আসলাম আহসান
‘মুঘল-এ-আজম’ (১৯৬০) ছবিতে মধুবালার ওপর চিত্রায়িত লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘মোহে পনঘাটপে নন্দলাল’ গানটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। এ গানের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য সংগীত পরিচালক নওশাদ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁকে। শঙ্কর-জয়কিশেনের সংগীত পরিচালনায় ‘বসন্ত বাহার’ (১৯৫৬) ছবিতে একই শিল্পীর গাওয়া গাওয়া ‘নৈন মিলে চৈন কাঁহা’ গানেও রয়ে গেছে পান্নালালের বাঁশির জাদু। শুধু তাই নয়। ‘আনজান’ (১৯৪১), ‘বসন্ত’ (১৯৪২), ‘দুহাই’ (১৯৪৩), ‘নন্দকিশোর’ (১৯৫১), ‘বসন্ত বাহার’ (১৯৫৬), ‘মুঘল-এ-আজম’ (১৯৬০) প্রভৃতি বিখ্যাত ছবির গান ও আবহসংগীতে মিশে আছে তাঁর বাঁশির কারুকাজ। ‘আঁধিয়া’ (১৯৫২) ছবির আবহসংগীতে তিনি কাজ করেন ওস্তাদ আলী আকবর খান ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে। ‘স্নেহবন্ধন’ (১৯৪০) তাঁর সংগীত পরিচালনায় প্রথম সিনেমা।
তিনি পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষ (২৪ জুলাই ১৯১১-২০ এপ্রিল ১৯৬০)। ভারতীয় উপমহাদেশে বাঁশির বিবর্তন ও বিকাশে পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষ এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। তাঁর জন্ম হয়েছিল তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বরিশালে, কীর্তনখোলা নদীর পারে। ডাকনাম ছিল অমল জ্যোতি ঘোষ। পিতামহ হরকুমার ঘোষ প্রখ্যাত ধ্রুপদি আর পিতা অক্ষয় কুমার ঘোষ ছিলেন প্রসিদ্ধ সেতারবাদক। মা সুকুমারী ছিলেন সুগায়িকা। চৌদ্দ বছর বয়সে পান্নালাল বাঁশি শিখতে শুরু করেন।
বাঁশির যে আধুনিক রূপটি আমরা দেখি, সেটি পান্নালাল ঘোষের উদ্ভাবন। ৩২ ইঞ্চি আকৃতির সাত ছিদ্রবিশিষ্ট বাঁশির প্রথম প্রচলন তিনিই করেছিলেন। আগেকার বাঁশিতে দু একটি স্বর বাজানো বেশ অসুবিধাজনক ছিল। সপ্তম ছিদ্রটি উদ্ভাবন করে পান্নালাল সে সমস্যার সমাধান করেন। তিনিই বাঁশিকে উন্নীত করেছিলেন সেতার, সরোদ, সানাই, সারেঙ্গির পর্যায়ে যা এককভাবে ধ্রুপদি সংগীতের গৌরবে বাজতে পারে মূল যন্ত্র হিসেবে। কণ্ঠ সংগীতের গায়কিকে তিনি তাঁর বাঁশিতে ধারণ করেছিলেন। এটি তাঁর অনন্য কৃতিত্ব।
পান্নালাল ঘোষ কৈশোরে জড়িয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে। সে জন্য পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ১৯২৬ সালে বরিশাল থেকে চলে যান কলকাতায়। সেখানে প্রথমে তিনি যুক্ত হন নিউ থিয়েটার্স-এর সঙ্গে। সংগীতের প্রাথমিক তালিম পিতার কাছে নিলেও নাড়া বেঁধে রাগসংগীতে পদ্ধতিগত তালিম নেন অমৃতসরের ওস্তাদ খুশি মোহাম্মদ খানের কাছে। গুরুর মৃত্যুর পর সংগীতাচার্য গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর কাছেও পান্নালাল দীর্ঘদিন তালিম নেন। তাঁরই উৎসাহে সৃষ্টি করেন রাগ নূপুরধ্বনি, চন্দ্রমৌলি, দীপাবলি, কুমারী। ফৈয়াজ খান এবং ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের মতো কণ্ঠশিল্পীদের অনুরোধে পান্নালাল তাঁদের খেয়ালের সঙ্গে বাঁশিতে সংগত করেছেন।
১৯৫৬ সালে আকাশবাণী দিল্লি কেন্দ্রে সংগীত নির্দেশক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। তবে তারও আগে, ১৯৪০ সালে সংগীতের বৃহত্তর অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আশায় গিয়েছিলেন মুম্বাই। যুক্ত হয়েছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। অনেক বিখ্যাত সিনেমার গানে, আবহ সংগীতে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। করেছিলেন সংগীত পরিচালনাও।
পান্নালাল ঘোষের প্রশিষ্য ড. বিশ্বাস কুলকার্নি ‘পান্নালাল ঘোষ’ নামে লিখেছেন তাঁর জীবনী। ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছরের গবেষণালব্ধ এ বই প্রকাশিত হয় মুম্বাইয়ের সংস্কার প্রকাশন থেকে।
‘মুঘল-এ-আজম’ (১৯৬০) ছবিতে মধুবালার ওপর চিত্রায়িত লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘মোহে পনঘাটপে নন্দলাল’ গানটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। এ গানের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য সংগীত পরিচালক নওশাদ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁকে। শঙ্কর-জয়কিশেনের সংগীত পরিচালনায় ‘বসন্ত বাহার’ (১৯৫৬) ছবিতে একই শিল্পীর গাওয়া গাওয়া ‘নৈন মিলে চৈন কাঁহা’ গানেও রয়ে গেছে পান্নালালের বাঁশির জাদু। শুধু তাই নয়। ‘আনজান’ (১৯৪১), ‘বসন্ত’ (১৯৪২), ‘দুহাই’ (১৯৪৩), ‘নন্দকিশোর’ (১৯৫১), ‘বসন্ত বাহার’ (১৯৫৬), ‘মুঘল-এ-আজম’ (১৯৬০) প্রভৃতি বিখ্যাত ছবির গান ও আবহসংগীতে মিশে আছে তাঁর বাঁশির কারুকাজ। ‘আঁধিয়া’ (১৯৫২) ছবির আবহসংগীতে তিনি কাজ করেন ওস্তাদ আলী আকবর খান ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে। ‘স্নেহবন্ধন’ (১৯৪০) তাঁর সংগীত পরিচালনায় প্রথম সিনেমা।
তিনি পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষ (২৪ জুলাই ১৯১১-২০ এপ্রিল ১৯৬০)। ভারতীয় উপমহাদেশে বাঁশির বিবর্তন ও বিকাশে পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষ এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। তাঁর জন্ম হয়েছিল তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বরিশালে, কীর্তনখোলা নদীর পারে। ডাকনাম ছিল অমল জ্যোতি ঘোষ। পিতামহ হরকুমার ঘোষ প্রখ্যাত ধ্রুপদি আর পিতা অক্ষয় কুমার ঘোষ ছিলেন প্রসিদ্ধ সেতারবাদক। মা সুকুমারী ছিলেন সুগায়িকা। চৌদ্দ বছর বয়সে পান্নালাল বাঁশি শিখতে শুরু করেন।
বাঁশির যে আধুনিক রূপটি আমরা দেখি, সেটি পান্নালাল ঘোষের উদ্ভাবন। ৩২ ইঞ্চি আকৃতির সাত ছিদ্রবিশিষ্ট বাঁশির প্রথম প্রচলন তিনিই করেছিলেন। আগেকার বাঁশিতে দু একটি স্বর বাজানো বেশ অসুবিধাজনক ছিল। সপ্তম ছিদ্রটি উদ্ভাবন করে পান্নালাল সে সমস্যার সমাধান করেন। তিনিই বাঁশিকে উন্নীত করেছিলেন সেতার, সরোদ, সানাই, সারেঙ্গির পর্যায়ে যা এককভাবে ধ্রুপদি সংগীতের গৌরবে বাজতে পারে মূল যন্ত্র হিসেবে। কণ্ঠ সংগীতের গায়কিকে তিনি তাঁর বাঁশিতে ধারণ করেছিলেন। এটি তাঁর অনন্য কৃতিত্ব।
পান্নালাল ঘোষ কৈশোরে জড়িয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে। সে জন্য পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ১৯২৬ সালে বরিশাল থেকে চলে যান কলকাতায়। সেখানে প্রথমে তিনি যুক্ত হন নিউ থিয়েটার্স-এর সঙ্গে। সংগীতের প্রাথমিক তালিম পিতার কাছে নিলেও নাড়া বেঁধে রাগসংগীতে পদ্ধতিগত তালিম নেন অমৃতসরের ওস্তাদ খুশি মোহাম্মদ খানের কাছে। গুরুর মৃত্যুর পর সংগীতাচার্য গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর কাছেও পান্নালাল দীর্ঘদিন তালিম নেন। তাঁরই উৎসাহে সৃষ্টি করেন রাগ নূপুরধ্বনি, চন্দ্রমৌলি, দীপাবলি, কুমারী। ফৈয়াজ খান এবং ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের মতো কণ্ঠশিল্পীদের অনুরোধে পান্নালাল তাঁদের খেয়ালের সঙ্গে বাঁশিতে সংগত করেছেন।
১৯৫৬ সালে আকাশবাণী দিল্লি কেন্দ্রে সংগীত নির্দেশক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। তবে তারও আগে, ১৯৪০ সালে সংগীতের বৃহত্তর অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আশায় গিয়েছিলেন মুম্বাই। যুক্ত হয়েছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। অনেক বিখ্যাত সিনেমার গানে, আবহ সংগীতে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। করেছিলেন সংগীত পরিচালনাও।
পান্নালাল ঘোষের প্রশিষ্য ড. বিশ্বাস কুলকার্নি ‘পান্নালাল ঘোষ’ নামে লিখেছেন তাঁর জীবনী। ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছরের গবেষণালব্ধ এ বই প্রকাশিত হয় মুম্বাইয়ের সংস্কার প্রকাশন থেকে।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৪ ঘণ্টা আগে