
প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১ দিন আগে