আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
১ দিন আগে