নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশ জুড়ে হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের নৃশংস আচরণের অগণিত চিত্র উঠে এসেছে। ২০২১ সালে দেশের বনাঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪টি হাতি। বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ‘হাতির মৃত্যুর ঘটনায় করা ছায়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।
লিখিত বক্তব্যে জোটের আহ্বায়ক পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘বন এখন আর শুধু বৃক্ষ এবং বন্যপ্রাণীর জন্য নেই। বনভূমি এখন অনেক মানুষের হীন স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। বন, বনভূমি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগ ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় এত দিন তারা বনভূমি বেদখলে সহযোগিতা করেছে। বনকে বাণিজ্যমুখী করেছে। বন বিভাগের মূল ম্যান্ডেট হওয়ার কথা বন-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অথচ তারা প্রকল্প দিয়ে বন-বন্যপ্রাণী রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটাও লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। প্রকল্প শেষ হলেই ক্ষতিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। বর্তমানে যে সংকট সেটি বন অধিদপ্তরের একার পক্ষে সমাধান করা অসম্ভব। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগের বিকল্প নেই।’
উল্লেখ্য, হাতি হত্যার ঘটনায় কক্সবাজারের রামু এবং শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছায়া তদন্ত করে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের গঠিত তদন্ত দল।
কক্সবাজারে ছায়া তদন্ত প্রতিবেদনে সংগঠনটি বলছে, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া ও ধোয়াপালং রেঞ্জের ১৩,০৬৫ একর বনভূমির মধ্যে অর্ধেকের বেশি অবৈধ দখলে চলে গেছে। যদিও বন বিভাগ বনভূমি বেদখলের পরিমাণ উল্লেখ করেছে ১,২০২ একর। চারপাশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বনভূমির ওপর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় হাতি চলাচলের পথ (করিডর) ও আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় আনুমানিক ১০০ একর জায়গায় প্রায় ৪০ টির মতো হাতি আটকে পড়েছে। বনভূমিতে অবৈধ বসতবাড়ি, পানের বরজ, বিভিন্ন খেতখামার, ঘের, বিদ্যুৎ সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর জন্য চরম হুমকি তৈরি করেছে। সেখানেও হাতির নিরাপদ আবাস, খাদ্য ও পানির সংকট তীব্র হওয়ায় এসব হাতি একপ্রকার উপায়হীন হয়ে মানুষের বসতবাড়ি ও খেতখামারে প্রায় প্রতিদিন হানা দিচ্ছে। এতে উক্ত এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে হাতি হত্যার মতো ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে শেরপুরের শ্রীবরদী এবং ঝিনাইগাতী এলাকায় ছায়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানকার বনভূমিতে ব্যাপক মানুষের অবৈধ বসবাস রয়েছে। অবৈধ বসবাসকারীদের মাঝে হাতি বিদ্বেষী মনোভাবও রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেদিনের ঘটনাস্থলের পাশেই বনের ভেতর বিদ্যুতের খাম্বা রয়েছে। তবে ঘটনার পরে ওই খাম্বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও আশপাশের সংরক্ষিত বন ভূমিতে বিদ্যুতের অসংখ্য খাম্বার মাধ্যমে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখার চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। বনের ভেতর অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বন বিভাগ চিঠি দিলেও বিদ্যুৎ বিভাগের তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি শেরপুরের পল্লি বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার। শেরপুরের বনে হাতির খাবার উপযোগী গাছের যথেষ্ট সংকট আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। বনভূমির বড় অংশই ইউক্যালিপটাস আবৃত লক্ষ করা গেছে।
জোটের তথ্য বলছে, দেশে বনভূমির অবৈধ দখলদাররা অনেক বেশি শক্তিশালী। তাদের কাছে বন বিভাগই বরং অসহায়। ২০২১ সালে ৩৪টি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র দুটিতে। বাকি ঘটনায় বন অধিদপ্তর মামলাই করেনি। কিছু মৃত্যু স্বাভাবিক হলেও গড়িমসি করে অধিকাংশ হত্যার ঘটনাকে স্বাভাবিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। বন অধিদপ্তর ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট থাকলেও এসব ঘটনায় তাদের তৎপরতাও অসন্তোষজনক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আব্দুল ওহাব, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার প্রমুখ।
দেশ জুড়ে হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের নৃশংস আচরণের অগণিত চিত্র উঠে এসেছে। ২০২১ সালে দেশের বনাঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪টি হাতি। বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ‘হাতির মৃত্যুর ঘটনায় করা ছায়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।
লিখিত বক্তব্যে জোটের আহ্বায়ক পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘বন এখন আর শুধু বৃক্ষ এবং বন্যপ্রাণীর জন্য নেই। বনভূমি এখন অনেক মানুষের হীন স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। বন, বনভূমি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা দিতে বন বিভাগ ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় এত দিন তারা বনভূমি বেদখলে সহযোগিতা করেছে। বনকে বাণিজ্যমুখী করেছে। বন বিভাগের মূল ম্যান্ডেট হওয়ার কথা বন-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অথচ তারা প্রকল্প দিয়ে বন-বন্যপ্রাণী রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটাও লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। প্রকল্প শেষ হলেই ক্ষতিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। বর্তমানে যে সংকট সেটি বন অধিদপ্তরের একার পক্ষে সমাধান করা অসম্ভব। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগের বিকল্প নেই।’
উল্লেখ্য, হাতি হত্যার ঘটনায় কক্সবাজারের রামু এবং শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছায়া তদন্ত করে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের গঠিত তদন্ত দল।
কক্সবাজারে ছায়া তদন্ত প্রতিবেদনে সংগঠনটি বলছে, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া ও ধোয়াপালং রেঞ্জের ১৩,০৬৫ একর বনভূমির মধ্যে অর্ধেকের বেশি অবৈধ দখলে চলে গেছে। যদিও বন বিভাগ বনভূমি বেদখলের পরিমাণ উল্লেখ করেছে ১,২০২ একর। চারপাশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বনভূমির ওপর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় হাতি চলাচলের পথ (করিডর) ও আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় আনুমানিক ১০০ একর জায়গায় প্রায় ৪০ টির মতো হাতি আটকে পড়েছে। বনভূমিতে অবৈধ বসতবাড়ি, পানের বরজ, বিভিন্ন খেতখামার, ঘের, বিদ্যুৎ সংযোগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর জন্য চরম হুমকি তৈরি করেছে। সেখানেও হাতির নিরাপদ আবাস, খাদ্য ও পানির সংকট তীব্র হওয়ায় এসব হাতি একপ্রকার উপায়হীন হয়ে মানুষের বসতবাড়ি ও খেতখামারে প্রায় প্রতিদিন হানা দিচ্ছে। এতে উক্ত এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে হাতি হত্যার মতো ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে শেরপুরের শ্রীবরদী এবং ঝিনাইগাতী এলাকায় ছায়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানকার বনভূমিতে ব্যাপক মানুষের অবৈধ বসবাস রয়েছে। অবৈধ বসবাসকারীদের মাঝে হাতি বিদ্বেষী মনোভাবও রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেদিনের ঘটনাস্থলের পাশেই বনের ভেতর বিদ্যুতের খাম্বা রয়েছে। তবে ঘটনার পরে ওই খাম্বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও আশপাশের সংরক্ষিত বন ভূমিতে বিদ্যুতের অসংখ্য খাম্বার মাধ্যমে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখার চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। বনের ভেতর অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বন বিভাগ চিঠি দিলেও বিদ্যুৎ বিভাগের তেমন ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি শেরপুরের পল্লি বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার। শেরপুরের বনে হাতির খাবার উপযোগী গাছের যথেষ্ট সংকট আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। বনভূমির বড় অংশই ইউক্যালিপটাস আবৃত লক্ষ করা গেছে।
জোটের তথ্য বলছে, দেশে বনভূমির অবৈধ দখলদাররা অনেক বেশি শক্তিশালী। তাদের কাছে বন বিভাগই বরং অসহায়। ২০২১ সালে ৩৪টি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র দুটিতে। বাকি ঘটনায় বন অধিদপ্তর মামলাই করেনি। কিছু মৃত্যু স্বাভাবিক হলেও গড়িমসি করে অধিকাংশ হত্যার ঘটনাকে স্বাভাবিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। বন অধিদপ্তর ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট থাকলেও এসব ঘটনায় তাদের তৎপরতাও অসন্তোষজনক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আব্দুল ওহাব, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার প্রমুখ।
বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর ও আরও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আন্দামান সাগরে বর্ষা মৌসুম পৌঁছে গেছে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে, আন্দামান সাগরে অবস্থিত ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ আন্দামান-নিকোবরে গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে এমন খবরই দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
৩ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি হলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকবে। তবে, সামান্য বাড়তে পারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দিনের তাপমাত্রা। কিন্তু গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। গতকাল সোমবার ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৩২, যা ছিল সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
১২ ঘণ্টা আগেঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গতকাল যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রির কিছু বেশি।
১২ ঘণ্টা আগে