Ajker Patrika

বাঁধ-ভেসালে মৎস্য নিধন

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৩৮
বাঁধ-ভেসালে মৎস্য নিধন

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। এভাবে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন করা হলেও প্রশাসনের নেই নিয়মিত নজরদারি। ফলে এ মাছ নিধন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায়। এমনকি সিরাজদিখান থানার সামনেও এ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নে সেতুর নিচে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার শেখরনগর, রাজানগর চিত্রকুট, বয়রাগাদী, লতব্দী, মালখানগর, জৈনসার, মধ্যপাড়াসহ ১৪ ইউনিয়নের খাল-বিলে ভেসাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। পোনাগুলো বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন মৎস্য শিকারিরা।

তবে শুধু ভেসাল নয়, এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি, বাদাই জাল ও মাছ ধরার আরও নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা মানছেন না তাঁরা। এ ছাড়া ফসলি জমিতে আসা পানিতেও চলছে মাছ শিকার।

স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে কই, শিং, মাগুর, সরপুঁটি, টেংড়া, বাতাসি, খলশে, টাকি, মলা, ঢেলা, তপসিসহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন আইড়, শোল, বোয়াল, রুই, মৃগেল, কাতল, কালবাউস পাওয়া যায় না। এখন এসব মাছ দেখাই যায় না বলা যায়। উন্মুক্ত জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকারের ফলে এগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করে হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও প্রশাসন ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মাছ নিধন বন্ধ হয় না। যদি মা ও পোনা মাছ নিধন বন্ধ না করা যায়, তবে চাষের মাছ অনেক দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ইছামতী নদীর মৎস্য শিকারি মমিনুল শেখ বলেন, ‘বর্ষার পানি কমতে থাকায় আমরা মাছ ধরছি। আমরা বর্ষা মৌসুমে শুধু মাছ ধরি, অন্য সময় ধরি না। এখন পানি চলে যাচ্ছে, সে কারণে আমরা এই মাছ ধরছি।’

উপজেলার শেখরনগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক খাইরুদ্দিন বলেন, ‘নদী-খাল-বিলে জেলেরা জাল পেতে রাখায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। জাল নষ্ট হলে প্রায়ই জরিমানা গুনতে হয় আমাদের। কখনো কখনো ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

সিরাজদিখান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল বলেন, ‘আমরা ৩০ তারিখের পরে জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধনে এসব অবৈধ ভেসালসহ সব ধরনের জাল উচ্ছেদ করাব। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারপর উচ্ছেদ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত