
এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগে