কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব মিলিয়ে ২৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে সুইপারের পদও রয়েছে। এ কারণে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা বলছেন, নানা কারণে সেবা ছাড়াই তাঁদের ফিরে যেতে হয়। এদিকে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে ১ জন করে সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের পদ রয়েছে। এ ছাড়া শূন্য রয়েছে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) পদও। এমটি ল্যাবে ২টি, ফার্মাসিস্টের ২টি, আয়ার ১টি, সুইপারের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীর ৩০টি পদের মধ্যে ১০টি এবং সিএইচসিপি ২২টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষের জটলা। এ সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই এখানে এসে স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে হতাশ মনে বাড়ি ফেরেন। বিশেষ করে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য থাকায় কুলিয়ারচরের প্রসূতি নারীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মাইমুনা বেগম বলেন, ‘স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দেখাব বলে হাসপাতালে এসেছিলাম। কিন্তু আসার পর জানলাম, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এখন চিকিৎসা না নিয়েই চলে যাচ্ছি।’
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আরেক ব্যক্তি লোকমান মিয়া বলেন, স্বজন নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলাম মেডিসিনের ডাক্তার দেখাব বলে। কিন্তু এখানে মেডিসিনের ডাক্তার নাই। তাই স্বজনকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। দেখি বেসরকারি কোনো হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক রোগী বলেন, ‘কম টাকায় চিকিৎসাসেবা নিতে এখানে মানুষ আশা করে আসেন। কিন্তু অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। অনেকেরই বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবার মান বাড়ানো উচিত। ’
স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক পদ শূন্য থাকায় আমাদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, শূন্যপদের জন্য ওপর থেকে সবাই তথ্য নিয়েই চলে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের কাছে আবেদন, এখানকার শূন্যপদ পূরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা করা হোক।’
সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কনসালট্যান্ট অনেক উপজেলায় আছে, অনেক উপজেলায় নেই। এর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখব।’
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব মিলিয়ে ২৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে সুইপারের পদও রয়েছে। এ কারণে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা বলছেন, নানা কারণে সেবা ছাড়াই তাঁদের ফিরে যেতে হয়। এদিকে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে ১ জন করে সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের পদ রয়েছে। এ ছাড়া শূন্য রয়েছে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) পদও। এমটি ল্যাবে ২টি, ফার্মাসিস্টের ২টি, আয়ার ১টি, সুইপারের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীর ৩০টি পদের মধ্যে ১০টি এবং সিএইচসিপি ২২টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষের জটলা। এ সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই এখানে এসে স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে হতাশ মনে বাড়ি ফেরেন। বিশেষ করে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য থাকায় কুলিয়ারচরের প্রসূতি নারীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মাইমুনা বেগম বলেন, ‘স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দেখাব বলে হাসপাতালে এসেছিলাম। কিন্তু আসার পর জানলাম, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নেই। এখন চিকিৎসা না নিয়েই চলে যাচ্ছি।’
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আরেক ব্যক্তি লোকমান মিয়া বলেন, স্বজন নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলাম মেডিসিনের ডাক্তার দেখাব বলে। কিন্তু এখানে মেডিসিনের ডাক্তার নাই। তাই স্বজনকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। দেখি বেসরকারি কোনো হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক রোগী বলেন, ‘কম টাকায় চিকিৎসাসেবা নিতে এখানে মানুষ আশা করে আসেন। কিন্তু অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। অনেকেরই বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবার মান বাড়ানো উচিত। ’
স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক পদ শূন্য থাকায় আমাদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, শূন্যপদের জন্য ওপর থেকে সবাই তথ্য নিয়েই চলে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের কাছে আবেদন, এখানকার শূন্যপদ পূরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা করা হোক।’
সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কনসালট্যান্ট অনেক উপজেলায় আছে, অনেক উপজেলায় নেই। এর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪