বিদ্যুৎ সরকার

দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে জর্জ। সংগীতজনের কাছে তিনি পরিচিত ‘জর্জ দা’ নামে। কিশোরগঞ্জে থাকাকালে আরও দুটো নাম ছিল তাঁর—দেবু এবং খোকা। সেখানে পরিচিতদের অনেকেই এই দুই নামের কোনো একটি দিয়েই চিনতেন বা ডাকতেন তাঁকে। পরে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে কলকাতায় যাওয়ায় তাঁর দেবু ও খোকা নাম ধীরে ধীরে মানুষ ভুলে যায়। কলকাতার মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন পিতা দেবেন্দ্রকিশোর বিশ্বাসের ইংরেজপ্রীতির নিদর্শন হিসেবে পাওয়া জর্জ নামে। ১৯১১ সালের ২২ আগস্ট তাঁর জন্মের কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ডের রাজা হন পঞ্চম জর্জ। ইংরেজদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও অতিভক্তি বশত তাঁর বাবা-মা আদর করে তাঁকে ডাকতেন জর্জ নামে। দেবব্রত বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত এই জর্জ থেকে ‘জর্জ দা’ নামেই সংগীত সমাজে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
দেবব্রত বিশ্বাসের বাবা ছিলেন গোঁড়া ব্রাহ্ম। সিনেমা, থিয়েটার, যাত্রাগানের প্রতি তাঁর ছিল ঘোর অমত। তবে ব্রাহ্ম হওয়ায় বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় প্রার্থনা হিসেবে মায়ের সঙ্গে দেবব্রত বিশ্বাস গাইতেন ব্রহ্মসংগীত। এই প্রার্থনা থেকেই তাঁর গাওয়ার শুরু। এ ছাড়া মায়ের কাছ থেকে শুনে শুনে আরও কিছু গান শিখে নিয়েছিলেন তিনি। ময়মনসিংহ ব্রাহ্মসমাজের মাঘোৎসবের গানের দলে প্রতি বছর মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনিও। বাড়িতে হারমোনিয়াম, অর্গান ছিল। বলা যায়, শৈশব থেকেই তিনি পেয়েছিলেন সংগীত-সহায়ক এক পরিবেশ।
স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস ভলান্টিয়ার হয়ে সমবয়সী কয়েকজনকে নিয়ে দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন বিভিন্ন স্বদেশি সভায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহের কনক দাস ছিলেন তার মাসি (বড় মামির বোন)। তাঁর সঙ্গে অনুষ্ঠানে গানও গেয়েছেন দেবব্রত বিশ্বাস। ১৯২৮-২৯ সালে কলকাতায় কলেজে পড়াকালীন সুর সাগর হিমাংশু দত্ত, শৈলেশ দত্তগুপ্ত, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় ও সন্তোষ সেনগুপ্তের মতো সংগীতগুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। বিশেষ করে হিমাংশু দত্তের কাছ থেকে এ সময় বেশ কিছু গান শিখে নেন দেবব্রত বিশ্বাস। পরে সেই গানগুলো ১৯৩৩ সালে শান্তিনিকেতনের সংগীতভবনের অধ্যক্ষ হেমেন্দ্রলাল রায়কে শুনিয়ে তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিলেন তিনি। কাজী নজরুল ইসলামও সেনোলা রেকর্ড কোম্পানির হয়ে তাঁকে দিয়ে দুটি গান রেকর্ড করিয়েছিলেন। বোঝা যায়, সংগীত সম্পর্কে যেখানে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, শিখে নিয়েছেন।
তবে মাঝেমধ্যে দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান গাইলেও রবি ঠাকুরের গানের প্রতিই ছিল তাঁর অতলান্ত ভালোবাসা। বিশেষ করে মায়ের কাছে শেখা ও কলকাতায় ব্রাহ্মমন্দিরে শোনা ব্রহ্মসংগীতগুলো সব সময় তাঁকে আলোড়িত করেছে। এ গান সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘সেই সব আধ্যাত্মিক গানগুলোর মধ্যে কী যেন একটা মাধুর্য ছিল, যা আমার হৃদয়কে অত্যন্ত গভীরভাবে নাড়া দিত।’ বড় হতে হতে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে ওঠে তাঁর যাপিত জীবনের আশ্রয়। সেটা আরও পাকাপোক্ত হয় ১৯৩৫ সালের দিকে ইন্দিরা দেবীর সান্নিধ্যে এসে। এ ছাড়া অনাদিকুমার দস্তিদারের কাছ থেকেও অনেক গান শেখেন তিনি। সিনেমার গানের প্রয়োজনে তিনি পঙ্কজ মল্লিকের সাহচর্য পেয়েছেন। শেখার ব্যাপারে দেবব্রত বিশ্বাস ছিলেন মুক্তমনা। যখন যেখানে যার কাছে সুযোগ পেয়েছেন, শিখেছেন তিনি।
সংগীত, বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় হওয়ার পরেও বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে তিনি হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। এক প্রকার ব্রাত্য করেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে নামী-অনামী অনেক শিল্পীই বহু প্রচারিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে প্রাণভরে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। ভাব ও সুরের সমন্বয় সেখানে যে সব সময় রক্ষা হয়, তা জোর গলায় বলা যায় না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ড কেউ বের করতে চাইলে তাঁকে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের অনুমোদন নিতে হতো। কোনো শিল্পীর সুর-বাজনা-গায়নভঙ্গি একটু এদিক-ওদিক হলেই তাঁর রেকর্ডটি প্রকাশের অনুমতি দিতে বোর্ড কার্পণ্য করত।
তবে এই কৃপণতার মাত্রা সবার ক্ষেত্রে এক রকম ছিল না। বলা যায়, সবচেয়ে বেশি ছিল দেবব্রত বিশ্বাসের প্রতি। কেউ কেউ সঠিকভাবে না গেয়েও রেকর্ড বের করার অনুমতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু দেবব্রত বিশ্বাস সহজে অনুমতি পেতেন না। কারণ তিনি রবীন্দ্রসংগীতের গায়নে অনুভূতি সঞ্জাত নতুনত্ব আনার চেষ্টা করতেন। ফলে, গানের কথা অনুযায়ী ভাব সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে সৃষ্ট মিউজিক ব্যবহার করতেন তিনি। এ জন্য শান্তিনিকেতনি সুর ও পরিবেশনারীতির কিছু ব্যত্যয়ও ঘটাতেন দেবব্রত।
রবীন্দ্রনাথের সংগীতচিন্তা সম্পর্কে দেবব্রত বিশ্বাসের ছিল সুস্পষ্ট ধারণা। ভরাট কণ্ঠ, নতুন গায়নভঙ্গি ও বাণীবাহিত ভাবকে শ্রুতিনন্দনভাবে উপস্থাপনার কারণে শ্রোতারা তাঁকে ভালোবেসেছিল অকৃত্রিম হৃদয়াবেগ দিয়েই। সে সময় দেবব্রত বিশ্বাসের জনপ্রিয়তার একটা প্রমাণ পাওয়া যায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি আমার গানের স্বরলিপি বইয়ে জানাচ্ছেন, ‘শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীতে আমার ধারণা জর্জদারই হাইয়েস্ট। একবার ওঁর বিক্রির স্টেটমেন্ট দেখেছিলুম। ভাবা যায় না। শুধু রবীন্দ্রসংগীত বেচে এত টাকা। না, না ওই জর্জদারই ম্যাক্সিমাম। তারপর আমার।’
সংগীতানুরাগীদের কাছে প্রিয় হলেও বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ড রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে দেবব্রত বিশ্বাসের ভাবনাকে গ্রহণ করতে পারেনি। এ নিয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে বোর্ডের বিবাদ শুরু হয়। এ সময় তাঁর গাওয়া চারটি রবীন্দ্রসংগীতের (১. শুধু যাওয়া আসা, ২. এসেছিলে তবু আস নাই, ৩. মেঘ বলেছে যাব যাব, ৪. গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা) রেকর্ড মিউজিক বোর্ড প্রকাশ করতে বাধা দেয়। শান্তিদেব ঘোষ যে গানকে প্রকাশযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, বোর্ডের কর্মকর্তারা সে মতও গ্রহণ করেননি।
এর পর থেকে মাঝে মাঝেই দেবব্রত বিশ্বাস বোর্ড কর্মকর্তাদের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের এই খবরদারিমূলক আচরণের প্রতিবাদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই তিনি রবীন্দ্রসংগীত রেকর্ড বন্ধ করে দেন। অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি সংগীত থেকে ধীরে-ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ১৯৭১ সালের পর কোনো রবীন্দ্রসংগীত তিনি আর রেকর্ড করেননি। এ কারণে কারও-কারও কাছে তিনি পেয়েছেন অতি-অভিমানী কিংবা চরম জেদির তকমা। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, এই অতি-অভিমান কিংবা চরম জেদের মূলে রয়েছে শিল্পীর স্বাধীনতা ও অধিকার আদায় এবং তাকে সমুন্নত রাখার সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা।
রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে যথেষ্ট না জানা, অনভিজ্ঞ ও কম বয়সী সনদধারী কিছু মানুষের ক্ষমতাচর্চা ও ঈর্ষাজাত সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর কাছে শুধু গাওয়ার বিষয় ছিল না। দৈনন্দিন যাপনে তা ছিল আত্মচেতনা ও সম্মানবোধকে শাণিত করার মন্ত্র।
শুধু শ্রোতার কাছেই নন, শিল্পীদের কাছেও তিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয়, বরণীয়। দেবব্রত বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের সে আচরণ অন্যান্য শিল্পীকেও ব্যথিত করেছিল–লজ্জিতও। মান্না দে তাঁর আত্মজীবনী জীবনের জলসাঘরে জানাচ্ছেন, ‘কিছু সুরহীন মানুষ রবীন্দ্রসংগীতের অভিভাবক সেজে রবীন্দ্রসংগীতকে আটকে রেখেছেন তাঁদের নিজস্ব আঙিনায়, নিজস্ব বেড়াজালে। কখনো তাকে হয়ে উঠতে দেননি জনগণের সংগীত। প্রাণের গানকে আবদ্ধ রেখেছেন প্রাণহীন এক বিচিত্র স্বঘোষিত রাবীন্দ্রিক ঢঙে। এ অন্যায়, এ ঘোরতর এক অন্যায়। প্রাণ ঢেলে হৃদয়ের সুরে আবেগমথিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন জর্জদা। আহা! কী গান গাইতেন উনি। এক-একটা গানের এক-একটা জায়গায় ওঁর সুর লাগানো শুনে বুকের ভেতর একটা ভালো লাগার অনুভূতি আমার চোখে আবেগ আপ্লুত জল এনে দিত। সেই জর্জদার গান গাওয়া ওরা বন্ধ করে দিল।’
শিল্পীর অর্থনৈতিক অধিকার নিয়েও সচেতন ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। সে সময় অন্যান্য কণ্ঠশিল্পীরা বাদ্যযন্ত্রীদের খরচ নিজের কাঁধে নিয়ে এইচএমভি ও কলাম্বিয়াতে রেকর্ড করে রয়্যালটি পেতেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। দেবব্রত বিশ্বাস সেখানে দশ শতাংশ রয়্যালটি ও বাদ্যযন্ত্রীদের খরচ কোম্পানিকে বহনের দাবি করেন। জনমানসে গ্রহণযোগ্যতার কারণে কোম্পানি তাঁকে এক হাজার কপি বিক্রি হওয়ার শর্তে এই দাবি মেনে নেয়। উল্লেখ্য, তাঁর এক শ’র বেশি গানের মধ্যে এমন কোনো গান নেই যে তিনি রয়্যালটি পাননি। বলা যায়, বিত্ত ও চিত্ত সংকীর্ণতার বেড়াজাল ছিঁড়ে রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। অন্য দুজন হলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিক ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
এই প্রতিবাদী চেতনা তিনি মূলত পেয়েছিলেন আইপিটিএ তথা ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে। সাম্যবাদে আস্থাবান এ শিল্পী ১৯৪০ এর দশকের শুরুতে আইপিটিএর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের গান, বিশেষত তাঁর স্বদেশপ্রেমমূলক গানগুলো গাওয়া শুরু করেন। দেবব্রত বিশ্বাসের দরাজ কণ্ঠ ও স্বতন্ত্র গায়কির কারণে শ্রোতারা আবিষ্কার করলেন নতুন এক রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রসংগীত যে এভাবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও গাওয়া যেতে পারে, তা দেবব্রত বিশ্বাসের আগে কোনো শিল্পী কল্পনা করেননি।
এ সম্পর্কে হেমাঙ্গ বিশ্বাস বলছেন, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের সবল উদ্দীপক ধারার সঙ্গে গণসঙ্গীতকে মিশিয়ে দিলেন জর্জদা। রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে আমাদের অর্থাৎ গণসঙ্গীত গাইয়েদের মনোভাবকে সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করলেন যেমন, তেমনি রবীন্দ্রসংগীতকে মোহান্তদের বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও মন্দিরের বেদি থেকে গণসঙ্গীতের প্রান্তরে নামিয়ে আনলেন। এই দুই ধারার সমন্বয়ে জর্জদা যেমন শ্রেষ্ঠ গণসঙ্গীত শিল্পী, তেমনি শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। এখানেই জর্জদার যুগান্তকারী ভূমিকা। এখানেই তিনি মহান গণসঙ্গীতশিল্পী।’ এ সময় ‘নবান্ন’, ‘রক্তকরবী’র মতো অবিস্মরণীয় নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি।
জন্মভূমি পূর্ববাংলার প্রতি তাঁর ছিল গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের বক্তব্য থেকে জানা যায়, পূর্ববাংলাকে দেবব্রত বিশ্বাস বলতেন ‘মা’ আর পশ্চিমবঙ্গকে বলতেন ‘বিমাতা’। মায়ের রাতারাতি বিদেশ হয়ে যাওয়াকে তিনি কোনো দিন মেনে নিতে পারেননি। আমৃত্যু বয়ে বেড়িয়েছেন দেশভাগের সেই ক্ষত। হয়েছেন যন্ত্রণায় কাতর। তবে দেশভাগ তাঁকে মর্মাহত করলেও জন্মভূমির প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পর্কে তিনি ছিলেন সচেতন। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ ও সহানুভূতি আদায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য তিনি সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিঠি দিয়ে দুটি গান লিখে স্বরলিপিসহ পাঠানোর অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসার এ কথা জানা যায় তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত’ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার জন্মভূমি পূর্ববঙ্গের অর্থাৎ বাংলাদেশের আমার ভাই-বোনেরা জীবন-মরণ পণে যে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সেই লড়াইকে তিনি সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলাম। যদি সেই লড়াই-এর প্রতি তাঁর সামান্য একটু সমর্থন থাকে তাহলে ওদের মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে দুটি গান আমায় লিখে পাঠাতে অনুরোধ জানালাম, যাতে সেই গান দুটির রেকর্ড প্রকাশ করে এবং নানা অনুষ্ঠানে গেয়ে এপার বাংলার জনসাধারণকে বাংলাদেশের আমার ভাইবোনদের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারি।’ সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কথা রেখেছিলেন। কয়েক দিন পরে দুটো গান লিখে ও স্বরলিপি করে তিনি পাঠিয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে।
শান্তিনিকেতনি গায়ন পদ্ধতি অনুসরণ না করে সুর কাঠামো বজায় রেখে আত্মোপলব্ধি দিয়ে স্বাধীনভাবে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার কারণে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছে তিনি ব্রাত্য হয়েছেন বটে। কিন্তু সংগীতামোদী মানুষের কাছে পেয়েছেন অফুরান ভালোবাসা। এখনো রবীন্দ্রসংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় ও অনুসরণীয় শিল্পী তিনি। তাঁর ভরাট গলায় গাওয়া ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’, ‘মহারাজ একি সাজে’ কিংবা ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিনেমায় গাওয়া ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’সহ অসংখ্য গান আজও শ্রোতাকে মুগ্ধ করে। শিল্পীর স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য আমৃত্যু চেষ্টা তাঁকে শিল্পীদের মণিকোঠায় স্থান করে দিয়েছে।
১৯৮০ সালের ১৮ আগস্ট তাঁর চলে যাওয়া বাংলার সংগীতানুরাগী সাধারণ মানুষকেও করেছিল শোকাহত। তাঁর মৃত্যু নিয়ে তাঁর এক সময়ের কক্ষসঙ্গী ও শিল্পী সন্তোষ সেনগুপ্ত লিখছেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, সারা দেশের দুর্ভাগ্য যে দেবব্রত বিশ্বাস আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কিন্তু কী সে যাওয়া-কী সে মহিমান্বিত নিষ্ক্রমণ-অগণিত জনতার আকুল ক্রন্দনধ্বনি-আকুল হাহাকার যেন তারই গানের রূপ নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ”
বিদ্যুৎ সরকার: শিক্ষক ও সংগীত শিল্পী

দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে জর্জ। সংগীতজনের কাছে তিনি পরিচিত ‘জর্জ দা’ নামে। কিশোরগঞ্জে থাকাকালে আরও দুটো নাম ছিল তাঁর—দেবু এবং খোকা। সেখানে পরিচিতদের অনেকেই এই দুই নামের কোনো একটি দিয়েই চিনতেন বা ডাকতেন তাঁকে। পরে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে কলকাতায় যাওয়ায় তাঁর দেবু ও খোকা নাম ধীরে ধীরে মানুষ ভুলে যায়। কলকাতার মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন পিতা দেবেন্দ্রকিশোর বিশ্বাসের ইংরেজপ্রীতির নিদর্শন হিসেবে পাওয়া জর্জ নামে। ১৯১১ সালের ২২ আগস্ট তাঁর জন্মের কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ডের রাজা হন পঞ্চম জর্জ। ইংরেজদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও অতিভক্তি বশত তাঁর বাবা-মা আদর করে তাঁকে ডাকতেন জর্জ নামে। দেবব্রত বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত এই জর্জ থেকে ‘জর্জ দা’ নামেই সংগীত সমাজে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
দেবব্রত বিশ্বাসের বাবা ছিলেন গোঁড়া ব্রাহ্ম। সিনেমা, থিয়েটার, যাত্রাগানের প্রতি তাঁর ছিল ঘোর অমত। তবে ব্রাহ্ম হওয়ায় বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় প্রার্থনা হিসেবে মায়ের সঙ্গে দেবব্রত বিশ্বাস গাইতেন ব্রহ্মসংগীত। এই প্রার্থনা থেকেই তাঁর গাওয়ার শুরু। এ ছাড়া মায়ের কাছ থেকে শুনে শুনে আরও কিছু গান শিখে নিয়েছিলেন তিনি। ময়মনসিংহ ব্রাহ্মসমাজের মাঘোৎসবের গানের দলে প্রতি বছর মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনিও। বাড়িতে হারমোনিয়াম, অর্গান ছিল। বলা যায়, শৈশব থেকেই তিনি পেয়েছিলেন সংগীত-সহায়ক এক পরিবেশ।
স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস ভলান্টিয়ার হয়ে সমবয়সী কয়েকজনকে নিয়ে দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন বিভিন্ন স্বদেশি সভায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহের কনক দাস ছিলেন তার মাসি (বড় মামির বোন)। তাঁর সঙ্গে অনুষ্ঠানে গানও গেয়েছেন দেবব্রত বিশ্বাস। ১৯২৮-২৯ সালে কলকাতায় কলেজে পড়াকালীন সুর সাগর হিমাংশু দত্ত, শৈলেশ দত্তগুপ্ত, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় ও সন্তোষ সেনগুপ্তের মতো সংগীতগুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। বিশেষ করে হিমাংশু দত্তের কাছ থেকে এ সময় বেশ কিছু গান শিখে নেন দেবব্রত বিশ্বাস। পরে সেই গানগুলো ১৯৩৩ সালে শান্তিনিকেতনের সংগীতভবনের অধ্যক্ষ হেমেন্দ্রলাল রায়কে শুনিয়ে তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেছিলেন তিনি। কাজী নজরুল ইসলামও সেনোলা রেকর্ড কোম্পানির হয়ে তাঁকে দিয়ে দুটি গান রেকর্ড করিয়েছিলেন। বোঝা যায়, সংগীত সম্পর্কে যেখানে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, শিখে নিয়েছেন।
তবে মাঝেমধ্যে দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান গাইলেও রবি ঠাকুরের গানের প্রতিই ছিল তাঁর অতলান্ত ভালোবাসা। বিশেষ করে মায়ের কাছে শেখা ও কলকাতায় ব্রাহ্মমন্দিরে শোনা ব্রহ্মসংগীতগুলো সব সময় তাঁকে আলোড়িত করেছে। এ গান সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘সেই সব আধ্যাত্মিক গানগুলোর মধ্যে কী যেন একটা মাধুর্য ছিল, যা আমার হৃদয়কে অত্যন্ত গভীরভাবে নাড়া দিত।’ বড় হতে হতে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে ওঠে তাঁর যাপিত জীবনের আশ্রয়। সেটা আরও পাকাপোক্ত হয় ১৯৩৫ সালের দিকে ইন্দিরা দেবীর সান্নিধ্যে এসে। এ ছাড়া অনাদিকুমার দস্তিদারের কাছ থেকেও অনেক গান শেখেন তিনি। সিনেমার গানের প্রয়োজনে তিনি পঙ্কজ মল্লিকের সাহচর্য পেয়েছেন। শেখার ব্যাপারে দেবব্রত বিশ্বাস ছিলেন মুক্তমনা। যখন যেখানে যার কাছে সুযোগ পেয়েছেন, শিখেছেন তিনি।
সংগীত, বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় হওয়ার পরেও বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে তিনি হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। এক প্রকার ব্রাত্য করেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে নামী-অনামী অনেক শিল্পীই বহু প্রচারিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে প্রাণভরে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। ভাব ও সুরের সমন্বয় সেখানে যে সব সময় রক্ষা হয়, তা জোর গলায় বলা যায় না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ড কেউ বের করতে চাইলে তাঁকে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের অনুমোদন নিতে হতো। কোনো শিল্পীর সুর-বাজনা-গায়নভঙ্গি একটু এদিক-ওদিক হলেই তাঁর রেকর্ডটি প্রকাশের অনুমতি দিতে বোর্ড কার্পণ্য করত।
তবে এই কৃপণতার মাত্রা সবার ক্ষেত্রে এক রকম ছিল না। বলা যায়, সবচেয়ে বেশি ছিল দেবব্রত বিশ্বাসের প্রতি। কেউ কেউ সঠিকভাবে না গেয়েও রেকর্ড বের করার অনুমতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু দেবব্রত বিশ্বাস সহজে অনুমতি পেতেন না। কারণ তিনি রবীন্দ্রসংগীতের গায়নে অনুভূতি সঞ্জাত নতুনত্ব আনার চেষ্টা করতেন। ফলে, গানের কথা অনুযায়ী ভাব সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে সৃষ্ট মিউজিক ব্যবহার করতেন তিনি। এ জন্য শান্তিনিকেতনি সুর ও পরিবেশনারীতির কিছু ব্যত্যয়ও ঘটাতেন দেবব্রত।
রবীন্দ্রনাথের সংগীতচিন্তা সম্পর্কে দেবব্রত বিশ্বাসের ছিল সুস্পষ্ট ধারণা। ভরাট কণ্ঠ, নতুন গায়নভঙ্গি ও বাণীবাহিত ভাবকে শ্রুতিনন্দনভাবে উপস্থাপনার কারণে শ্রোতারা তাঁকে ভালোবেসেছিল অকৃত্রিম হৃদয়াবেগ দিয়েই। সে সময় দেবব্রত বিশ্বাসের জনপ্রিয়তার একটা প্রমাণ পাওয়া যায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি আমার গানের স্বরলিপি বইয়ে জানাচ্ছেন, ‘শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীতে আমার ধারণা জর্জদারই হাইয়েস্ট। একবার ওঁর বিক্রির স্টেটমেন্ট দেখেছিলুম। ভাবা যায় না। শুধু রবীন্দ্রসংগীত বেচে এত টাকা। না, না ওই জর্জদারই ম্যাক্সিমাম। তারপর আমার।’
সংগীতানুরাগীদের কাছে প্রিয় হলেও বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ড রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে দেবব্রত বিশ্বাসের ভাবনাকে গ্রহণ করতে পারেনি। এ নিয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে বোর্ডের বিবাদ শুরু হয়। এ সময় তাঁর গাওয়া চারটি রবীন্দ্রসংগীতের (১. শুধু যাওয়া আসা, ২. এসেছিলে তবু আস নাই, ৩. মেঘ বলেছে যাব যাব, ৪. গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা) রেকর্ড মিউজিক বোর্ড প্রকাশ করতে বাধা দেয়। শান্তিদেব ঘোষ যে গানকে প্রকাশযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, বোর্ডের কর্মকর্তারা সে মতও গ্রহণ করেননি।
এর পর থেকে মাঝে মাঝেই দেবব্রত বিশ্বাস বোর্ড কর্মকর্তাদের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের এই খবরদারিমূলক আচরণের প্রতিবাদে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই তিনি রবীন্দ্রসংগীত রেকর্ড বন্ধ করে দেন। অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি সংগীত থেকে ধীরে-ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ১৯৭১ সালের পর কোনো রবীন্দ্রসংগীত তিনি আর রেকর্ড করেননি। এ কারণে কারও-কারও কাছে তিনি পেয়েছেন অতি-অভিমানী কিংবা চরম জেদির তকমা। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, এই অতি-অভিমান কিংবা চরম জেদের মূলে রয়েছে শিল্পীর স্বাধীনতা ও অধিকার আদায় এবং তাকে সমুন্নত রাখার সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা।
রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে যথেষ্ট না জানা, অনভিজ্ঞ ও কম বয়সী সনদধারী কিছু মানুষের ক্ষমতাচর্চা ও ঈর্ষাজাত সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিতে পারেননি। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর কাছে শুধু গাওয়ার বিষয় ছিল না। দৈনন্দিন যাপনে তা ছিল আত্মচেতনা ও সম্মানবোধকে শাণিত করার মন্ত্র।
শুধু শ্রোতার কাছেই নন, শিল্পীদের কাছেও তিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয়, বরণীয়। দেবব্রত বিশ্বাসের প্রতি বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের সে আচরণ অন্যান্য শিল্পীকেও ব্যথিত করেছিল–লজ্জিতও। মান্না দে তাঁর আত্মজীবনী জীবনের জলসাঘরে জানাচ্ছেন, ‘কিছু সুরহীন মানুষ রবীন্দ্রসংগীতের অভিভাবক সেজে রবীন্দ্রসংগীতকে আটকে রেখেছেন তাঁদের নিজস্ব আঙিনায়, নিজস্ব বেড়াজালে। কখনো তাকে হয়ে উঠতে দেননি জনগণের সংগীত। প্রাণের গানকে আবদ্ধ রেখেছেন প্রাণহীন এক বিচিত্র স্বঘোষিত রাবীন্দ্রিক ঢঙে। এ অন্যায়, এ ঘোরতর এক অন্যায়। প্রাণ ঢেলে হৃদয়ের সুরে আবেগমথিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন জর্জদা। আহা! কী গান গাইতেন উনি। এক-একটা গানের এক-একটা জায়গায় ওঁর সুর লাগানো শুনে বুকের ভেতর একটা ভালো লাগার অনুভূতি আমার চোখে আবেগ আপ্লুত জল এনে দিত। সেই জর্জদার গান গাওয়া ওরা বন্ধ করে দিল।’
শিল্পীর অর্থনৈতিক অধিকার নিয়েও সচেতন ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। সে সময় অন্যান্য কণ্ঠশিল্পীরা বাদ্যযন্ত্রীদের খরচ নিজের কাঁধে নিয়ে এইচএমভি ও কলাম্বিয়াতে রেকর্ড করে রয়্যালটি পেতেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। দেবব্রত বিশ্বাস সেখানে দশ শতাংশ রয়্যালটি ও বাদ্যযন্ত্রীদের খরচ কোম্পানিকে বহনের দাবি করেন। জনমানসে গ্রহণযোগ্যতার কারণে কোম্পানি তাঁকে এক হাজার কপি বিক্রি হওয়ার শর্তে এই দাবি মেনে নেয়। উল্লেখ্য, তাঁর এক শ’র বেশি গানের মধ্যে এমন কোনো গান নেই যে তিনি রয়্যালটি পাননি। বলা যায়, বিত্ত ও চিত্ত সংকীর্ণতার বেড়াজাল ছিঁড়ে রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। অন্য দুজন হলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিক ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
এই প্রতিবাদী চেতনা তিনি মূলত পেয়েছিলেন আইপিটিএ তথা ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে। সাম্যবাদে আস্থাবান এ শিল্পী ১৯৪০ এর দশকের শুরুতে আইপিটিএর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের গান, বিশেষত তাঁর স্বদেশপ্রেমমূলক গানগুলো গাওয়া শুরু করেন। দেবব্রত বিশ্বাসের দরাজ কণ্ঠ ও স্বতন্ত্র গায়কির কারণে শ্রোতারা আবিষ্কার করলেন নতুন এক রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রসংগীত যে এভাবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও গাওয়া যেতে পারে, তা দেবব্রত বিশ্বাসের আগে কোনো শিল্পী কল্পনা করেননি।
এ সম্পর্কে হেমাঙ্গ বিশ্বাস বলছেন, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের সবল উদ্দীপক ধারার সঙ্গে গণসঙ্গীতকে মিশিয়ে দিলেন জর্জদা। রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে আমাদের অর্থাৎ গণসঙ্গীত গাইয়েদের মনোভাবকে সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করলেন যেমন, তেমনি রবীন্দ্রসংগীতকে মোহান্তদের বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও মন্দিরের বেদি থেকে গণসঙ্গীতের প্রান্তরে নামিয়ে আনলেন। এই দুই ধারার সমন্বয়ে জর্জদা যেমন শ্রেষ্ঠ গণসঙ্গীত শিল্পী, তেমনি শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। এখানেই জর্জদার যুগান্তকারী ভূমিকা। এখানেই তিনি মহান গণসঙ্গীতশিল্পী।’ এ সময় ‘নবান্ন’, ‘রক্তকরবী’র মতো অবিস্মরণীয় নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি।
জন্মভূমি পূর্ববাংলার প্রতি তাঁর ছিল গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের বক্তব্য থেকে জানা যায়, পূর্ববাংলাকে দেবব্রত বিশ্বাস বলতেন ‘মা’ আর পশ্চিমবঙ্গকে বলতেন ‘বিমাতা’। মায়ের রাতারাতি বিদেশ হয়ে যাওয়াকে তিনি কোনো দিন মেনে নিতে পারেননি। আমৃত্যু বয়ে বেড়িয়েছেন দেশভাগের সেই ক্ষত। হয়েছেন যন্ত্রণায় কাতর। তবে দেশভাগ তাঁকে মর্মাহত করলেও জন্মভূমির প্রতি দায়িত্ববোধ সম্পর্কে তিনি ছিলেন সচেতন। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ ও সহানুভূতি আদায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য তিনি সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিঠি দিয়ে দুটি গান লিখে স্বরলিপিসহ পাঠানোর অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসার এ কথা জানা যায় তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত’ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার জন্মভূমি পূর্ববঙ্গের অর্থাৎ বাংলাদেশের আমার ভাই-বোনেরা জীবন-মরণ পণে যে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সেই লড়াইকে তিনি সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলাম। যদি সেই লড়াই-এর প্রতি তাঁর সামান্য একটু সমর্থন থাকে তাহলে ওদের মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে দুটি গান আমায় লিখে পাঠাতে অনুরোধ জানালাম, যাতে সেই গান দুটির রেকর্ড প্রকাশ করে এবং নানা অনুষ্ঠানে গেয়ে এপার বাংলার জনসাধারণকে বাংলাদেশের আমার ভাইবোনদের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারি।’ সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কথা রেখেছিলেন। কয়েক দিন পরে দুটো গান লিখে ও স্বরলিপি করে তিনি পাঠিয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে।
শান্তিনিকেতনি গায়ন পদ্ধতি অনুসরণ না করে সুর কাঠামো বজায় রেখে আত্মোপলব্ধি দিয়ে স্বাধীনভাবে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার কারণে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছে তিনি ব্রাত্য হয়েছেন বটে। কিন্তু সংগীতামোদী মানুষের কাছে পেয়েছেন অফুরান ভালোবাসা। এখনো রবীন্দ্রসংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় ও অনুসরণীয় শিল্পী তিনি। তাঁর ভরাট গলায় গাওয়া ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’, ‘আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার’, ‘মহারাজ একি সাজে’ কিংবা ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ সিনেমায় গাওয়া ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’সহ অসংখ্য গান আজও শ্রোতাকে মুগ্ধ করে। শিল্পীর স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য আমৃত্যু চেষ্টা তাঁকে শিল্পীদের মণিকোঠায় স্থান করে দিয়েছে।
১৯৮০ সালের ১৮ আগস্ট তাঁর চলে যাওয়া বাংলার সংগীতানুরাগী সাধারণ মানুষকেও করেছিল শোকাহত। তাঁর মৃত্যু নিয়ে তাঁর এক সময়ের কক্ষসঙ্গী ও শিল্পী সন্তোষ সেনগুপ্ত লিখছেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, সারা দেশের দুর্ভাগ্য যে দেবব্রত বিশ্বাস আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কিন্তু কী সে যাওয়া-কী সে মহিমান্বিত নিষ্ক্রমণ-অগণিত জনতার আকুল ক্রন্দনধ্বনি-আকুল হাহাকার যেন তারই গানের রূপ নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ”
বিদ্যুৎ সরকার: শিক্ষক ও সংগীত শিল্পী

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১২ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে দেবব্রত বিশ্বাস হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। অথচ রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
২২ আগস্ট ২০২১
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে দেবব্রত বিশ্বাস হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। অথচ রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
২২ আগস্ট ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে দেবব্রত বিশ্বাস হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। অথচ রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
২২ আগস্ট ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১২ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের কাছ থেকে দেবব্রত বিশ্বাস হয়েছিলেন বৈষম্যের শিকার। অথচ রবীন্দ্রসংগীতকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
২২ আগস্ট ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১২ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে