অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে ব্যান্ডটি। চিঠিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি শিরোনামহীনের নিজস্ব এবং কপিরাইটকৃত বেশ কিছু গান বিদেশি কিছু কোম্পানির নিকট বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এবং যে সকল অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোন ভ্যাট/ট্যাক্স প্রদান করছে না। এতে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক শিরোনামহীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের প্রথিতযশা ব্যান্ড শিরোনামহীন বাংলা ভাষাভাষী মানুষের নিকট পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জি-সিরিজ নামক মিউজিক লেবেল প্রতিষ্ঠান আমাদের ব্যান্ডের নিজস্ব এবং কপিরাইটকৃত বেশ কিছু গান, যেমন–বন্ধ জানালা, হাসিমুখ, জাহাজি, পাখি, ইচ্ছে ঘুড়ি, ভালোবাসা মেঘ, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি গান বিদেশি কিছু কোম্পানির নিকট বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এবং যে সকল অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোন ভ্যাট/ট্যাক্স ও প্রদান করছে না। জি-সিরিজের এ রকম বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক “শিরোনামহীন” আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের মেধাসম্পদ রক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে দুর্নীতি রোধ করার জন্য উপর্যুক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। অতএব, উপর্যুক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, জি-সিরিজের বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।’
শিরোনামহীনের প্রথম তিন অ্যালবাম জাহাজী, ইচ্ছেঘুড়ি ও বন্ধ জানালা জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়। তিনটি অ্যালবাম প্রকাশের পরপরই শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর এসব গানের কপিরাইট নিজেদের নামে করে নেয় জি-সিরিজ। বিষয়টি নজরে এলে কপিরাইট বোর্ডে অভিযোগ জানায় শিরোনামহীন। ২০১৮ সালে শিরোনামহীনকে ওই তিন অ্যালবামের ৩০টি গানের কপিরাইট সনদ দেয় বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ড।
তবে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জানান, কপিরাইট বোর্ডের রায়কে অমান্য করে শিরোনামহীনের এসব গান ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে জি-সিরিজ। এ বিষয়ে কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। শিরোনামহীনের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত সোমবার (২৬ মে) জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়ার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যে কোন শিল্পের কপিরাইট থাকে এর প্রণেতার অর্থাৎ যে ক্রিয়েটর তার। সেই হিসেবে শিরোনামহীনের গান শিরোনামহীনের ক্রিয়েশন হিসেবে কপিরাইট সার্টিফিকেট নেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালে। জি-সিরিজ থেকে আমাদের অ্যালবামগুলো চুক্তি অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউশন হয়েছিল। আইন অনুযায়ী সেটার সময়সীমাও অতিবাহিত হয়ে গেলে তাদের কপিরাইট বাতিল করে আমাদের শিরোনামহীনের নামে কপিরাইট সার্টিফিকেট ইস্যু করে কপিরাইট অফিস। তাদের আপিলের ভিত্তিতে শুনানি হলে রায় আসে শিরোনামহীনের অনুকূলে। কিন্তু এরপরও আমরা ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের প্রথম তিন অ্যালবাম জাহাজী, ইচ্ছেঘুড়ি ও বন্ধ জানালা’র গানগুলো তুলতে পারছিলাম না। প্রতিবারই দেখা গেছে জি-সিরিজ সেখানে স্ট্রাইক দিচ্ছে বা টেক ডাউন নোটিশ পাঠাচ্ছে, গ্লোবালি ব্লক করে রাখছে, এ রকম নানা বিধ ডিজিটাল টেকনিক তাদের জানা আছে।’
জিয়া আরও বলেন, ‘একেবারে রিসেন্টলি তারা আমাদের বন্ধ জানালা গানটি স্ট্রাইক করেছে এবং আমাদের চ্যানেলকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এই দুর্নীতি আমরা আর কত দিন সহ্য করব? তাই এ বিষয়ে আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছে জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে ব্যান্ডটি। চিঠিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি শিরোনামহীনের নিজস্ব এবং কপিরাইটকৃত বেশ কিছু গান বিদেশি কিছু কোম্পানির নিকট বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এবং যে সকল অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোন ভ্যাট/ট্যাক্স প্রদান করছে না। এতে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক শিরোনামহীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের প্রথিতযশা ব্যান্ড শিরোনামহীন বাংলা ভাষাভাষী মানুষের নিকট পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জি-সিরিজ নামক মিউজিক লেবেল প্রতিষ্ঠান আমাদের ব্যান্ডের নিজস্ব এবং কপিরাইটকৃত বেশ কিছু গান, যেমন–বন্ধ জানালা, হাসিমুখ, জাহাজি, পাখি, ইচ্ছে ঘুড়ি, ভালোবাসা মেঘ, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি গান বিদেশি কিছু কোম্পানির নিকট বিক্রি করে অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এবং যে সকল অর্থের বিপরীতে সরকারকে কোন ভ্যাট/ট্যাক্স ও প্রদান করছে না। জি-সিরিজের এ রকম বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে গানগুলোর প্রকৃত স্রষ্টা ও মালিক “শিরোনামহীন” আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের মেধাসম্পদ রক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে দুর্নীতি রোধ করার জন্য উপর্যুক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। অতএব, উপর্যুক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, জি-সিরিজের বেআইনি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।’
শিরোনামহীনের প্রথম তিন অ্যালবাম জাহাজী, ইচ্ছেঘুড়ি ও বন্ধ জানালা জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়। তিনটি অ্যালবাম প্রকাশের পরপরই শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর এসব গানের কপিরাইট নিজেদের নামে করে নেয় জি-সিরিজ। বিষয়টি নজরে এলে কপিরাইট বোর্ডে অভিযোগ জানায় শিরোনামহীন। ২০১৮ সালে শিরোনামহীনকে ওই তিন অ্যালবামের ৩০টি গানের কপিরাইট সনদ দেয় বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ড।
তবে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জানান, কপিরাইট বোর্ডের রায়কে অমান্য করে শিরোনামহীনের এসব গান ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে জি-সিরিজ। এ বিষয়ে কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। শিরোনামহীনের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত সোমবার (২৬ মে) জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়ার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যে কোন শিল্পের কপিরাইট থাকে এর প্রণেতার অর্থাৎ যে ক্রিয়েটর তার। সেই হিসেবে শিরোনামহীনের গান শিরোনামহীনের ক্রিয়েশন হিসেবে কপিরাইট সার্টিফিকেট নেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালে। জি-সিরিজ থেকে আমাদের অ্যালবামগুলো চুক্তি অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউশন হয়েছিল। আইন অনুযায়ী সেটার সময়সীমাও অতিবাহিত হয়ে গেলে তাদের কপিরাইট বাতিল করে আমাদের শিরোনামহীনের নামে কপিরাইট সার্টিফিকেট ইস্যু করে কপিরাইট অফিস। তাদের আপিলের ভিত্তিতে শুনানি হলে রায় আসে শিরোনামহীনের অনুকূলে। কিন্তু এরপরও আমরা ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের প্রথম তিন অ্যালবাম জাহাজী, ইচ্ছেঘুড়ি ও বন্ধ জানালা’র গানগুলো তুলতে পারছিলাম না। প্রতিবারই দেখা গেছে জি-সিরিজ সেখানে স্ট্রাইক দিচ্ছে বা টেক ডাউন নোটিশ পাঠাচ্ছে, গ্লোবালি ব্লক করে রাখছে, এ রকম নানা বিধ ডিজিটাল টেকনিক তাদের জানা আছে।’
জিয়া আরও বলেন, ‘একেবারে রিসেন্টলি তারা আমাদের বন্ধ জানালা গানটি স্ট্রাইক করেছে এবং আমাদের চ্যানেলকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এই দুর্নীতি আমরা আর কত দিন সহ্য করব? তাই এ বিষয়ে আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৯ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
১২ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে