আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই ভিন্ন পাখির প্রজাতির প্রজননের ফলে টেক্সাসে জন্ম নিয়েছে এক নতুন প্রজাতির পাখি—গ্রু জে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এই ‘গ্রু’ জে হচ্ছে নীল জে (Blue Jay) ও সবুজ জে (Green Jay) প্রজাতির প্রাকৃতিক সংকরায়ণের ফল। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ দুই প্রজাতির আবাসস্থল এখন এতটাই কাছাকাছি চলে আসায় এমন মিলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, নীল ও সবুজ জে প্রজাতির দুটি পাখির মধ্যে স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমেই এই নতুন প্রজাতির জন্ম। গবেষকদের মতে, এ ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুই ভিন্ন পাখির আবাসস্থল একত্রে আসার ফল।
সবুজ জে মূলত নীল জে’র আত্মীয়, যার বাস টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত পার হয়ে রিও গ্র্যান্ড নদীর চারপাশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
গবেষণায় দেখা গেছে, নীল জে’র বাসস্থানও সম্প্রতি সম্প্রসারিত হয়ে অস্টিন এবং সান অ্যান্তোনিও পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে সবুজ জে’র সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনা প্রথম নজরে আনেন ব্রায়ান স্টোকস। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তুবিদ্যা, বিবর্তন ও আচরণবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
স্টোকস বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি প্রথম প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া এমন কোনো মেরুদণ্ডী প্রাণী, যার সংকর হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম কারণ।’
গবেষণায় স্টোকস ও তাঁর তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক টিমোথি কিট উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ টেক্সাসে দীর্ঘস্থায়ী হিমশীতল আবহাওয়ার অনুপস্থিতি সবুজ জে’কে উত্তর দিকে বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। অপরদিকে, নীল জে দক্ষিণ ও পশ্চিম টেক্সাসে বিস্তার লাভ করছে। এর পেছনে জলবায়ুর পাশাপাশি মানুষের তৈরি বসতিস্থান এবং পাখিদের জন্য ব্যবহৃত বার্ড ফিডারগুলোরও (পাখিদের খাবার দেওয়ার একধরনের পাত্র) ভূমিকা থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে গবেষণাগারে দুই প্রজাতির পাখিকে কৃত্রিমভাবে সংকর করা হয়েছিল এবং তখনো একধরনের নীল-সবুজ জে তৈরি হয়েছিল।
স্টোকস বলেন, ‘প্রকৃতিতে হাইব্রিডাইজেশন হয়তো অনেক বেশি সাধারণ ঘটনা, তবে আমরা সেগুলো দেখতে পাই না বলেই সেভাবে জানি না।
তিনি আরও জানান, এর আগে মেরু ভালুক ও বিজলি ভালুক, কায়োটি ও নেকড়ে এবং বেলুগা তিমি ও নারওয়েল তিমির মধ্যে সংকরায়ণ ঘটেছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
স্টোকস বলেন, ‘অনেক সময় দুই প্রজাতির ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগই পায় না। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থলের পরিবর্তন, ও অন্যান্য পরিবেশগত চাপের ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়তে পারে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বিভিন্ন প্রজাতি জলবায়ু ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে, তাই পূর্বে আলাদা থাকা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় প্রজাতিদের মধ্যে এ ধরনের হাইব্রিডাইজেশনের ঘটনা আরও বেশি দেখা যেতে পারে।’
দুই ভিন্ন পাখির প্রজাতির প্রজননের ফলে টেক্সাসে জন্ম নিয়েছে এক নতুন প্রজাতির পাখি—গ্রু জে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এই ‘গ্রু’ জে হচ্ছে নীল জে (Blue Jay) ও সবুজ জে (Green Jay) প্রজাতির প্রাকৃতিক সংকরায়ণের ফল। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ দুই প্রজাতির আবাসস্থল এখন এতটাই কাছাকাছি চলে আসায় এমন মিলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, নীল ও সবুজ জে প্রজাতির দুটি পাখির মধ্যে স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমেই এই নতুন প্রজাতির জন্ম। গবেষকদের মতে, এ ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুই ভিন্ন পাখির আবাসস্থল একত্রে আসার ফল।
সবুজ জে মূলত নীল জে’র আত্মীয়, যার বাস টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত পার হয়ে রিও গ্র্যান্ড নদীর চারপাশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
গবেষণায় দেখা গেছে, নীল জে’র বাসস্থানও সম্প্রতি সম্প্রসারিত হয়ে অস্টিন এবং সান অ্যান্তোনিও পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে সবুজ জে’র সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনা প্রথম নজরে আনেন ব্রায়ান স্টোকস। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তুবিদ্যা, বিবর্তন ও আচরণবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
স্টোকস বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি প্রথম প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া এমন কোনো মেরুদণ্ডী প্রাণী, যার সংকর হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম কারণ।’
গবেষণায় স্টোকস ও তাঁর তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক টিমোথি কিট উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ টেক্সাসে দীর্ঘস্থায়ী হিমশীতল আবহাওয়ার অনুপস্থিতি সবুজ জে’কে উত্তর দিকে বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। অপরদিকে, নীল জে দক্ষিণ ও পশ্চিম টেক্সাসে বিস্তার লাভ করছে। এর পেছনে জলবায়ুর পাশাপাশি মানুষের তৈরি বসতিস্থান এবং পাখিদের জন্য ব্যবহৃত বার্ড ফিডারগুলোরও (পাখিদের খাবার দেওয়ার একধরনের পাত্র) ভূমিকা থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে গবেষণাগারে দুই প্রজাতির পাখিকে কৃত্রিমভাবে সংকর করা হয়েছিল এবং তখনো একধরনের নীল-সবুজ জে তৈরি হয়েছিল।
স্টোকস বলেন, ‘প্রকৃতিতে হাইব্রিডাইজেশন হয়তো অনেক বেশি সাধারণ ঘটনা, তবে আমরা সেগুলো দেখতে পাই না বলেই সেভাবে জানি না।
তিনি আরও জানান, এর আগে মেরু ভালুক ও বিজলি ভালুক, কায়োটি ও নেকড়ে এবং বেলুগা তিমি ও নারওয়েল তিমির মধ্যে সংকরায়ণ ঘটেছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
স্টোকস বলেন, ‘অনেক সময় দুই প্রজাতির ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগই পায় না। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থলের পরিবর্তন, ও অন্যান্য পরিবেশগত চাপের ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বাড়তে পারে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বিভিন্ন প্রজাতি জলবায়ু ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে, তাই পূর্বে আলাদা থাকা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় প্রজাতিদের মধ্যে এ ধরনের হাইব্রিডাইজেশনের ঘটনা আরও বেশি দেখা যেতে পারে।’
টানা কয়েক ঘণ্টা চলে এই বজ্রসহ বৃষ্টি। ভোর পর্যন্ত খানিকটা বিরতি। এরপর আকাশে আবারও জড়ো হতে থাকে ঘন কালো মেঘ। ভোরের আলো ফোটার পরপরই আবার ভারী বর্ষণ। এই ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর পথঘাট জলমগ্ন। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
৬ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৪৪, যা বিশুদ্ধ বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৫৮।
৮ ঘণ্টা আগেকিছুটা ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানীসহ দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি গতকাল রোববার দিবাগত রাত থেকে শুরু হলেও এর রেশ খুব একটা কমেনি। বরং সামান্য বিরতি দিয়ে আজ সোমবার ভোরবেলা থেকে বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের এনডিসি ৩.০ (থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন) বাস্তবায়নে ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন শর্তহীন এবং ৯০ দশমিক ২৩
১ দিন আগে