ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে মাগুরা জেলায় বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই জেলার মফস্বলের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী। জেলা শিক্ষা অফিসের এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার চার উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিপুল পরিমাণ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৪২ হাজার ৬৭৪ ছাত্রীর মধ্যে করোনায় বাল্যবিবাহ হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ জনের। এর মধ্যে জেলা সদরে ১৯ হাজার ৩২৬ ছাত্রীর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন।
জরিপে আরও উল্লেখ করা হয়, শ্রীপুরে ৭ হাজার ৩৩১ ছাত্রীর মধ্যে ৪১৫, শালিখায় ৬ হাজার ১৯২ ছাত্রীর মধ্যে ৫২৭ এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৮২৫ ছাত্রীর মধ্যে ৬৮০ জনের বাল্যবিবাহ হয়েছে।
জরিপে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালীন শিক্ষার্থীর বিবাহের তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে বেশির ভাগ ছাত্রী এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৯৫২ ছাত্রীর মধ্যে ১৫৫, শালিখায় ৯৬৯ জনের মধ্যে ৪৬, মহম্মদপুরে ১ হাজার ৩৩৪ জনে মধ্যে ১৪০ এবং শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩ জনের মধ্যে বিবাহ হয়েছে ১১৩ জনের।
এর আগে মাগুরা জেলা প্রাথমিক স্কুলেও এমন একটা জরিপে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা উঠে এলেও সেখানে জানা গেছে বাল্যবিবাহের কথা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জেলার ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অন্তত ১৫ জন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার। যার অন্যতম কারণ ছিল দারিদ্র্য।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলমগীর কবীর জানান, জরিপটি আমরা সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শুরু করেছি। এখানে জেলা সদরে সব থেকে বেশি বাল্যবিবাহের শিকার দেখা গেছে।
আলমগীর কবীর বলেন, বাল্যবিবাহের শিকার অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না বলে জেনেছি। এর একটা প্রধান কারণ বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে জেলার বাইরে অথবা শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের আর পড়াশোনা করতে দিচ্ছে না।
এ শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, যাদের বাল্যবিবাহ হয়েছে তাদের সবার বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি করোনাকালীন শিক্ষা জীবন নিয়ে সংশয়ে ছিল তাদের পরিবার। আবার অনেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েও মেয়েকে ভালো পাত্রের কাছে বিয়ে দিয়েছেন পড়াশোনা বন্ধ করে।
বাল্যবিবাহরে শিকার এসব মেয়েরা আর বিদ্যালয়ে ফিরবে কি না তা নিয়ে খোঁজ–খবর চলছে। তবে বেশির ভাগ সাংসারিক জীবনে ব্যস্ত থাকায় আমাদের তথ্য জোগাড় করা কঠিন হয়ে গেছে বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে মাগুরা জেলায় বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই জেলার মফস্বলের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী। জেলা শিক্ষা অফিসের এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার চার উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিপুল পরিমাণ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৪২ হাজার ৬৭৪ ছাত্রীর মধ্যে করোনায় বাল্যবিবাহ হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ জনের। এর মধ্যে জেলা সদরে ১৯ হাজার ৩২৬ ছাত্রীর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন।
জরিপে আরও উল্লেখ করা হয়, শ্রীপুরে ৭ হাজার ৩৩১ ছাত্রীর মধ্যে ৪১৫, শালিখায় ৬ হাজার ১৯২ ছাত্রীর মধ্যে ৫২৭ এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৮২৫ ছাত্রীর মধ্যে ৬৮০ জনের বাল্যবিবাহ হয়েছে।
জরিপে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালীন শিক্ষার্থীর বিবাহের তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে বেশির ভাগ ছাত্রী এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৯৫২ ছাত্রীর মধ্যে ১৫৫, শালিখায় ৯৬৯ জনের মধ্যে ৪৬, মহম্মদপুরে ১ হাজার ৩৩৪ জনে মধ্যে ১৪০ এবং শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩ জনের মধ্যে বিবাহ হয়েছে ১১৩ জনের।
এর আগে মাগুরা জেলা প্রাথমিক স্কুলেও এমন একটা জরিপে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা উঠে এলেও সেখানে জানা গেছে বাল্যবিবাহের কথা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জেলার ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অন্তত ১৫ জন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার। যার অন্যতম কারণ ছিল দারিদ্র্য।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলমগীর কবীর জানান, জরিপটি আমরা সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শুরু করেছি। এখানে জেলা সদরে সব থেকে বেশি বাল্যবিবাহের শিকার দেখা গেছে।
আলমগীর কবীর বলেন, বাল্যবিবাহের শিকার অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না বলে জেনেছি। এর একটা প্রধান কারণ বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে জেলার বাইরে অথবা শ্বশুরবাড়ি থেকে তাদের আর পড়াশোনা করতে দিচ্ছে না।
এ শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, যাদের বাল্যবিবাহ হয়েছে তাদের সবার বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি করোনাকালীন শিক্ষা জীবন নিয়ে সংশয়ে ছিল তাদের পরিবার। আবার অনেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েও মেয়েকে ভালো পাত্রের কাছে বিয়ে দিয়েছেন পড়াশোনা বন্ধ করে।
বাল্যবিবাহরে শিকার এসব মেয়েরা আর বিদ্যালয়ে ফিরবে কি না তা নিয়ে খোঁজ–খবর চলছে। তবে বেশির ভাগ সাংসারিক জীবনে ব্যস্ত থাকায় আমাদের তথ্য জোগাড় করা কঠিন হয়ে গেছে বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫