Ajker Patrika

ঝিকরগাছায় বিএনপির ৩৪ জনের নামে মামলা

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৫
ঝিকরগাছায় বিএনপির ৩৪ জনের নামে মামলা

যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপুসহ ৩৪ জনের নামে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় আসামি করা হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১১ কাউন্সিলর প্রার্থীকে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ওই রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুবদল নেতা নাইম হোসেন ডনি, পুরন্দপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান হাসান ও হাজির আলী মইনুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার পায়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপের জন্য শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তাঁদের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়। তখন তাঁদের কাছ থেকে পেট্রলবোমা, হাসুয়া, লাঠি ও কাচের বোতল উদ্ধার হয়। মামলার বাদী হয়েছেন ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম।

মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত কল্লোল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন কোমল ও সদস্যসচিব মইনুল ইসলাম জনিকে।

এ ছাড়া পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আরমান হোসেন কাকন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরদার শহিদুল ইসলাম বুদো, মিজানুর রহমান কালু, নুরুজ্জামান বাবু, পিয়াল হাসান ও মশিয়ার রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম কাদের বাবলু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান বাবলা, মতিয়ার রহমান ও আব্দুর রশিদকে আসামি করা হয়।

মামলার পর থেকে এসব কাউন্সিলর প্রার্থী এলাকা ছেড়েছেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে তাঁদের নির্বাচনী প্রচার বন্ধের উপক্রম। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী মামলায় আসামি হওয়ায় এ ওয়ার্ডে গত তিন দিন ধরে ভোটের উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে না।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম কাদের বাবলু বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতি করি তাই আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার জন্য এই ষড়যন্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার স্পট দেখানো হয়েছে পায়রাডাঙ্গা। যা আমার ওয়ার্ড থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া সে সময় আমি গণসংযোগে ব্যস্ত ছিলাম।’

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে মামলার এজাহার করা হয়েছে। মামলায় যদি কোনো অসংগতি থেকে থাকে তাহলে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত