সনি আজাদ, চারঘাট
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর চারঘাটের ছয় ইউপিতে ভোট হবে। ইতিমধ্যে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। বিএনপি নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নিলেও ছয় ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
তবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা না থাকলেও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছেন তাঁদের। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চারঘাটের ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন অন্তত আটজন বিদ্রোহী প্রার্থী। দল থেকে বহিষ্কারের মতো কঠোর হুঁশিয়ারিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরতে নারাজ তাঁরা।
এদিকে, একই দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করায় দলের অনুসারী ও ভোটারদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কেউ কেউ বিদ্রোহীদের পক্ষে মাঠে সরব থাকায় বিব্রত হচ্ছেন দলের জ্যেষ্ঠ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বিদ্রোহীদের সরাতে বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সরদহ ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও বাকি চারটি ইউনিয়নে মাঠে রয়েছেন নয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু না হলেও গত সোমবার প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে টিকে যাওয়ার পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন এসব বিদ্রোহী প্রার্থী।
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন। বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মাখন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম।
শলুয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী নয়ন ও আবদুল গাফফার। ভায়লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদ। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল।
এদিকে নিমপাড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলী, জেলা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মধু।
মাঠে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নিমপাড়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী সুজন আলী বলেন, ‘গতবার মনোনয়ন চেয়ে পাইনি, এবারও তাই। দলের ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে নানা কারণে বিতর্কিত একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভোটাররা চায় আমি নির্বাচন করি। তাই ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হলে তা কারও জন্য সুখকর হবে না। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাঁরা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। নয়তো দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ বলেন, এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করেন, তবে সংগঠনের ৪৭-এর ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁরা দল থেকে সরাসরি বহিষ্কার হবেন। আর যেসব নেতা-কর্মী তাঁদের পক্ষে কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর চারঘাটের ছয় ইউপিতে ভোট হবে। ইতিমধ্যে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। বিএনপি নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নিলেও ছয় ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
তবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা না থাকলেও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছেন তাঁদের। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চারঘাটের ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন অন্তত আটজন বিদ্রোহী প্রার্থী। দল থেকে বহিষ্কারের মতো কঠোর হুঁশিয়ারিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরতে নারাজ তাঁরা।
এদিকে, একই দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করায় দলের অনুসারী ও ভোটারদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কেউ কেউ বিদ্রোহীদের পক্ষে মাঠে সরব থাকায় বিব্রত হচ্ছেন দলের জ্যেষ্ঠ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। বিদ্রোহীদের সরাতে বা নিষ্ক্রিয় করতে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সরদহ ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও বাকি চারটি ইউনিয়নে মাঠে রয়েছেন নয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু না হলেও গত সোমবার প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে টিকে যাওয়ার পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন এসব বিদ্রোহী প্রার্থী।
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন। বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মাখন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম।
শলুয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী নয়ন ও আবদুল গাফফার। ভায়লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদ। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল।
এদিকে নিমপাড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলী, জেলা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মধু।
মাঠে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নিমপাড়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী সুজন আলী বলেন, ‘গতবার মনোনয়ন চেয়ে পাইনি, এবারও তাই। দলের ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে নানা কারণে বিতর্কিত একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভোটাররা চায় আমি নির্বাচন করি। তাই ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হলে তা কারও জন্য সুখকর হবে না। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাঁরা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। নয়তো দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ বলেন, এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করেন, তবে সংগঠনের ৪৭-এর ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁরা দল থেকে সরাসরি বহিষ্কার হবেন। আর যেসব নেতা-কর্মী তাঁদের পক্ষে কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪