারজার মন্থর ও নিচু উইকেটে কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান আর মুজিব-উর-রহমান। দুবাইয়ের উইকেট ঠিক তেমন হবে না বলেই মনে করেন সুজন। দুবাইয়ের উইকেটে জিততে হলে তাঁর সহজ রেসিপি—ভালো একটা শুরু চাই, পাওয়ার-প্লে কাজে লাগানো আর প্রথম ব্যাটিং করলে ১৫০–১৬০ রানের স্কোর গড়া। পরে ব্যাটিং করলে প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানের নিচে আটকে ফেলা।
তবে লঙ্কান দলেও একজন দুর্দান্ত লেগ স্পিনার আছেন, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। হাসারাঙ্গা যতই ভালো মানের রিস্ট স্পিনার হোন না কেন, বাংলাদেশ অবশ্য তাঁকে রশিদ-মুজিবের কাতারে ফেলতে রাজি নয়। আর গত কয়েক বছরে তিন সংস্করণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার লড়াইটা প্রায় সমান সমানই হচ্ছে।
অবশ্য ম্যাচের আগে যত ক্রিকেটিং টেকনিকের কথাই বলা হোক, আজকের ম্যাচ জিততে হলে খেলতে হবে মাথা দিয়ে। সুজন ঠিকই বলেছেন, চাপ যারা নিতে পারবে, তারাই জিতবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪