নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। সেখানে নাম রয়েছে এই শিল্পীর।
শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে। এটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। রবীন্দ্রসংগীতে অবদান রাখার জন্য রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। এবারের ‘পদ্ম পুরস্কার’ তালিকায় ‘পদ্মবিভূষণ’ পাচ্ছেন ৫ জন, ‘পদ্মভূষণ’ ১৭ জন ও ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন ১১০ জন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা গান শিখেছেন দেশে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ধ্রুপদি, টপ্পা ও কীর্তন গানেও শিক্ষালাভ করেছেন তিনি। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘ছায়ানট’ ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন। সংগীতচর্চায় তাঁর শিক্ষক ছিলেন—শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন এবং আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন সংগীতজ্ঞরা। পরে তিনি ‘সুরের ধারা’ নামে একটি সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন।
বন্যা মাঝপথে দেশে ফিরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আর সেভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত তিনি। একই সঙ্গে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশনা কলা বিভাগের সম্মানিত ডিন ও সংগীত বিভাগের প্রধান।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সমান জনপ্রিয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ এবং ‘ছিন্নপত্র’ উল্লেখযোগ্য।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কয়েকটি পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বঙ্গভূষণ’। ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর হাতে ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দপ্তরের ‘সংগীত সম্মান’ পুরস্কারও পেয়েছেন বন্যা।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার আগেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন গুণীজন পেয়েছেন ‘পদ্ম’ সম্মান। ২০২১ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছেন অধ্যাপক সন্জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক। এর আগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ পান। আর ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী।
ভারতের বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। সেখানে নাম রয়েছে এই শিল্পীর।
শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে। এটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। রবীন্দ্রসংগীতে অবদান রাখার জন্য রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। এবারের ‘পদ্ম পুরস্কার’ তালিকায় ‘পদ্মবিভূষণ’ পাচ্ছেন ৫ জন, ‘পদ্মভূষণ’ ১৭ জন ও ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন ১১০ জন।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা গান শিখেছেন দেশে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও ধ্রুপদি, টপ্পা ও কীর্তন গানেও শিক্ষালাভ করেছেন তিনি। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘ছায়ানট’ ও শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন। সংগীতচর্চায় তাঁর শিক্ষক ছিলেন—শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন এবং আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন সংগীতজ্ঞরা। পরে তিনি ‘সুরের ধারা’ নামে একটি সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন।
বন্যা মাঝপথে দেশে ফিরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আর সেভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত তিনি। একই সঙ্গে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশনা কলা বিভাগের সম্মানিত ডিন ও সংগীত বিভাগের প্রধান।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সমান জনপ্রিয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ এবং ‘ছিন্নপত্র’ উল্লেখযোগ্য।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সংগীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কয়েকটি পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বঙ্গভূষণ’। ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর হাতে ‘বঙ্গভূষণ’ পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দপ্তরের ‘সংগীত সম্মান’ পুরস্কারও পেয়েছেন বন্যা।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার আগেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন গুণীজন পেয়েছেন ‘পদ্ম’ সম্মান। ২০২১ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছেন অধ্যাপক সন্জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক। এর আগে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘পদ্মভূষণ’ পান। আর ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী।
নিজের ভুলের জন্য সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদারের কছে ক্ষমা চাইলেন গজলশিল্পী মেজবাহ আহমেদ। এক অডিওবার্তায় নিজের ভুল স্বীকার করে মেজবাহ জানিয়েছেন, যা ঘটেছে, তা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।
১ ঘণ্টা আগেছাত্র আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ থাকা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও ভাইরালসহ বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এর জেরে শোবিজে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর নতুন কোনো কাজের খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আগে শেষ করা কাজের মুক্তির সময়েও প্রচারে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেঈদে প্রেক্ষাগৃহে ‘তাণ্ডব’ মুক্তির পর থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে শাকিব খানের পরবর্তী সিনেমা নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, ‘বরবাদ’খ্যাত মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালনা করবেন শাকিবের পরের সিনেমা। এ ছাড়া পরিচালক রায়হান রাফী ও অনন্য মামুনের নামও আছে আলোচনায়।
১০ ঘণ্টা আগেডার্ক কনটেন্ট পছন্দ অভিনেত্রী খুশি কাপুরের। ওটিটিতে যেসব অপরাধমূলক সিনেমা-সিরিজ মুক্তি পায়, সেসবের নিয়মিত দর্শক তিনি। দেখেন অপরাধমূলক তথ্যচিত্রও। বোম্বে টাইমসকে খুশি কাপুর জানালেন ইদানীং দেখা কোন সিনেমা-সিরিজ বেশি ভালো লেগেছে তাঁর।
১০ ঘণ্টা আগে