Ajker Patrika

ভোগান্তির আরেক নাম ফতেপুর বেইলি সেতু

শাহিন আহমেদ সাজু, বাঞ্ছারামপুর
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১৩: ০৬
ভোগান্তির আরেক নাম ফতেপুর বেইলি সেতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আখাউড়া-আগরতলা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের ফতেপুর বেইলি সেতুতে যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। এতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের; বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে এই যানজট।

সেতুর দুপাশের সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সেতুটি সরু হওয়ায় একটা গাড়ি এলে অন্য গাড়ি যেতে পারে না। এ কারণে এক পাশের যানবাহনের যাওয়া শেষ হলে অন্য পাশের গাড়ি উঠতে পারে। এভাবে সেতু পার হতে যানবাহনগুলোর দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকতে হয়। কখনো কখনো দু-তিন ঘণ্টা যাত্রীদের গাড়িতে বসে থাকতে হয়। এ কারণে রোগী, শিশু এবং বৃদ্ধরা গাড়িতে বসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এখানকার মানুষের কাছে এখন ভোগান্তির আরেক নাম ফতেপুর বেইলি সেতু। তাই সেতুটির সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষ।

সরেজমিনে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-আড়াইহাজার, ভুলতা হয়ে ফেরিঘাট বাঞ্ছারামপুর-ফতেপুর মহাসড়কে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার গাড়িতে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন তিন-চারবার যানজটের মুখোমুখি হতে হয় এখানকার মানুষদের। প্রায়ই দেখা যায় আছাদনগর বাজার থেকে ফতেপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই কিলোমিটারজুড়ে যানজটে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন।

অন্যদিকে দীর্ঘদিনের পুরোনো এই সেতু ধারণক্ষমতার অধিক মালবোঝাই যানবাহনের কারণে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পাঁচ টনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সেতুটিতে ১০ টনের বেশি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। এতে করে সেতুটি দিনে দিনে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কয়েক দিন পরপরই মেরামত করতে হয়।

যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলাউদ্দীন বলেন, ‘যানজটে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, নারী ও শিশুরা অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের সংসদ সদস্যের কাছে দাবি, তিনি যেন সেতুর কাজটা সম্পন্ন করে দেন। আমাদের চলার পথ যেন সুগম করে দেন।’

ট্রাকচালক কামাল মিয়া বলেন, ‘এই সেতু অতি দ্রুত করা উচিত। তিন ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে ছিলাম। পরে আমি এই রাস্তা পার হয়ে এসেছি।’

একজন স্কুলছাত্র জানায়, ‘এ যানজটের কারণে রোগীদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী ও শিশুদের অনেক কষ্ট হয়। এ যানজট আমাদের চলাচলের একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়। জ্যামে বসে থাকার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এটি পরিবর্তন করে নতুন সেতু দেওয়া উচিত। তাহলে আমাদের কষ্টলাঘব হবে।’

সার্বিক বিষয়ে বাঞ্ছারামপুরের উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টা দেখেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত