চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
নির্মাণশ্রমিক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘মাতার ওপরে সূর্য দাউ দাউ করে জ্বোলছে, রোদির (রোদের) তাপে এক্বেবারে পুইড়ে যাচ্চি। তারপরও কিচ্চু করার নেই, কাজ না করলি খাবো কী? মাঝেমদ্দি হালকা কইরে বসে আবার কাজ কচ্চি।’
টানা এক মাস ধরে চুয়াডাঙ্গায় নজিরবিহীন উচ্চ খরতাপে দুঃসহ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। এর মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের কাজ থেমে নেই। তীব্র গরমে রোদে পুড়ে কাজ করছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজন নির্মাণশ্রমিক আব্দুল মাজেদ।
আজ মঙ্গলবার জেলায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সূর্যের কড়া রোদের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার জনবসতি, মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। খাল-বিল-পুকুরে পানি শুকিয়ে ফেটে চৌচির অবস্থা। এর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
দিনের অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পাশাপাশি রাতে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশি রয়েছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ছাড়া টানা এক মাস ধরে অব্যাহত থাকা তাপপ্রবাহ, খরার দহন, অনাবৃষ্টিতে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মানুষ। টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে আম-লিচু-জাম, পেঁপে, জামরুলসহ মৌসুমি ফল-ফলাদির বাগান, শাক-সবজি খেত, গবাদি পশু-পাখি, প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য।
পোলট্রি খাতে বিপর্যয় চলছে। খামারেই মারা যাচ্ছে প্রতিদিন অসংখ্য ব্রয়লার মুরগি ও বাচ্চা। ডিম উৎপাদন কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুরগি খামারি রাসেল আলী বলেন, ‘টানা উচ্চ দাবদাহে প্রতিদিনই অসংখ্য মুরগি মারা যাচ্ছে। খামারের প্রায় সব মুরগিই অসুস্থ হয়ে ঝিমাচ্ছে। মুরগিগুলো বাঁচিয়ে রাখতে রাত-দিন খামারে শ্রম দিচ্ছি। তারপরও মারা যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কখনো মাঝারি, কখনো তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আগামী ৪ মে পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক সপ্তাহ মতো স্থায়ী হতে পারে। এ সময় রোদের সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা সহনশীল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নির্মাণশ্রমিক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘মাতার ওপরে সূর্য দাউ দাউ করে জ্বোলছে, রোদির (রোদের) তাপে এক্বেবারে পুইড়ে যাচ্চি। তারপরও কিচ্চু করার নেই, কাজ না করলি খাবো কী? মাঝেমদ্দি হালকা কইরে বসে আবার কাজ কচ্চি।’
টানা এক মাস ধরে চুয়াডাঙ্গায় নজিরবিহীন উচ্চ খরতাপে দুঃসহ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। এর মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের কাজ থেমে নেই। তীব্র গরমে রোদে পুড়ে কাজ করছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজন নির্মাণশ্রমিক আব্দুল মাজেদ।
আজ মঙ্গলবার জেলায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সূর্যের কড়া রোদের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার জনবসতি, মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। খাল-বিল-পুকুরে পানি শুকিয়ে ফেটে চৌচির অবস্থা। এর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
দিনের অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পাশাপাশি রাতে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশি রয়েছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ছাড়া টানা এক মাস ধরে অব্যাহত থাকা তাপপ্রবাহ, খরার দহন, অনাবৃষ্টিতে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মানুষ। টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে আম-লিচু-জাম, পেঁপে, জামরুলসহ মৌসুমি ফল-ফলাদির বাগান, শাক-সবজি খেত, গবাদি পশু-পাখি, প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য।
পোলট্রি খাতে বিপর্যয় চলছে। খামারেই মারা যাচ্ছে প্রতিদিন অসংখ্য ব্রয়লার মুরগি ও বাচ্চা। ডিম উৎপাদন কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুরগি খামারি রাসেল আলী বলেন, ‘টানা উচ্চ দাবদাহে প্রতিদিনই অসংখ্য মুরগি মারা যাচ্ছে। খামারের প্রায় সব মুরগিই অসুস্থ হয়ে ঝিমাচ্ছে। মুরগিগুলো বাঁচিয়ে রাখতে রাত-দিন খামারে শ্রম দিচ্ছি। তারপরও মারা যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কখনো মাঝারি, কখনো তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আগামী ৪ মে পর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক সপ্তাহ মতো স্থায়ী হতে পারে। এ সময় রোদের সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা সহনশীল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে তাতে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। বরং কয়েক দিন পর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এই এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। গতকাল ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭ মিলিমিটার।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে আজ দূষণ কিছুটা কমেছে। গতকালের তুলনায় রাজধানী শহরের বাতাসে ক্ষতিকর কণার পরিমাণ আজ কিছুটা কম। আজ শুক্রবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ তৃতীয়।
১০ ঘণ্টা আগেআজ বৃহস্পতিবার বজ্রপাত নিয়ে কিছু সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ ১ মে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টা ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার...
১ দিন আগে