বাংলা সংগীতের খ্যাতনামা শিল্পী কবীর সুমন আজ বৃহস্পতিবার ৭৫–এ পা দিলেন। জন্মদিনে তিনি জানিয়েছেন নিজের ভেতরকার কিছু কষ্ট ও আক্ষেপের কথা। ‘আমাকে আর কেউ গাইতে বলে না’— ভারতীয় একটি পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবির সুমন।
সুমন বলেন, ‘আজকাল আর আমাকে কেউ গাইতে বলেন না। অথচ ছোটবেলায় সবার আবদার ছিল একটা গান শোনাবে? আমার মা পর্যন্ত ডেকে আমাকে গাইতে বলতেন। এখন আর কেউ গান শোনেন না।’
কাজের মধ্যে কেন এত বিরতি রাখছেন— এ প্রশ্নের জবাবে কবীর সুমন বলেন, ‘আমাকে সুরকার হিসেবে কেউ চান না। জাতিস্মর ছবিতে কাজ করি যখন সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর আমাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিনের। কিন্তু কিছুতেই পারছিলেন না। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। কারণ আমাকে কেউ চান না বাংলায়। পছন্দ করেন না। রাগ অভিমান থেকে বলছি না, সত্যি বলছি। একজন নায়ক ভালো অভিনয় করলে পরপর ভালো কাজ পান। একজন গায়কও তাই। আমি ভালো কাজ করেও ডাক পাই না।’
প্রবীণ এ শিল্পী আরও বলেন, ‘যে যার মতো গান তৈরি করছেন। কিন্তু কেউ খুব একটা শুনছেন বলে মনে হয় না। ভালো কণ্ঠস্বরের খুব অভাব। নিত্য জীবনের শিক্ষাতেও দৈন্যের ছাপ স্পষ্ট। এখন আর কেউ গান মুখস্থ করেন না। খাতা দেখে গাওয়ার সময় এটা। হারমোনিয়াম বাজানোর ঝোঁক কমেছে, বেড়েছে গিটার বাজানো।’
৭৫ বছরে পা দিয়ে জীবনকে কেমন লাগছে জানতে চাইলে গায়ক বলেন, ‘খুবই ইন্টারেস্টিং। আজকাল রাতে ঘুম আসে না। সারা দিন তারপর কেমন আচ্ছন্ন লাগে। তবুও বলব জীবনটা দুর্দান্ত। আমার সময় শেষ হয়ে আসছে, তাতে আমার আনন্দ হয়। ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। খুব ইতিবাচক ভাবেই বলছি, হরি দিন তো গেল পার করো আমার।’
জন্মদিনে পরিকল্পনায় কবীর সুমন বলেন, ‘কিছু না। আর বাকি পাঁচটা দিনের মতোই যাবে। বাড়িতে বারণ করে দিয়েছি কিছু করতে।’
১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ ওডিশার কটকে এক বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। তাঁর পারিবারিক নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নাম হয় কবির সুমন। খুব অল্প বয়সেই বাবার তত্ত্বাবধানে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। ১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন কবীর সুমন। তাঁর গানের অ্যালবামের সংখ্যা ১৫।
কবীর সুমনের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে—তোমাকে চাই, বিদায় পরিচিতা, আমাদের জন্য সব, জাতিস্মর, পেটকাটি চাঁদিয়াল, কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়, তাকে ভাবলেই কাহিনিরা ভিড় করে, আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে ইত্যাদি।
কবির সুমন বিএফজেএ পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত), মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বাংলা, সংগীত মহাসম্মান পেয়েছেন।
বাংলা সংগীতের খ্যাতনামা শিল্পী কবীর সুমন আজ বৃহস্পতিবার ৭৫–এ পা দিলেন। জন্মদিনে তিনি জানিয়েছেন নিজের ভেতরকার কিছু কষ্ট ও আক্ষেপের কথা। ‘আমাকে আর কেউ গাইতে বলে না’— ভারতীয় একটি পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবির সুমন।
সুমন বলেন, ‘আজকাল আর আমাকে কেউ গাইতে বলেন না। অথচ ছোটবেলায় সবার আবদার ছিল একটা গান শোনাবে? আমার মা পর্যন্ত ডেকে আমাকে গাইতে বলতেন। এখন আর কেউ গান শোনেন না।’
কাজের মধ্যে কেন এত বিরতি রাখছেন— এ প্রশ্নের জবাবে কবীর সুমন বলেন, ‘আমাকে সুরকার হিসেবে কেউ চান না। জাতিস্মর ছবিতে কাজ করি যখন সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর আমাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিনের। কিন্তু কিছুতেই পারছিলেন না। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। কারণ আমাকে কেউ চান না বাংলায়। পছন্দ করেন না। রাগ অভিমান থেকে বলছি না, সত্যি বলছি। একজন নায়ক ভালো অভিনয় করলে পরপর ভালো কাজ পান। একজন গায়কও তাই। আমি ভালো কাজ করেও ডাক পাই না।’
প্রবীণ এ শিল্পী আরও বলেন, ‘যে যার মতো গান তৈরি করছেন। কিন্তু কেউ খুব একটা শুনছেন বলে মনে হয় না। ভালো কণ্ঠস্বরের খুব অভাব। নিত্য জীবনের শিক্ষাতেও দৈন্যের ছাপ স্পষ্ট। এখন আর কেউ গান মুখস্থ করেন না। খাতা দেখে গাওয়ার সময় এটা। হারমোনিয়াম বাজানোর ঝোঁক কমেছে, বেড়েছে গিটার বাজানো।’
৭৫ বছরে পা দিয়ে জীবনকে কেমন লাগছে জানতে চাইলে গায়ক বলেন, ‘খুবই ইন্টারেস্টিং। আজকাল রাতে ঘুম আসে না। সারা দিন তারপর কেমন আচ্ছন্ন লাগে। তবুও বলব জীবনটা দুর্দান্ত। আমার সময় শেষ হয়ে আসছে, তাতে আমার আনন্দ হয়। ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। খুব ইতিবাচক ভাবেই বলছি, হরি দিন তো গেল পার করো আমার।’
জন্মদিনে পরিকল্পনায় কবীর সুমন বলেন, ‘কিছু না। আর বাকি পাঁচটা দিনের মতোই যাবে। বাড়িতে বারণ করে দিয়েছি কিছু করতে।’
১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ ওডিশার কটকে এক বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। তাঁর পারিবারিক নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নাম হয় কবির সুমন। খুব অল্প বয়সেই বাবার তত্ত্বাবধানে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেওয়া শুরু করেন তিনি। ১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন কবীর সুমন। তাঁর গানের অ্যালবামের সংখ্যা ১৫।
কবীর সুমনের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে—তোমাকে চাই, বিদায় পরিচিতা, আমাদের জন্য সব, জাতিস্মর, পেটকাটি চাঁদিয়াল, কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়, তাকে ভাবলেই কাহিনিরা ভিড় করে, আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে ইত্যাদি।
কবির সুমন বিএফজেএ পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত), মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বাংলা, সংগীত মহাসম্মান পেয়েছেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৩ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে