আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক, যেখানে রয়েছে প্রভাবশালী ক্রেতা, রাজনৈতিক রহস্য এবং একাধিক টান টান উত্তেজনার নাটকীয়তা। এই অধিগ্রহণটি বাস্তবে হতে যাচ্ছে এক বিজয়ী দানবের উত্থানের গল্প। চুক্তি সম্পন্ন হলে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতারা এখনো মাঠে থাকায়, এই আখ্যান শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। এই বিশাল চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার আগে পাঁচটি মূল বিষয় রাজনৈতিক ও শিল্পমহলের নজর কেড়েছে:
১. নেটফ্লিক্সের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি
বহু বছর ধরেই নেটফ্লিক্স হলিউডে অবস্থান সুসংহত করেছে, বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা এবং নতুন কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযোজক। কিন্তু এই চুক্তিটি—যা এই শিল্পে বহু বছরের মধ্যে বৃহত্তম, নেটফ্লিক্সকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর আর্কাইভে আরও যা কিছু যুক্ত হবে—
বিশাল ক্যাটালগ: নেটফ্লিক্স প্রায় এক শতাব্দীর ক্ল্যাসিক টাইটেল এবং বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি ক্যাটালগ হাতে পাবে।
গ্রাহকসংখ্যা: নেটফ্লিক্স তার ৩০০ মিলিয়নের বেশি বিদ্যমান গ্রাহকসংখ্যার সঙ্গে এইচবিওর প্রায় ১২৮ মিলিয়ন গ্রাহককে যুক্ত করবে। গবেষণা সংস্থা ফরেস্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক প্রউলক্স বলেছেন, নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং এর সঙ্গে এখন এইচবিও ম্যাক্স যুক্ত হলে, এটি তর্কাতীতভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি: এই চুক্তির ফলে ‘লুনি টিউনস’, ‘হ্যারি পটার’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিওর হিট শো যেমন ‘সাকসেশন’, ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ ও ‘গেম অব থ্রোনস; নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে। এই ক্রয়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টিএনটি স্পোর্টসও অন্তর্ভুক্ত।
২. গ্রাহক মূল্য: বাড়বে না কমবে?
নেটফ্লিক্স আশা করছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হবে। তবে ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড এইচবিওকে কীভাবে নেটফ্লিক্সের বিদ্যমান পরিষেবার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্বাহীরা এখনো স্পষ্ট নন। নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী গ্রেগ পিটার্স এইচবিও ব্র্যান্ডটিকে ‘খুব শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি তাঁদের হাতে ‘অনেক বিকল্প’ দেবে।
প্যাকেজিংয়ের সম্ভাবনা: নেটফ্লিক্স বিভিন্ন বান্ডেলে ফিল্ম এবং প্রোগ্রামগুলোকে একত্র করতে পারে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এইচবিও ব্র্যান্ডটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তাঁরা অবাক হবেন।
সাবস্ক্রিপশন মূল্যের প্রভাব: নেটফ্লিক্সের আধিপত্য তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি চার্জ করার সুযোগ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি দর্শকেরা দুটি স্ট্রিমিং পরিষেবার পরিবর্তে একটির জন্য অর্থ দেন, তাহলে তাঁদের খরচ কমতেও পারে।
৩. স্ট্রিমিংই ভবিষ্যৎ, শেষ হচ্ছে সিনেমার স্বর্ণযুগ
ওয়ার্নার ব্রাদার্স হলো সেই স্টুডিওগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ‘কাসাব্লাংকা’, ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’-এর মতো ক্ল্যাসিক নির্মাণ করে হলিউডের স্বর্ণযুগকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। কিন্তু এই অধিগ্রহণটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, সিনেমার সেই সোনালি যুগ শেষ হচ্ছে।
ফরেস্টারের মাইক প্রউলক্স বলেন, গতিপথ স্পষ্ট—ভবিষ্যৎ পুরোপুরি স্ট্রিমিং-নির্ভর। তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এটি আনুষ্ঠানিক: লিগ্যাসি মিডিয়ার যুগ শেষ হচ্ছে।’
নেটফ্লিক্স ডিসি সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিগ্রহণ করছে, নিঃসন্দেহে এটি প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করে। তাই তারা সিনেমা হলে চলচ্চিত্র মুক্তি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্ডোস এর আগে ‘সিনেমা দেখতে যাওয়া’কে একটি ‘সেকেলে ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই একীভূতকরণ এমন এক শিল্পে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা ইতিমধ্যেই ছাঁটাই, উৎপাদন হ্রাস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) হুমকির সঙ্গে লড়াই করছে। ‘টাইটানিক’ পরিচালক জেমস ক্যামেরনসহ হলিউডের অনেকেই এই চুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
৪. চুক্তির অনিশ্চিত পরিণতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধা
চুক্তি সম্পন্ন হওয়া এখনো বহু চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্পিন-অফ: প্রথমে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারিকে সিএনএন, ডিসকভারি এবং ইউরোস্পোর্টসসহ যে অংশগুলো নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, সেগুলোর স্পিন-অফ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা: প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স, যারা পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি ব্যবসাটি কেনার আশা করেছিল, তারা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও ভালো বিকল্পের প্রস্তাব দিয়ে চুক্তিটি ভন্ডুল করার চেষ্টা করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, কারণ তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এটি ভোক্তাদের সামনে পছন্দমতো প্ল্যাটফর্ম কমিয়ে দেবে এবং সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়বে।
নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।
উল্লেখ্য, চুক্তিটি ভেস্তে গেলে নেটফ্লিক্সকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
৫. রাজনৈতিক ফ্যাক্টর
আলোচনার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব আরেকটি অপ্রত্যাশিত কারণ হিসেবে কাজ করছে। এই প্রশাসন সাধারণত একীভূতকরণের ক্ষেত্রে শিথিল নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মালিক, টেক বিলিয়নিয়ার এবং রিপাবলিকান ডোনার ল্যারি এলিসন এবং তাঁর ছেলে ডেভিডকে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক পটভূমিতেই সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে।

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক, যেখানে রয়েছে প্রভাবশালী ক্রেতা, রাজনৈতিক রহস্য এবং একাধিক টান টান উত্তেজনার নাটকীয়তা। এই অধিগ্রহণটি বাস্তবে হতে যাচ্ছে এক বিজয়ী দানবের উত্থানের গল্প। চুক্তি সম্পন্ন হলে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতারা এখনো মাঠে থাকায়, এই আখ্যান শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। এই বিশাল চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার আগে পাঁচটি মূল বিষয় রাজনৈতিক ও শিল্পমহলের নজর কেড়েছে:
১. নেটফ্লিক্সের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি
বহু বছর ধরেই নেটফ্লিক্স হলিউডে অবস্থান সুসংহত করেছে, বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা এবং নতুন কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযোজক। কিন্তু এই চুক্তিটি—যা এই শিল্পে বহু বছরের মধ্যে বৃহত্তম, নেটফ্লিক্সকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর আর্কাইভে আরও যা কিছু যুক্ত হবে—
বিশাল ক্যাটালগ: নেটফ্লিক্স প্রায় এক শতাব্দীর ক্ল্যাসিক টাইটেল এবং বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি ক্যাটালগ হাতে পাবে।
গ্রাহকসংখ্যা: নেটফ্লিক্স তার ৩০০ মিলিয়নের বেশি বিদ্যমান গ্রাহকসংখ্যার সঙ্গে এইচবিওর প্রায় ১২৮ মিলিয়ন গ্রাহককে যুক্ত করবে। গবেষণা সংস্থা ফরেস্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক প্রউলক্স বলেছেন, নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং এর সঙ্গে এখন এইচবিও ম্যাক্স যুক্ত হলে, এটি তর্কাতীতভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি: এই চুক্তির ফলে ‘লুনি টিউনস’, ‘হ্যারি পটার’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিওর হিট শো যেমন ‘সাকসেশন’, ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ ও ‘গেম অব থ্রোনস; নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে। এই ক্রয়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টিএনটি স্পোর্টসও অন্তর্ভুক্ত।
২. গ্রাহক মূল্য: বাড়বে না কমবে?
নেটফ্লিক্স আশা করছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হবে। তবে ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড এইচবিওকে কীভাবে নেটফ্লিক্সের বিদ্যমান পরিষেবার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্বাহীরা এখনো স্পষ্ট নন। নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী গ্রেগ পিটার্স এইচবিও ব্র্যান্ডটিকে ‘খুব শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি তাঁদের হাতে ‘অনেক বিকল্প’ দেবে।
প্যাকেজিংয়ের সম্ভাবনা: নেটফ্লিক্স বিভিন্ন বান্ডেলে ফিল্ম এবং প্রোগ্রামগুলোকে একত্র করতে পারে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এইচবিও ব্র্যান্ডটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তাঁরা অবাক হবেন।
সাবস্ক্রিপশন মূল্যের প্রভাব: নেটফ্লিক্সের আধিপত্য তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি চার্জ করার সুযোগ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি দর্শকেরা দুটি স্ট্রিমিং পরিষেবার পরিবর্তে একটির জন্য অর্থ দেন, তাহলে তাঁদের খরচ কমতেও পারে।
৩. স্ট্রিমিংই ভবিষ্যৎ, শেষ হচ্ছে সিনেমার স্বর্ণযুগ
ওয়ার্নার ব্রাদার্স হলো সেই স্টুডিওগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ‘কাসাব্লাংকা’, ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’-এর মতো ক্ল্যাসিক নির্মাণ করে হলিউডের স্বর্ণযুগকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। কিন্তু এই অধিগ্রহণটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, সিনেমার সেই সোনালি যুগ শেষ হচ্ছে।
ফরেস্টারের মাইক প্রউলক্স বলেন, গতিপথ স্পষ্ট—ভবিষ্যৎ পুরোপুরি স্ট্রিমিং-নির্ভর। তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এটি আনুষ্ঠানিক: লিগ্যাসি মিডিয়ার যুগ শেষ হচ্ছে।’
নেটফ্লিক্স ডিসি সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিগ্রহণ করছে, নিঃসন্দেহে এটি প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করে। তাই তারা সিনেমা হলে চলচ্চিত্র মুক্তি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্ডোস এর আগে ‘সিনেমা দেখতে যাওয়া’কে একটি ‘সেকেলে ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই একীভূতকরণ এমন এক শিল্পে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা ইতিমধ্যেই ছাঁটাই, উৎপাদন হ্রাস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) হুমকির সঙ্গে লড়াই করছে। ‘টাইটানিক’ পরিচালক জেমস ক্যামেরনসহ হলিউডের অনেকেই এই চুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
৪. চুক্তির অনিশ্চিত পরিণতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধা
চুক্তি সম্পন্ন হওয়া এখনো বহু চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্পিন-অফ: প্রথমে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারিকে সিএনএন, ডিসকভারি এবং ইউরোস্পোর্টসসহ যে অংশগুলো নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, সেগুলোর স্পিন-অফ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা: প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স, যারা পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি ব্যবসাটি কেনার আশা করেছিল, তারা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও ভালো বিকল্পের প্রস্তাব দিয়ে চুক্তিটি ভন্ডুল করার চেষ্টা করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, কারণ তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এটি ভোক্তাদের সামনে পছন্দমতো প্ল্যাটফর্ম কমিয়ে দেবে এবং সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়বে।
নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।
উল্লেখ্য, চুক্তিটি ভেস্তে গেলে নেটফ্লিক্সকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
৫. রাজনৈতিক ফ্যাক্টর
আলোচনার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব আরেকটি অপ্রত্যাশিত কারণ হিসেবে কাজ করছে। এই প্রশাসন সাধারণত একীভূতকরণের ক্ষেত্রে শিথিল নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মালিক, টেক বিলিয়নিয়ার এবং রিপাবলিকান ডোনার ল্যারি এলিসন এবং তাঁর ছেলে ডেভিডকে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক পটভূমিতেই সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক, যেখানে রয়েছে প্রভাবশালী ক্রেতা, রাজনৈতিক রহস্য এবং একাধিক টান টান উত্তেজনার নাটকীয়তা। এই অধিগ্রহণটি বাস্তবে হতে যাচ্ছে এক বিজয়ী দানবের উত্থানের গল্প। চুক্তি সম্পন্ন হলে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতারা এখনো মাঠে থাকায়, এই আখ্যান শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। এই বিশাল চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার আগে পাঁচটি মূল বিষয় রাজনৈতিক ও শিল্পমহলের নজর কেড়েছে:
১. নেটফ্লিক্সের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি
বহু বছর ধরেই নেটফ্লিক্স হলিউডে অবস্থান সুসংহত করেছে, বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা এবং নতুন কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযোজক। কিন্তু এই চুক্তিটি—যা এই শিল্পে বহু বছরের মধ্যে বৃহত্তম, নেটফ্লিক্সকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর আর্কাইভে আরও যা কিছু যুক্ত হবে—
বিশাল ক্যাটালগ: নেটফ্লিক্স প্রায় এক শতাব্দীর ক্ল্যাসিক টাইটেল এবং বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি ক্যাটালগ হাতে পাবে।
গ্রাহকসংখ্যা: নেটফ্লিক্স তার ৩০০ মিলিয়নের বেশি বিদ্যমান গ্রাহকসংখ্যার সঙ্গে এইচবিওর প্রায় ১২৮ মিলিয়ন গ্রাহককে যুক্ত করবে। গবেষণা সংস্থা ফরেস্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক প্রউলক্স বলেছেন, নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং এর সঙ্গে এখন এইচবিও ম্যাক্স যুক্ত হলে, এটি তর্কাতীতভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি: এই চুক্তির ফলে ‘লুনি টিউনস’, ‘হ্যারি পটার’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিওর হিট শো যেমন ‘সাকসেশন’, ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ ও ‘গেম অব থ্রোনস; নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে। এই ক্রয়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টিএনটি স্পোর্টসও অন্তর্ভুক্ত।
২. গ্রাহক মূল্য: বাড়বে না কমবে?
নেটফ্লিক্স আশা করছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হবে। তবে ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড এইচবিওকে কীভাবে নেটফ্লিক্সের বিদ্যমান পরিষেবার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্বাহীরা এখনো স্পষ্ট নন। নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী গ্রেগ পিটার্স এইচবিও ব্র্যান্ডটিকে ‘খুব শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি তাঁদের হাতে ‘অনেক বিকল্প’ দেবে।
প্যাকেজিংয়ের সম্ভাবনা: নেটফ্লিক্স বিভিন্ন বান্ডেলে ফিল্ম এবং প্রোগ্রামগুলোকে একত্র করতে পারে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এইচবিও ব্র্যান্ডটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তাঁরা অবাক হবেন।
সাবস্ক্রিপশন মূল্যের প্রভাব: নেটফ্লিক্সের আধিপত্য তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি চার্জ করার সুযোগ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি দর্শকেরা দুটি স্ট্রিমিং পরিষেবার পরিবর্তে একটির জন্য অর্থ দেন, তাহলে তাঁদের খরচ কমতেও পারে।
৩. স্ট্রিমিংই ভবিষ্যৎ, শেষ হচ্ছে সিনেমার স্বর্ণযুগ
ওয়ার্নার ব্রাদার্স হলো সেই স্টুডিওগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ‘কাসাব্লাংকা’, ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’-এর মতো ক্ল্যাসিক নির্মাণ করে হলিউডের স্বর্ণযুগকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। কিন্তু এই অধিগ্রহণটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, সিনেমার সেই সোনালি যুগ শেষ হচ্ছে।
ফরেস্টারের মাইক প্রউলক্স বলেন, গতিপথ স্পষ্ট—ভবিষ্যৎ পুরোপুরি স্ট্রিমিং-নির্ভর। তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এটি আনুষ্ঠানিক: লিগ্যাসি মিডিয়ার যুগ শেষ হচ্ছে।’
নেটফ্লিক্স ডিসি সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিগ্রহণ করছে, নিঃসন্দেহে এটি প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করে। তাই তারা সিনেমা হলে চলচ্চিত্র মুক্তি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্ডোস এর আগে ‘সিনেমা দেখতে যাওয়া’কে একটি ‘সেকেলে ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই একীভূতকরণ এমন এক শিল্পে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা ইতিমধ্যেই ছাঁটাই, উৎপাদন হ্রাস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) হুমকির সঙ্গে লড়াই করছে। ‘টাইটানিক’ পরিচালক জেমস ক্যামেরনসহ হলিউডের অনেকেই এই চুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
৪. চুক্তির অনিশ্চিত পরিণতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধা
চুক্তি সম্পন্ন হওয়া এখনো বহু চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্পিন-অফ: প্রথমে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারিকে সিএনএন, ডিসকভারি এবং ইউরোস্পোর্টসসহ যে অংশগুলো নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, সেগুলোর স্পিন-অফ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা: প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স, যারা পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি ব্যবসাটি কেনার আশা করেছিল, তারা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও ভালো বিকল্পের প্রস্তাব দিয়ে চুক্তিটি ভন্ডুল করার চেষ্টা করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, কারণ তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এটি ভোক্তাদের সামনে পছন্দমতো প্ল্যাটফর্ম কমিয়ে দেবে এবং সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়বে।
নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।
উল্লেখ্য, চুক্তিটি ভেস্তে গেলে নেটফ্লিক্সকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
৫. রাজনৈতিক ফ্যাক্টর
আলোচনার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব আরেকটি অপ্রত্যাশিত কারণ হিসেবে কাজ করছে। এই প্রশাসন সাধারণত একীভূতকরণের ক্ষেত্রে শিথিল নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মালিক, টেক বিলিয়নিয়ার এবং রিপাবলিকান ডোনার ল্যারি এলিসন এবং তাঁর ছেলে ডেভিডকে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক পটভূমিতেই সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে।

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক, যেখানে রয়েছে প্রভাবশালী ক্রেতা, রাজনৈতিক রহস্য এবং একাধিক টান টান উত্তেজনার নাটকীয়তা। এই অধিগ্রহণটি বাস্তবে হতে যাচ্ছে এক বিজয়ী দানবের উত্থানের গল্প। চুক্তি সম্পন্ন হলে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতারা এখনো মাঠে থাকায়, এই আখ্যান শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। এই বিশাল চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার আগে পাঁচটি মূল বিষয় রাজনৈতিক ও শিল্পমহলের নজর কেড়েছে:
১. নেটফ্লিক্সের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি
বহু বছর ধরেই নেটফ্লিক্স হলিউডে অবস্থান সুসংহত করেছে, বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা এবং নতুন কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযোজক। কিন্তু এই চুক্তিটি—যা এই শিল্পে বহু বছরের মধ্যে বৃহত্তম, নেটফ্লিক্সকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এর আর্কাইভে আরও যা কিছু যুক্ত হবে—
বিশাল ক্যাটালগ: নেটফ্লিক্স প্রায় এক শতাব্দীর ক্ল্যাসিক টাইটেল এবং বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি ক্যাটালগ হাতে পাবে।
গ্রাহকসংখ্যা: নেটফ্লিক্স তার ৩০০ মিলিয়নের বেশি বিদ্যমান গ্রাহকসংখ্যার সঙ্গে এইচবিওর প্রায় ১২৮ মিলিয়ন গ্রাহককে যুক্ত করবে। গবেষণা সংস্থা ফরেস্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক প্রউলক্স বলেছেন, নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং এর সঙ্গে এখন এইচবিও ম্যাক্স যুক্ত হলে, এটি তর্কাতীতভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি: এই চুক্তির ফলে ‘লুনি টিউনস’, ‘হ্যারি পটার’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিওর হিট শো যেমন ‘সাকসেশন’, ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’ ও ‘গেম অব থ্রোনস; নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে চলে আসবে। এই ক্রয়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের টিএনটি স্পোর্টসও অন্তর্ভুক্ত।
২. গ্রাহক মূল্য: বাড়বে না কমবে?
নেটফ্লিক্স আশা করছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হবে। তবে ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং এর ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড এইচবিওকে কীভাবে নেটফ্লিক্সের বিদ্যমান পরিষেবার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে নির্বাহীরা এখনো স্পষ্ট নন। নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী গ্রেগ পিটার্স এইচবিও ব্র্যান্ডটিকে ‘খুব শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি তাঁদের হাতে ‘অনেক বিকল্প’ দেবে।
প্যাকেজিংয়ের সম্ভাবনা: নেটফ্লিক্স বিভিন্ন বান্ডেলে ফিল্ম এবং প্রোগ্রামগুলোকে একত্র করতে পারে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এইচবিও ব্র্যান্ডটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তাঁরা অবাক হবেন।
সাবস্ক্রিপশন মূল্যের প্রভাব: নেটফ্লিক্সের আধিপত্য তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি চার্জ করার সুযোগ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি দর্শকেরা দুটি স্ট্রিমিং পরিষেবার পরিবর্তে একটির জন্য অর্থ দেন, তাহলে তাঁদের খরচ কমতেও পারে।
৩. স্ট্রিমিংই ভবিষ্যৎ, শেষ হচ্ছে সিনেমার স্বর্ণযুগ
ওয়ার্নার ব্রাদার্স হলো সেই স্টুডিওগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ‘কাসাব্লাংকা’, ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ এবং ‘দ্য এক্সরসিস্ট’-এর মতো ক্ল্যাসিক নির্মাণ করে হলিউডের স্বর্ণযুগকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। কিন্তু এই অধিগ্রহণটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, সিনেমার সেই সোনালি যুগ শেষ হচ্ছে।
ফরেস্টারের মাইক প্রউলক্স বলেন, গতিপথ স্পষ্ট—ভবিষ্যৎ পুরোপুরি স্ট্রিমিং-নির্ভর। তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এটি আনুষ্ঠানিক: লিগ্যাসি মিডিয়ার যুগ শেষ হচ্ছে।’
নেটফ্লিক্স ডিসি সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিগ্রহণ করছে, নিঃসন্দেহে এটি প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করে। তাই তারা সিনেমা হলে চলচ্চিত্র মুক্তি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্ডোস এর আগে ‘সিনেমা দেখতে যাওয়া’কে একটি ‘সেকেলে ধারণা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই একীভূতকরণ এমন এক শিল্পে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা ইতিমধ্যেই ছাঁটাই, উৎপাদন হ্রাস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) হুমকির সঙ্গে লড়াই করছে। ‘টাইটানিক’ পরিচালক জেমস ক্যামেরনসহ হলিউডের অনেকেই এই চুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
৪. চুক্তির অনিশ্চিত পরিণতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাধা
চুক্তি সম্পন্ন হওয়া এখনো বহু চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্পিন-অফ: প্রথমে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারিকে সিএনএন, ডিসকভারি এবং ইউরোস্পোর্টসসহ যে অংশগুলো নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না, সেগুলোর স্পিন-অফ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা: প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রেতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স, যারা পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি ব্যবসাটি কেনার আশা করেছিল, তারা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও ভালো বিকল্পের প্রস্তাব দিয়ে চুক্তিটি ভন্ডুল করার চেষ্টা করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, কারণ তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এটি ভোক্তাদের সামনে পছন্দমতো প্ল্যাটফর্ম কমিয়ে দেবে এবং সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়বে।
নেটফ্লিক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।
উল্লেখ্য, চুক্তিটি ভেস্তে গেলে নেটফ্লিক্সকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
৫. রাজনৈতিক ফ্যাক্টর
আলোচনার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব আরেকটি অপ্রত্যাশিত কারণ হিসেবে কাজ করছে। এই প্রশাসন সাধারণত একীভূতকরণের ক্ষেত্রে শিথিল নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী দরদাতা প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের মালিক, টেক বিলিয়নিয়ার এবং রিপাবলিকান ডোনার ল্যারি এলিসন এবং তাঁর ছেলে ডেভিডকে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক পটভূমিতেই সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক
২০ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক
২০ দিন আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক
২০ দিন আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির কিংবদন্তি ফিল্ম স্টুডিও এবং জনপ্রিয় এইচবিও স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করছে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। গতকাল শুক্রবার নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনছে তারা। এটি কেবল একটি সাধারণ চুক্তি নয়—এটি একধরনের হলিউডীয় নাটক
২০ দিন আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে