আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক এক নিদর্শন পৌরসভার ঢোপকল। জেলার ইতিহাস বলতে গেলেই চলে আসে ঢোপকলের কথা। প্রতিটি শহরে অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য থাকে। এগুলো নিয়ে শহরের নাগরিকদের থাকে গর্ব। দিনাজপুরের ক্ষেত্রে ঢোপকল এমনই এক নাম।
ইতিহাসসমৃদ্ধ দিনাজপুর জেলা আগে আয়তনে ছিল সুবিশাল। জেলা হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর এর বিস্তৃতি আগের দিনাজপুরের চেয়ে অনেক ছোট হয়ে গেছে। ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে এবং মুসলিম রাজত্বের পতনের সময় বর্তমান ভারতের মালদহ ও বগুড়া জেলার প্রায় পনেরো আনা এবং রংপুর, রাজশাহী ও পুর্নিয়া জেলার অনেকাংশ দিনাজপুরের অংশ ছিল।
দিনাজপুর জেলার মতো দিনাজপুর শহরের ইতিহাসও বেশ পুরোনো। শহরটি পৌরাণিক নদী পুনর্ভবার তীরে অবস্থিত। ১৮৬৯ সালে প্রায় ৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে দিনাজপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তখন জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ১০-১২ হাজার। ১৮৭২ সালে প্রথম সরকারিভাবে আদমশুমারিতে জনসংখ্যা ১৩ হাজার ৭৮২ জন গণনা করা হয়। ১৮৯৮ সালে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত পৌরসভার প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। করদাতাদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে দিনাজপুরের তৎকালীন মহারাজা গিরিজানাথ রায় পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গিরিজানাথের শহরে গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে শহরের মানুষকে সুপেয় পানির সুবিধা দিতে ঢোপকল স্থাপন করেছিল দিনাজপুর মিউনিসিপ্যালিটি। শহরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ২৫-৩০টি জায়গায় ঢোপকল বসানো হয়। কালের বিবর্তনে পানির সহজলভ্যতা আর অযত্ন-অবহেলায় অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় আধুনিকায়নের স্বার্থে ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলো। কালের সাক্ষী হিসেবে এখন ২-৩টি ঢোপকল টিকে আছে। তার মধ্যে শহরের বুটিবাবুর মোড় আর লালবাগ ২ নম্বর জামে মসজিদের সামনে ২টি ঢোপকল এখনো চালু অবস্থায় আছে।
দিনাজপুরের ইতিহাসে ঢোপকলগুলোর ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। নির্মাণশৈলীর কারণে গরমের সময় পানি মোটামুটি ঠান্ডাও থাকত। মোড়ে মোড়ে ঢোপকলগুলোতে পানি ধরে রাখা হতো। ফলে সারা দিনই পানি পাওয়া যেত।
প্রবীণদের তথ্য মতে, প্রায় দুই মাস পরপর এই ঢোপকলগুলো পরিষ্কার করা হতো। ঢোপকলের ওপরের ঢাকনা খোলা যেত। তারপর ভেতরে মানুষ নেমে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে সেটা পরিষ্কার করত।
ঢোপকলগুলো লম্বায় ভূমি থেকে প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু এবং ব্যাস প্রায় ৪ ফুট। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল সিমেন্ট ঢালাই করে। এই ঢোপকলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঢেউখেলানো প্লাস্টার করা হতো। এর ঢালাই খুবই শক্ত। সহজে কোনো কিছুর ধাক্কায় বা আঘাতে এটা ভাঙে না।
ইতিহাসসমৃদ্ধ দিনাজপুরের আর দশটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মতো ঢোপকলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে কালের গর্ভে। ইতিহাসের অংশ হিসেবে যে কয়টি ঢোপকল চালু আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি বলে মনে করেন এলাকার সচেতন সমাজ।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক এক নিদর্শন পৌরসভার ঢোপকল। জেলার ইতিহাস বলতে গেলেই চলে আসে ঢোপকলের কথা। প্রতিটি শহরে অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য থাকে। এগুলো নিয়ে শহরের নাগরিকদের থাকে গর্ব। দিনাজপুরের ক্ষেত্রে ঢোপকল এমনই এক নাম।
ইতিহাসসমৃদ্ধ দিনাজপুর জেলা আগে আয়তনে ছিল সুবিশাল। জেলা হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর এর বিস্তৃতি আগের দিনাজপুরের চেয়ে অনেক ছোট হয়ে গেছে। ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে এবং মুসলিম রাজত্বের পতনের সময় বর্তমান ভারতের মালদহ ও বগুড়া জেলার প্রায় পনেরো আনা এবং রংপুর, রাজশাহী ও পুর্নিয়া জেলার অনেকাংশ দিনাজপুরের অংশ ছিল।
দিনাজপুর জেলার মতো দিনাজপুর শহরের ইতিহাসও বেশ পুরোনো। শহরটি পৌরাণিক নদী পুনর্ভবার তীরে অবস্থিত। ১৮৬৯ সালে প্রায় ৪ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে দিনাজপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তখন জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ১০-১২ হাজার। ১৮৭২ সালে প্রথম সরকারিভাবে আদমশুমারিতে জনসংখ্যা ১৩ হাজার ৭৮২ জন গণনা করা হয়। ১৮৯৮ সালে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত পৌরসভার প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। করদাতাদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে দিনাজপুরের তৎকালীন মহারাজা গিরিজানাথ রায় পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গিরিজানাথের শহরে গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে শহরের মানুষকে সুপেয় পানির সুবিধা দিতে ঢোপকল স্থাপন করেছিল দিনাজপুর মিউনিসিপ্যালিটি। শহরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ২৫-৩০টি জায়গায় ঢোপকল বসানো হয়। কালের বিবর্তনে পানির সহজলভ্যতা আর অযত্ন-অবহেলায় অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় আধুনিকায়নের স্বার্থে ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলো। কালের সাক্ষী হিসেবে এখন ২-৩টি ঢোপকল টিকে আছে। তার মধ্যে শহরের বুটিবাবুর মোড় আর লালবাগ ২ নম্বর জামে মসজিদের সামনে ২টি ঢোপকল এখনো চালু অবস্থায় আছে।
দিনাজপুরের ইতিহাসে ঢোপকলগুলোর ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। নির্মাণশৈলীর কারণে গরমের সময় পানি মোটামুটি ঠান্ডাও থাকত। মোড়ে মোড়ে ঢোপকলগুলোতে পানি ধরে রাখা হতো। ফলে সারা দিনই পানি পাওয়া যেত।
প্রবীণদের তথ্য মতে, প্রায় দুই মাস পরপর এই ঢোপকলগুলো পরিষ্কার করা হতো। ঢোপকলের ওপরের ঢাকনা খোলা যেত। তারপর ভেতরে মানুষ নেমে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে সেটা পরিষ্কার করত।
ঢোপকলগুলো লম্বায় ভূমি থেকে প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু এবং ব্যাস প্রায় ৪ ফুট। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল সিমেন্ট ঢালাই করে। এই ঢোপকলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঢেউখেলানো প্লাস্টার করা হতো। এর ঢালাই খুবই শক্ত। সহজে কোনো কিছুর ধাক্কায় বা আঘাতে এটা ভাঙে না।
ইতিহাসসমৃদ্ধ দিনাজপুরের আর দশটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মতো ঢোপকলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে কালের গর্ভে। ইতিহাসের অংশ হিসেবে যে কয়টি ঢোপকল চালু আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি বলে মনে করেন এলাকার সচেতন সমাজ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫