আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে এ লাল শাপলা বিলের ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। এ বিলের জন্ম ১৫ বছর আগে। ব্যক্তি মালিকানা এ বিলটির বর্তমান আয়তন প্রায় ২৫ একর। আগে অবশ্য বিলটিকে ‘উত্তরপাড়া বিল’ বলেই চিনত সবাই। বিলটি লাল শাপলায় পরিপূর্ণ থাকায় বর্তমানে হারিয়ে গেছে আগের সে নামটি। এখন এটি ‘লাল শাপলা বিল’ নামেই সর্বত্র পরিচিত। গ্রামীণ প্রকৃতিতে এ শাপলার অবারিত রঙিন রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করে।
সাধারণত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এ বিলে লাল শাপলা ফুল ফোঁটে। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক পর্যটক আসেন ফুটন্ত লাল শাপলা ফুল দেখতে।
সরেজমিন উপস্থিত হলে লাল শাপলা বিলের জন্ম কাহিনি সম্পর্কে কথা হয় স্থানীয় কৃষক জমসের আলীর (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, এ বিলের সামান্য অংশের মালিক তিনি। অবশিষ্ট অংশ তাঁর অংশীদারদের।
জমসের আলী জানান, ১৫ বছর আগে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক চিকিৎসার পরও তাঁর অসুখ ভালো হয় না। অবশেষে এক কবিরাজ তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। ওই চিকিৎসায় প্রয়োজন লাল শাপলা। স্বামী জমসের অনেক খুঁজে শেষমেশ মাত্র একটি লাল শাপলা সংগ্রহ করতে পেয়েছিলেন। শাপলার শালুক দিয়ে তৈরি ওষুধ খাওয়ানো হয় জমসেরের স্ত্রীকে। এতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের কথা ভেবেই জমসের আলী তাঁর বাড়ির পাশে বিলে পুঁতে রাখেন শাপলা গাছটি। তা থেকে ফোঁটে অনেক লাল শাপলা ফুল। এভাবে মাত্র ৪-৫ বছরেই প্রায় ১০ একর বিল লাল শাপলার বিলে পরিণত হয়। এভাবে বাড়তে থাকলে ১৫ বছরে লাল শাপলা বিল কমপক্ষে ২৫ একর জায়গা বিস্তার করবে।
এ সময় স্থানীয় কৃষক ছকমেল (৬০), ইসলাম উদ্দিন (৬০), শাহিনসহ (৬৫) অনেকে জানান, লাল শাপলা বিলের মালিকেরা সবাই কৃষক শ্রেণির লোক। এরা সবাই নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির লোক। তাঁরা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ বিলটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দিতে পারতেন।
লাল শাপলা বিলটি শুধু সৌন্দর্যই নয়, বিল থেকে শাপলা তুলে রংপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এলাকার কয়েকটি দরিদ্র পরিবার। ডিসেম্বর মাসে শীতের শুরুতে বিলের পানি কমে যায়। তখন শাপলা গাছও মরে যায়। সে সময় কৃষকেরা এখানে বোরো ধান চাষ করেন। একই জমিতে ধান ও শাপলার এ সহাবস্থান উত্তরাঞ্চলের আর কোথাও দেখা যায়নি।
এ বিলটি গঙ্গাচড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। রংপুর মহানগরী থেকে অটোরিকশা যোগে বুড়িরহাট হয়ে সরাসরি এখানে যাওয়া যায়। গঙ্গাচড়া উপজেলা সদর থেকেও বালারঘাট হয়ে সরাসরি অটোরিকশায় যাওয়া যায়।

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে এ লাল শাপলা বিলের ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। এ বিলের জন্ম ১৫ বছর আগে। ব্যক্তি মালিকানা এ বিলটির বর্তমান আয়তন প্রায় ২৫ একর। আগে অবশ্য বিলটিকে ‘উত্তরপাড়া বিল’ বলেই চিনত সবাই। বিলটি লাল শাপলায় পরিপূর্ণ থাকায় বর্তমানে হারিয়ে গেছে আগের সে নামটি। এখন এটি ‘লাল শাপলা বিল’ নামেই সর্বত্র পরিচিত। গ্রামীণ প্রকৃতিতে এ শাপলার অবারিত রঙিন রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করে।
সাধারণত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এ বিলে লাল শাপলা ফুল ফোঁটে। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক পর্যটক আসেন ফুটন্ত লাল শাপলা ফুল দেখতে।
সরেজমিন উপস্থিত হলে লাল শাপলা বিলের জন্ম কাহিনি সম্পর্কে কথা হয় স্থানীয় কৃষক জমসের আলীর (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, এ বিলের সামান্য অংশের মালিক তিনি। অবশিষ্ট অংশ তাঁর অংশীদারদের।
জমসের আলী জানান, ১৫ বছর আগে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক চিকিৎসার পরও তাঁর অসুখ ভালো হয় না। অবশেষে এক কবিরাজ তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। ওই চিকিৎসায় প্রয়োজন লাল শাপলা। স্বামী জমসের অনেক খুঁজে শেষমেশ মাত্র একটি লাল শাপলা সংগ্রহ করতে পেয়েছিলেন। শাপলার শালুক দিয়ে তৈরি ওষুধ খাওয়ানো হয় জমসেরের স্ত্রীকে। এতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের কথা ভেবেই জমসের আলী তাঁর বাড়ির পাশে বিলে পুঁতে রাখেন শাপলা গাছটি। তা থেকে ফোঁটে অনেক লাল শাপলা ফুল। এভাবে মাত্র ৪-৫ বছরেই প্রায় ১০ একর বিল লাল শাপলার বিলে পরিণত হয়। এভাবে বাড়তে থাকলে ১৫ বছরে লাল শাপলা বিল কমপক্ষে ২৫ একর জায়গা বিস্তার করবে।
এ সময় স্থানীয় কৃষক ছকমেল (৬০), ইসলাম উদ্দিন (৬০), শাহিনসহ (৬৫) অনেকে জানান, লাল শাপলা বিলের মালিকেরা সবাই কৃষক শ্রেণির লোক। এরা সবাই নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির লোক। তাঁরা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ বিলটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দিতে পারতেন।
লাল শাপলা বিলটি শুধু সৌন্দর্যই নয়, বিল থেকে শাপলা তুলে রংপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এলাকার কয়েকটি দরিদ্র পরিবার। ডিসেম্বর মাসে শীতের শুরুতে বিলের পানি কমে যায়। তখন শাপলা গাছও মরে যায়। সে সময় কৃষকেরা এখানে বোরো ধান চাষ করেন। একই জমিতে ধান ও শাপলার এ সহাবস্থান উত্তরাঞ্চলের আর কোথাও দেখা যায়নি।
এ বিলটি গঙ্গাচড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। রংপুর মহানগরী থেকে অটোরিকশা যোগে বুড়িরহাট হয়ে সরাসরি এখানে যাওয়া যায়। গঙ্গাচড়া উপজেলা সদর থেকেও বালারঘাট হয়ে সরাসরি অটোরিকশায় যাওয়া যায়।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
৬ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ২২তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৩তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৪১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ১৭৬, ১৫৯ ও ১৪২।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ২২তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৩তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৪১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ১৭৬, ১৫৯ ও ১৪২।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
০২ অক্টোবর ২০২১
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিন আগে শনিবার ১ নভেম্বর বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছিল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বৃষ্টির এই রেশ গতকাল রোববারও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ছিল।
আজও সকাল থেকে ঢাকার আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় চার থেকে আট কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৬ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তবে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা ও আশপাশে আজ ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
কার্তিক মাসের এই সময় মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাংশে অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে আজ ও আগামীকাল ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

দুই দিন আগে শনিবার ১ নভেম্বর বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছিল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বৃষ্টির এই রেশ গতকাল রোববারও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ছিল।
আজও সকাল থেকে ঢাকার আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় চার থেকে আট কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৬ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তবে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা ও আশপাশে আজ ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
কার্তিক মাসের এই সময় মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাংশে অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে আজ ও আগামীকাল ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
০২ অক্টোবর ২০২১
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
৬ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
নুয়ে পড়েছে ৮০ ভাগ ধান
গতকাল সকালে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার দরগাপাড়া গ্রামে কথা হয় কৃষক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। নিজের জমির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এত বর্ষণ জীবনেও দেখিনি। কান্দরে ধানের ভুঁইয়ের ভেতর দিয়্যা পানির সুত বহিছে। মাঠের ৮০ ভাগ ধান শুয়ে পড়েছে। এই ধান তুইলতে লোকও পাওয়া যাবে না। কারণ, সবাইকেই তো ধান তুইলতে হবে। একসাথে এত লোক পাওয়া যাবে কুণ্ঠে। আমরা এবার মাঠেই মাডার।’
সরেজমিনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষক জহিরুল ইসলামের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন গোদাগাড়ীতে ২৩৬ ও তানোরে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলের ফসলি মাঠ উঁচুনিচু সিঁড়ির মতো। দুপাশ উঁচু, মাঝের কিছু অংশ তুলনামূলক নিচু হলে সেই অংশটিকে ‘কান্দর’ বলে থাকেন লোকজন। বরেন্দ্র অঞ্চলের এসব কান্দরগুলো তলিয়ে গিয়ে বিলের মতো হয়ে গেছে। এসব জমিতে আছে আমন ধান। কখনো কখনো বিলের ধান ডুবলেও সাধারণত কান্দর কখনো ডোবে না। কিন্তু এবার শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সবই তলিয়েছে।
এ বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা পুকুরগুলো তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তাই বিল ও খাড়িগুলোতে মানুষ দল বেঁধে মাছ ধরতে নেমেছে। গতকাল রোববার সকালে পবা উপজেলার শুলিতলা ভিমারডাইং এলাকায় জোয়াখালি নদীর স্রোত দক্ষিণে যাচ্ছে দেখিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই নদীর স্রোত সব সময় উত্তর দিকে যায়। কিন্তু উত্তরেই এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে পানি যাচ্ছে দক্ষিণে। এটাকে বলা হয় উত্তরা পেলি। এই উত্তরা পেলি আমি আমার জীবনে এবার দ্বিতীয়বার দেখছি।’
বৃষ্টির পানিতে বিলের ভেতর থাকা পুকুরগুলো ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর ও বাগমারায় পানবরজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদ জানান, মোট ৪৬৩ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রিশিকুল ইউনিয়নের ৭১টি মাটির বাড়ি ধসে গেছে। পাকড়ি ইউনিয়নে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে। তবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে ৫০০ হেক্টর ধানের ক্ষতির একটা প্রতিবেদন দিচ্ছি। শুয়ে পড়লেই কিন্তু ক্ষতি হবে না। আমি মাঠেই আছি, দেখছি।’
মৎস্যচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানাতে পারেননি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু উপজেলা থেকে পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এটা হয়েছে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে। একই কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের মতো উঁচু জমিও এই সময়ে তলিয়ে গেছে। মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের বলেছি।’
ঋণের দুশ্চিন্তায় দুটি পরিবার
এসএসসি পাস করে সংসারের অভাব-অনটনে লেখাপড়া বাদ দেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কালীগঞ্জ গ্রামের রাব্বি হাসান (২০)। পরে বাড়ির পাশেই শুরু করেন পোলট্রি মুরগির খামার। দুই বছর লাভ-লোকসান হলেও এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেবারে পথে বসে গেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতে হঠাৎ করে হাঁটুপানি জমে খামারে। এতে মারা যায় প্রায় তাঁর ১ হাজার ৫০০ মুরগি। যার একেকটির ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।
অপরদিকে একই দিনে উপজেলার আলীপুর গ্রামে সজল আহম্মেদের খামারের একই অবস্থা। রাতে তাঁর খামার তলিয়ে মারা ১ হাজার মুরগি। ফলে দুই পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। এই অবস্থায় এনজিওর টাকা পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই পরিবার। খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি খামার পরিদর্শন করেছেন।
ধানগাছ পচে নষ্টের শঙ্কা
লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাকা-আধা পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ফসলহানির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান, নুয়ে পড়া পাকা ধান কেটে নিলেও আধা পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হলেও পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে। এ সময় বৃষ্টি আর বাতাসে নষ্ট হলো উঠতি আমন ধান। এমন গবাদিপশুর খাদ্য ধানগাছ তথা খড় পচে নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফলে ঋণ পরিশোধ আর উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবারের খাবার জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
৫৫ হেক্টর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত
শেরপুরে গত তিন দিনের বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন সবজি খেতের চরম ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, আমন ধান, সবজি ও গোল আলু মিলে মোট ৫৫ হেক্টর জমির আবাদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে। তবে কৃষকদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম জাতের ধান ও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা বলেন, অনেকে পাকা ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন, সেগুলো পানিতে নষ্ট হচ্ছে। ধুরাইল ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শেষ সময়ে আইসা বৃষ্টি অইবো ভাববার পারি নাই। যেইদিন ধান কাইট্টা খেতে রাখছি, হেইদিন থাইকা বৃষ্টি শুরু অইছে। বৃষ্টি না কমায় খেত থাইকা ধান উঠাইবার পারছি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা।’

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
নুয়ে পড়েছে ৮০ ভাগ ধান
গতকাল সকালে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার দরগাপাড়া গ্রামে কথা হয় কৃষক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। নিজের জমির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এত বর্ষণ জীবনেও দেখিনি। কান্দরে ধানের ভুঁইয়ের ভেতর দিয়্যা পানির সুত বহিছে। মাঠের ৮০ ভাগ ধান শুয়ে পড়েছে। এই ধান তুইলতে লোকও পাওয়া যাবে না। কারণ, সবাইকেই তো ধান তুইলতে হবে। একসাথে এত লোক পাওয়া যাবে কুণ্ঠে। আমরা এবার মাঠেই মাডার।’
সরেজমিনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষক জহিরুল ইসলামের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন গোদাগাড়ীতে ২৩৬ ও তানোরে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলের ফসলি মাঠ উঁচুনিচু সিঁড়ির মতো। দুপাশ উঁচু, মাঝের কিছু অংশ তুলনামূলক নিচু হলে সেই অংশটিকে ‘কান্দর’ বলে থাকেন লোকজন। বরেন্দ্র অঞ্চলের এসব কান্দরগুলো তলিয়ে গিয়ে বিলের মতো হয়ে গেছে। এসব জমিতে আছে আমন ধান। কখনো কখনো বিলের ধান ডুবলেও সাধারণত কান্দর কখনো ডোবে না। কিন্তু এবার শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সবই তলিয়েছে।
এ বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা পুকুরগুলো তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তাই বিল ও খাড়িগুলোতে মানুষ দল বেঁধে মাছ ধরতে নেমেছে। গতকাল রোববার সকালে পবা উপজেলার শুলিতলা ভিমারডাইং এলাকায় জোয়াখালি নদীর স্রোত দক্ষিণে যাচ্ছে দেখিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই নদীর স্রোত সব সময় উত্তর দিকে যায়। কিন্তু উত্তরেই এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে পানি যাচ্ছে দক্ষিণে। এটাকে বলা হয় উত্তরা পেলি। এই উত্তরা পেলি আমি আমার জীবনে এবার দ্বিতীয়বার দেখছি।’
বৃষ্টির পানিতে বিলের ভেতর থাকা পুকুরগুলো ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর ও বাগমারায় পানবরজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদ জানান, মোট ৪৬৩ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রিশিকুল ইউনিয়নের ৭১টি মাটির বাড়ি ধসে গেছে। পাকড়ি ইউনিয়নে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে। তবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে ৫০০ হেক্টর ধানের ক্ষতির একটা প্রতিবেদন দিচ্ছি। শুয়ে পড়লেই কিন্তু ক্ষতি হবে না। আমি মাঠেই আছি, দেখছি।’
মৎস্যচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানাতে পারেননি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু উপজেলা থেকে পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এটা হয়েছে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে। একই কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের মতো উঁচু জমিও এই সময়ে তলিয়ে গেছে। মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের বলেছি।’
ঋণের দুশ্চিন্তায় দুটি পরিবার
এসএসসি পাস করে সংসারের অভাব-অনটনে লেখাপড়া বাদ দেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কালীগঞ্জ গ্রামের রাব্বি হাসান (২০)। পরে বাড়ির পাশেই শুরু করেন পোলট্রি মুরগির খামার। দুই বছর লাভ-লোকসান হলেও এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেবারে পথে বসে গেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতে হঠাৎ করে হাঁটুপানি জমে খামারে। এতে মারা যায় প্রায় তাঁর ১ হাজার ৫০০ মুরগি। যার একেকটির ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।
অপরদিকে একই দিনে উপজেলার আলীপুর গ্রামে সজল আহম্মেদের খামারের একই অবস্থা। রাতে তাঁর খামার তলিয়ে মারা ১ হাজার মুরগি। ফলে দুই পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। এই অবস্থায় এনজিওর টাকা পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই পরিবার। খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি খামার পরিদর্শন করেছেন।
ধানগাছ পচে নষ্টের শঙ্কা
লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাকা-আধা পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ফসলহানির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান, নুয়ে পড়া পাকা ধান কেটে নিলেও আধা পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হলেও পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে। এ সময় বৃষ্টি আর বাতাসে নষ্ট হলো উঠতি আমন ধান। এমন গবাদিপশুর খাদ্য ধানগাছ তথা খড় পচে নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফলে ঋণ পরিশোধ আর উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবারের খাবার জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
৫৫ হেক্টর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত
শেরপুরে গত তিন দিনের বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন সবজি খেতের চরম ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, আমন ধান, সবজি ও গোল আলু মিলে মোট ৫৫ হেক্টর জমির আবাদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে। তবে কৃষকদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম জাতের ধান ও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা বলেন, অনেকে পাকা ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন, সেগুলো পানিতে নষ্ট হচ্ছে। ধুরাইল ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শেষ সময়ে আইসা বৃষ্টি অইবো ভাববার পারি নাই। যেইদিন ধান কাইট্টা খেতে রাখছি, হেইদিন থাইকা বৃষ্টি শুরু অইছে। বৃষ্টি না কমায় খেত থাইকা ধান উঠাইবার পারছি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা।’

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
০২ অক্টোবর ২০২১
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
৬ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।

লাল শাপলার বিল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পানির ওপরে লাল গালিচা বিছানো রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে বিছানো সেই মনোহর গালিচা। এক পলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এ বিলটি রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রাজবল্লভ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিস্তা নদীর তীরের ডানে প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশেই এ বিল অবস্থিত।
০২ অক্টোবর ২০২১
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
৬ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
১৩ ঘণ্টা আগে