
কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১৫ ঘণ্টা আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত ৮৯১টি প্রকল্পে অনিয়মের আনুমানিক পরিমাণ বলা হয়েছে ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা)।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এ সময় সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও ছিলেন।
প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রণীত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব প্রকট।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বিপদাপন্ন অঞ্চলে বরাদ্দের অগ্রাধিকার কম এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবে জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, জলবায়ু তহবিলের অর্থে সাফারি পার্ক ও ইকোপার্ক নির্মাণের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নিম্নমানের কাজ, অর্থ আত্মসাৎ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যর্থতার প্রকটতাও গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১ দশমিক ৬ শতাংশ) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫১৫ দিনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৩৩ শতাংশের বেশি সময় লেগেছে। কোনো কোনো প্রকল্পে চার বছরের পরিবর্তে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
টিআইবির অভিযোগ, জলবায়ু অর্থায়নে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।’
গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করেছে টিআইবি। সেগুলো হলো—
১. বিসিসিএসএপি ২০০৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ হালনাগাদ করে যুগোপযোগী করতে হবে। জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে ট্রাস্ট ফান্ড এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতার জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সংশোধন করতে হবে। আইনে ট্রাস্টের জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ক ধারা সংযোজন করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান যুক্ত করতে হবে। ট্রাস্ট থেকে কমপক্ষে একজন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল অর্জনে সক্ষম বা ট্রান্সফর্মেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তহবিলের আওতায় অর্থ বরাদ্দের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত এবং অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে প্রচলিত আইন, যেগুলো ট্রাস্টের জন্য প্রযোজ্য, তা সুনির্দিষ্ট করে ট্রাস্ট আইনে উল্লেখ করতে হবে। আর্থিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপক হিসেবে বিসিসিটির কর্মকর্তাদের প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি ও শর্তাবলি নির্ধারণ, প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থ ছাড়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প তদারকি, প্রকল্প পরিবীক্ষণ এবং নথি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দুর্নীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, অংশীজনের অংশগ্রহণ, তহবিল ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট তথ্য উন্মুক্তকরণ, পরিবেশ ও সামাজিক মূল্যায়ন এবং নিয়মিত নিরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয় নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩. রাজস্ব বাজেটের বাইরে বিসিসিটিকে উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম, যেমন—আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল, কার্বন ট্রেডিং, ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজমসহ বেসরকারি অর্থায়ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪. থিমভিত্তিক, বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকির ভৌগোলিক বিন্যাসভিত্তিক এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বিসিসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত পথ নকশা প্রস্তুত করতে হবে। পথ নকশায় মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. বিসিসিটির আওতায় স্বল্পমেয়াদি এবং টাকার অঙ্ক ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিহার করতে হবে। প্রান্তিক, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, উপজেলা এবং স্থান যেখানে সাধারণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এমন স্থানে বিসিসিটি থেকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৬. বাংলাদেশে বাস্তবায়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প নিয়মিত তদারকি ও নিরীক্ষা করার জন্য একটি পৃথক স্বাধীন তদারকি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে জলবায়ু তহবিল কার্যকরভাবে পৌঁছানো নিশ্চিতে বিপদাপন্নতার সূচক এবং ভৌগোলিক বা স্থানিক ঝুঁকিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৮. জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনাসহ অংশীজন সমন্বয় ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. তহবিলসমূহের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, অবকাঠামো ও সৌর সড়কবাতি-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।

বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত ৮৯১টি প্রকল্পে অনিয়মের আনুমানিক পরিমাণ বলা হয়েছে ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা)।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এ সময় সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও ছিলেন।
প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রণীত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব প্রকট।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বিপদাপন্ন অঞ্চলে বরাদ্দের অগ্রাধিকার কম এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবে জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, জলবায়ু তহবিলের অর্থে সাফারি পার্ক ও ইকোপার্ক নির্মাণের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নিম্নমানের কাজ, অর্থ আত্মসাৎ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যর্থতার প্রকটতাও গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১ দশমিক ৬ শতাংশ) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫১৫ দিনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৩৩ শতাংশের বেশি সময় লেগেছে। কোনো কোনো প্রকল্পে চার বছরের পরিবর্তে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
টিআইবির অভিযোগ, জলবায়ু অর্থায়নে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।’
গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করেছে টিআইবি। সেগুলো হলো—
১. বিসিসিএসএপি ২০০৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ হালনাগাদ করে যুগোপযোগী করতে হবে। জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে ট্রাস্ট ফান্ড এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতার জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সংশোধন করতে হবে। আইনে ট্রাস্টের জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ক ধারা সংযোজন করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান যুক্ত করতে হবে। ট্রাস্ট থেকে কমপক্ষে একজন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল অর্জনে সক্ষম বা ট্রান্সফর্মেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তহবিলের আওতায় অর্থ বরাদ্দের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত এবং অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে প্রচলিত আইন, যেগুলো ট্রাস্টের জন্য প্রযোজ্য, তা সুনির্দিষ্ট করে ট্রাস্ট আইনে উল্লেখ করতে হবে। আর্থিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপক হিসেবে বিসিসিটির কর্মকর্তাদের প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি ও শর্তাবলি নির্ধারণ, প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থ ছাড়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প তদারকি, প্রকল্প পরিবীক্ষণ এবং নথি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দুর্নীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, অংশীজনের অংশগ্রহণ, তহবিল ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট তথ্য উন্মুক্তকরণ, পরিবেশ ও সামাজিক মূল্যায়ন এবং নিয়মিত নিরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয় নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩. রাজস্ব বাজেটের বাইরে বিসিসিটিকে উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম, যেমন—আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল, কার্বন ট্রেডিং, ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজমসহ বেসরকারি অর্থায়ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪. থিমভিত্তিক, বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকির ভৌগোলিক বিন্যাসভিত্তিক এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বিসিসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত পথ নকশা প্রস্তুত করতে হবে। পথ নকশায় মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. বিসিসিটির আওতায় স্বল্পমেয়াদি এবং টাকার অঙ্ক ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিহার করতে হবে। প্রান্তিক, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, উপজেলা এবং স্থান যেখানে সাধারণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এমন স্থানে বিসিসিটি থেকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৬. বাংলাদেশে বাস্তবায়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প নিয়মিত তদারকি ও নিরীক্ষা করার জন্য একটি পৃথক স্বাধীন তদারকি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে জলবায়ু তহবিল কার্যকরভাবে পৌঁছানো নিশ্চিতে বিপদাপন্নতার সূচক এবং ভৌগোলিক বা স্থানিক ঝুঁকিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৮. জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনাসহ অংশীজন সমন্বয় ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. তহবিলসমূহের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, অবকাঠামো ও সৌর সড়কবাতি-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১৫ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। অন্যদিকে ঢাকার বাতাসেও দূষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় বেড়েছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১০৫, যা গতকাল ছিল ৮০। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ১০ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ২২তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৩৫৯, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা ও দিল্লি, উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৮, ২৩১, ১৫৯ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। অন্যদিকে ঢাকার বাতাসেও দূষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় বেড়েছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১০৫, যা গতকাল ছিল ৮০। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ১০ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ২২তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৩৫৯, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা ও দিল্লি, উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৮, ২৩১, ১৫৯ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১৫ ঘণ্টা আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৭ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
তবে শীতের দেখা মিলতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ডিসেম্বর মাসের আগে সারা দেশে শীত না পড়ার সম্ভাবনা কম। এর আগে অবশ্য নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলে হালকা শীত পড়তে পারে।

বঙ্গোপসাগরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৭ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
তবে শীতের দেখা মিলতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ডিসেম্বর মাসের আগে সারা দেশে শীত না পড়ার সম্ভাবনা কম। এর আগে অবশ্য নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলে হালকা শীত পড়তে পারে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১৫ ঘণ্টা আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে