আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

২০১০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। পরপর রেকর্ড গরম বছরগুলোর কারণ আজও বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চীন ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণ কমাই এই দ্রুত উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ, বিশেষ করে অ্যারোসল কণা হ্রাসের কারণে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। এর কারণ হলো, অ্যারোসল কণা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যখন এই কণাগুলো কমে যায়, তখন সূর্যের আলো আরও বেশি পরিমাণে পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং উষ্ণতা বাড়ায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চীনে বায়ুদূষণ কমার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, অ্যারোসল কণাগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতা বাড়ানোর প্রভাবকে কিছু পরিমাণে প্রশমিত করত, কিন্তু দূষণ কমার কারণে সেই প্রভাব আর নেই।
বিশেষ করে, চীনে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানার কারণে সৃষ্ট দূষণ কমানোর ফলে এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইউএনইপির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার বায়ুদূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়লার ব্যবহার সীমিত করা, পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ও শিল্প-কারখানার দূষণ কমানো।
নতুন গবেষণা বলছে, পূর্ব এশিয়ার অ্যারোসলের পাশাপাশি সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ২০১৩ সালের পর থেকে ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। সেই সময় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি বাড়তে শুরু করে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বিশ্বের আটটি ক্লাইমেট মডেলিং দলের ১৬০টি কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের সালফার নির্গমন কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এটি ২০২০ সালের পর থেকে শুরু হয় এবং এককভাবে বর্তমান তাপমাত্রা বাড়ার পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারে না। নাসার বিজ্ঞানীরা মেঘের পরিমাণে পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। তবে পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে, চীনে বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া কিছু পদক্ষেপকে এই দ্রুত উষ্ণায়নের একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার হার হওয়ার লক্ষ্য ছিল শূন্য দশমিক ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাস্তবে তা হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ ডিগ্রি। এই অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশির ভাগ অংশ ব্যাখ্যা করা যায় চীন ও পূর্ব এশিয়ার দূষণ কমে যাওয়া দিয়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দূষণ হ্রাস বিশ্বজুড়ে সূর্যালোক প্রতিফলনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশে মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাটি আরও দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও এই তাপমাত্রা বাড়ার চিত্র মডেলিং ফলাফলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস। তাই শুধু বায়ুদূষণ হ্রাস এই উষ্ণায়ন ঘটায়নি, বরং এত দিন দূষণের কারণে যে কৃত্রিম শীতলতা ছিল, তা সরে যাওয়াতেই বাস্তব অবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটায়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি। তবে এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এনেছে; যে কারণে বিশ্ব এখন অতিরিক্ত উষ্ণতার মুখোমুখি।

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গবেষকদের ভাষ্য, এত দিন দূষিত বাতাস সূর্যালোকের একটি বড় অংশ আটকে রাখত, ফলে ভূপৃষ্ঠ তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকত। কিন্তু এখন বাতাস পরিষ্কার হওয়ায় সেই ‘সানশেড’ বা কৃত্রিম ছায়া দূর হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আগের মতোই অব্যাহত থাকায় তাপমাত্রা হঠাৎ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
১৪ জুলাই ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে