Ajker Patrika

ভ্যাপসা গরমেও জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ভ্যাপসা গরমেও জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

কয়েক দিন ধরে কাঠফাটা রোদ, সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। তবে অসহ্য এ গরম ঈদের কেনাকাটার কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না। কারণ, পবিত্র ঈদুল ফিতর যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে। রোদ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বড় বড় বাজারে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে ছুটছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে। ক্রেতাদের সরগরমে উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড় ও বিবিরহাট বাজারে বেড়েছে যানজট। 
উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট, নানুপুর, ভূজপুর ও আজাদী বাজার এলাকার বিপণিবিতানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ক্রেতাদের প্রচণ্ড মানুষের ভিড়। পছন্দের শাড়ি বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী নারীরা।

তরুণীরা পছন্দের সালোয়ার-কামিজের জন্য ভিড় করছেন উপজেলা সদরের এম এম প্লাজা ও হকার্স মার্কেটে। এম এম প্লাজায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা তরুণীরা জানান, বেশির ভাগ দোকানে থ্রি-পিসের দাম চাওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। দামাদামি করতে করতে শেষ পর্যন্ত কম দামেই কেনা যাচ্ছে। দামাদামি করতে না পারলে, ঠকার সম্ভাবনাই বেশি। এবার তরুণীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে সারারা, গারারা, লেহেঙ্গা ও কাঁচা বাদাম। 
নাজিরহাট বাজারের এস এ সিটি সেন্টারে দেখা গেছে, দোকানের ঠিক সামনেই সারিবদ্ধভাবে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি লেহেঙ্গা। কজন তরুণী তা নাড়াচাড়া করে দেখছেন। একটি লেহেঙ্গার দাম লেখা ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

দোকানি মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, ‘পোশাকটির দাম লেখার পরও দামাদামি করে কেনা যাবে।’ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শারারা ও গারারা নামের লেহেঙ্গার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই লেহেঙ্গার মধ্যে আবার থ্রি-পিস, ফোর-পিস ও ফাইভ-পিস রয়েছে। তবে এসব লেহেঙ্গার নির্দিষ্ট কোনো দাম নেই। একেক দোকানে একেক দাম হাঁকা হচ্ছে।

কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই তরুণেরাও। তাদের পছন্দের জিনস, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি। এ জন্য তাঁরা বিবিরহাটে তেজেন্দ্র স্কয়ার, চৌধুরী মার্কেট ও ফটিক প্লাজায় ভিড় করছেন। এখানে ১ থেকে ৩ হাজার টাকায় জিনস, পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায়। 
নাজিরহাট বাজারের কুম্ভারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদামতো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে। দামও নাগালের মধ্যে।’

তবে বাচ্চাদের পোশাকের দাম বেশি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। এস এ সিটি সেন্টারে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সুয়াবিল এলাকার মো. জাকারিয়া সিকদার বলেন, ‘শিশুদের পোশাকের দাম গতবারের চেয়ে এবার বেশি।’ নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে এবারের ঈদের কেনাকাটা করছেন। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। ঈদ ঘনিয়ে আসায় প্রচণ্ড গরমের দিনেও দোকানগুলোতে ভিড় দেখা চোখে পড়ার মতো।’ নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড় এবং বিবিরহাট বাজারে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত