প্রতিনিধি
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পাওয়া গেল নতুন প্রজাতির একটি ব্যাঙ। ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’ নামে সেটি যুক্ত হয়েছে ব্যাঙ পরিবারের সদস্য হিসেবে। বন্যপ্রাণী গবেষক মার্জান মারিয়া ও হাসান আল-রাজী ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করতে এসে লাউয়াছড়ায় এই প্রজাতিটির সন্ধান পান। তাদের এই গবেষণার কাজটি রাশিয়া থেকে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন অধ্যাপক নিক পয়ারকভ।
গবেষণাপত্রটি গত ২৮ মে ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই ব্যাঙের বাংলা নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’, ইংরেজি নাম Sylheti Litter Frog। এটির শরীরের রং ধূসর থেকে কালচে, কালো ছোপ রয়েছে। এই রং তাদের ঝরা পাতার সঙ্গে মিশে থাকতে সাহায্য করে। এদের পেছনের পা তুলনামূলক ছোট, তাই খুব বেশি জোরে লাফাতে পারে না। এদের চোখের ওপর অর্ধেক লাল রঙের, যেখানে আলো পড়লে জ্বল জ্বল করে।
গবেষক দল জানায়, বাংলাদেশে মোট ৫৬ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। নতুন প্রজাতি যোগ হয়ে এখন এর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ টিতে। একই সঙ্গে বিশ্বে ব্যাঙ প্রজাতির তালিকায়ও নতুন আরেকটি ব্যাঙ যুক্ত হলো। আগে নতুন এই ব্যাঙটিকে ‘Leptobrachium smithi’ প্রজাতির বলে মনে করা হতো। কিন্তু প্রজাতিটির বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে এবং এর মধ্যে আরও দুটি এই ধরনের ব্যাঙ রয়েছে। তিনজন গবেষক মাঠপর্যায়ে ও ল্যাবরেটরিতে ১১ মাস কাজ করে নিশ্চিত হন সিলেটের ব্যাঙটি আসলে জানা কোনো প্রজাতির মধ্যে পড়ে না।
গবেষক দলের সদস্য হাসান আল-রাজী ও মার্জান মারিয়া জানান, এই ব্যাঙগুলো মূলত বনের ভেতরে পাওয়া যায়। বনের ঝরা পাতার মধ্যে ওরা থাকে।
গবেষকদ্বয় বলেন, ঝরা পাতার মাঝে এরা এমনভাবে মিশে থাকে যে দেখলে বোঝার উপায় নেই। আর ঝরা পাতায় থাকে বলে এই ব্যাঙকে ইংরেজিতে ‘Litter Frog’ বলে। তাই আমরা আমাদের এই ব্যাঙের ইংরেজি নাম দিয়েছি ‘Sylheti Litter Frog’। আর বাংলা নাম ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’। প্রজননের সময় এরা এই ঝরা পাতা ছেড়ে ছড়ায় নেমে আসে। ছড়ার প্রবহমান স্বচ্ছ পানিতে এরা ডিম দেয়। ডিম ফুটে ব্যাঙ্গাচিগুলো ছড়ার পানিতেই বড় হয়।
তাঁরা আরও বলেন, দেশে এই নতুন ব্যাঙের সন্ধান বের করতে পেরে আমরা আনন্দিত, কিন্তু একই সঙ্গে শঙ্কিত। কারণ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর লাউয়াছড়া বন তার রূপ হারাচ্ছে। ব্যাঙ যেখানে প্রজনন করে বনের সেই ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙসহ বনের অন্য প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে আগে ছড়াগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পাওয়া গেল নতুন প্রজাতির একটি ব্যাঙ। ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’ নামে সেটি যুক্ত হয়েছে ব্যাঙ পরিবারের সদস্য হিসেবে। বন্যপ্রাণী গবেষক মার্জান মারিয়া ও হাসান আল-রাজী ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করতে এসে লাউয়াছড়ায় এই প্রজাতিটির সন্ধান পান। তাদের এই গবেষণার কাজটি রাশিয়া থেকে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন অধ্যাপক নিক পয়ারকভ।
গবেষণাপত্রটি গত ২৮ মে ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই ব্যাঙের বাংলা নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’, ইংরেজি নাম Sylheti Litter Frog। এটির শরীরের রং ধূসর থেকে কালচে, কালো ছোপ রয়েছে। এই রং তাদের ঝরা পাতার সঙ্গে মিশে থাকতে সাহায্য করে। এদের পেছনের পা তুলনামূলক ছোট, তাই খুব বেশি জোরে লাফাতে পারে না। এদের চোখের ওপর অর্ধেক লাল রঙের, যেখানে আলো পড়লে জ্বল জ্বল করে।
গবেষক দল জানায়, বাংলাদেশে মোট ৫৬ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। নতুন প্রজাতি যোগ হয়ে এখন এর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ টিতে। একই সঙ্গে বিশ্বে ব্যাঙ প্রজাতির তালিকায়ও নতুন আরেকটি ব্যাঙ যুক্ত হলো। আগে নতুন এই ব্যাঙটিকে ‘Leptobrachium smithi’ প্রজাতির বলে মনে করা হতো। কিন্তু প্রজাতিটির বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে এবং এর মধ্যে আরও দুটি এই ধরনের ব্যাঙ রয়েছে। তিনজন গবেষক মাঠপর্যায়ে ও ল্যাবরেটরিতে ১১ মাস কাজ করে নিশ্চিত হন সিলেটের ব্যাঙটি আসলে জানা কোনো প্রজাতির মধ্যে পড়ে না।
গবেষক দলের সদস্য হাসান আল-রাজী ও মার্জান মারিয়া জানান, এই ব্যাঙগুলো মূলত বনের ভেতরে পাওয়া যায়। বনের ঝরা পাতার মধ্যে ওরা থাকে।
গবেষকদ্বয় বলেন, ঝরা পাতার মাঝে এরা এমনভাবে মিশে থাকে যে দেখলে বোঝার উপায় নেই। আর ঝরা পাতায় থাকে বলে এই ব্যাঙকে ইংরেজিতে ‘Litter Frog’ বলে। তাই আমরা আমাদের এই ব্যাঙের ইংরেজি নাম দিয়েছি ‘Sylheti Litter Frog’। আর বাংলা নাম ‘সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙ’। প্রজননের সময় এরা এই ঝরা পাতা ছেড়ে ছড়ায় নেমে আসে। ছড়ার প্রবহমান স্বচ্ছ পানিতে এরা ডিম দেয়। ডিম ফুটে ব্যাঙ্গাচিগুলো ছড়ার পানিতেই বড় হয়।
তাঁরা আরও বলেন, দেশে এই নতুন ব্যাঙের সন্ধান বের করতে পেরে আমরা আনন্দিত, কিন্তু একই সঙ্গে শঙ্কিত। কারণ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর লাউয়াছড়া বন তার রূপ হারাচ্ছে। ব্যাঙ যেখানে প্রজনন করে বনের সেই ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। সিলেটি লাল চোখ ব্যাঙসহ বনের অন্য প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে আগে ছড়াগুলোকে রক্ষা করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেগতকালের চেয়ে আজ ঢাকার বায়ুমানে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আজ শনিবার ঢাকার বাতাস সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। বছরের বেশির ভাগ সময়ই দূষণের মাত্রা অতিক্রম করে ঢাকার বাতাস। তবে বর্ষাকালে সাধারণত সহনীয় হয়ে থাকে রাজধানীর বায়ু।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৭৮, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৯ম। গতকাল বৃহস্পতিবার ১১০ বায়ুমান নিয়ে ৮ম স্থানে ছিল ঢাকা, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর
২ দিন আগে