সম্পাদকীয়
একেবারে ছোটবেলা থেকেই কবিতা পড়তেন মুস্তাফা মনোয়ার। আবৃত্তি করতে পছন্দ করতেন। বাড়ি থেকেই শেখানো হতো। বাবা কবি গোলাম মোস্তফা চাইতেন, ছেলে সংস্কৃতিমান হোক। ক্লাস ফোরে যখন পড়েন, তখন ফরিদপুরেই নিজের একটা লাইব্রেরি তৈরি করে ফেলেছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার।
এরপর এলেন ঢাকায়। থাকলেন শান্তিনগরে। তখন শান্তিনগর একেবারেই খোলা জায়গা। গ্রামও নয়, শহরও নয়। কিছু প্রশান্তিময় দালানবাড়ি আর বেশ কয়েকটা বাগানবাড়ি ছিল সেখানে।
ঢাকায় এসে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কলেজিয়েট স্কুলে। সেই স্কুলে গান হতো, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ হতো। সেই সব কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। অল্প দিনের মধ্যেই স্কুলের এসব কাজে একেবারে পারদর্শী হয়ে উঠলেন। গান করলেন, নাটক করলেন, ছবি আঁকলেন। এই ছবি আঁকা নিয়েই গোল বাধল একদিন।
সেদিন ছিল পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হলো নির্ধারিত সময়ের বেশ আগে। বসেই আছেন। উসখুস করছেন। কিন্তু এখনই খাতা জমা দিয়ে উঠে যাওয়া যাবে না। কী করা যায়?
পরীক্ষার হল গার্ড দিতে আসা মাওলানা সাহেব তখন ঝিমুচ্ছেন। তা দেখে নিজের সৃজনশীল মনটার বিকাশ ঘটাতে চাইলেন মুস্তাফা মনোয়ার। পরীক্ষার খাতার পেছন দিকের খালি সাদা কাগজে শুরু করলেন শিল্পকর্ম। দারুণ এক নিদ্রামগ্ন মাওলানা সাহেব ফুটে উঠলেন পরীক্ষার খাতায়।
পরদিন দ্বিতীয় পরীক্ষা। মুস্তাফা মনোয়ার দেখলেন, লাঠি হাতে হাজির হয়েছেন হেডমাস্টার।
রেগে উঠে তিনি বললেন, ‘তুমি এটা কী করলে? খাতায় তুমি আঁকলে?’
মুস্তাফা মনোয়ার বললেন, ‘স্যার, খাতায় আমার তো উত্তর দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। আমি তো আর পারছিলাম না। তাই ভাবলাম, এতক্ষণ বসে থাকার চেয়ে আঁকা ভালো।’
কিন্তু রাগ যায় না হেড মাস্টারের। ভুল স্বীকার করতে হলো, কিন্তু মন খারাপ করে মুস্তাফা মনোয়ার ভাবলেন, ছবিটা তো সুন্দর হয়েছিল। একটু প্রশংসা তো প্রাপ্যই ছিল! এরপর এই স্কুলে আর থাকলেন না। চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জে পড়াশোনা করতে।
সূত্র: মুস্তাফা মনোয়ার, স্মৃতির ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৪৪-২৪৫
একেবারে ছোটবেলা থেকেই কবিতা পড়তেন মুস্তাফা মনোয়ার। আবৃত্তি করতে পছন্দ করতেন। বাড়ি থেকেই শেখানো হতো। বাবা কবি গোলাম মোস্তফা চাইতেন, ছেলে সংস্কৃতিমান হোক। ক্লাস ফোরে যখন পড়েন, তখন ফরিদপুরেই নিজের একটা লাইব্রেরি তৈরি করে ফেলেছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার।
এরপর এলেন ঢাকায়। থাকলেন শান্তিনগরে। তখন শান্তিনগর একেবারেই খোলা জায়গা। গ্রামও নয়, শহরও নয়। কিছু প্রশান্তিময় দালানবাড়ি আর বেশ কয়েকটা বাগানবাড়ি ছিল সেখানে।
ঢাকায় এসে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কলেজিয়েট স্কুলে। সেই স্কুলে গান হতো, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ হতো। সেই সব কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। অল্প দিনের মধ্যেই স্কুলের এসব কাজে একেবারে পারদর্শী হয়ে উঠলেন। গান করলেন, নাটক করলেন, ছবি আঁকলেন। এই ছবি আঁকা নিয়েই গোল বাধল একদিন।
সেদিন ছিল পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হলো নির্ধারিত সময়ের বেশ আগে। বসেই আছেন। উসখুস করছেন। কিন্তু এখনই খাতা জমা দিয়ে উঠে যাওয়া যাবে না। কী করা যায়?
পরীক্ষার হল গার্ড দিতে আসা মাওলানা সাহেব তখন ঝিমুচ্ছেন। তা দেখে নিজের সৃজনশীল মনটার বিকাশ ঘটাতে চাইলেন মুস্তাফা মনোয়ার। পরীক্ষার খাতার পেছন দিকের খালি সাদা কাগজে শুরু করলেন শিল্পকর্ম। দারুণ এক নিদ্রামগ্ন মাওলানা সাহেব ফুটে উঠলেন পরীক্ষার খাতায়।
পরদিন দ্বিতীয় পরীক্ষা। মুস্তাফা মনোয়ার দেখলেন, লাঠি হাতে হাজির হয়েছেন হেডমাস্টার।
রেগে উঠে তিনি বললেন, ‘তুমি এটা কী করলে? খাতায় তুমি আঁকলে?’
মুস্তাফা মনোয়ার বললেন, ‘স্যার, খাতায় আমার তো উত্তর দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। আমি তো আর পারছিলাম না। তাই ভাবলাম, এতক্ষণ বসে থাকার চেয়ে আঁকা ভালো।’
কিন্তু রাগ যায় না হেড মাস্টারের। ভুল স্বীকার করতে হলো, কিন্তু মন খারাপ করে মুস্তাফা মনোয়ার ভাবলেন, ছবিটা তো সুন্দর হয়েছিল। একটু প্রশংসা তো প্রাপ্যই ছিল! এরপর এই স্কুলে আর থাকলেন না। চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জে পড়াশোনা করতে।
সূত্র: মুস্তাফা মনোয়ার, স্মৃতির ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৪৪-২৪৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫