Ajker Patrika

লকডাউনে আবার দেখুন ভালোবাসার সিনেমা ‘হাচি’

লকডাউনে আবার দেখুন ভালোবাসার সিনেমা ‘হাচি’

ভারতের মোহন লাল গৃহহীন মানুষ। করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মাস্ক কিনেছিলেন। কিন্তু নিজের পোষা কুকুরটার জন্য কিনতে পারেননি। তাই নিজের মাস্কটা খুলে কুকুরকে পরিয়েছেন। বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। রাস্তায় অনেকে তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেন। উত্তরে মোহন লাল বলেন, তিনি নিজে মরে গেলেও দুঃখ নেই। কিন্তু তাঁর কুকুর ভৌরু যাতে না মরে। অনেক যত্ন নিয়ে তিনি ভৌরুকে বড় করেছেন। সে তাঁর সন্তানের মতো। কথাগুলো ভালোবাসায় মাখা। নিখাদ ভালোবাসার এমন গল্প নিয়ে কিছু দেখতে চাইলে বেছে নিতে পারেন ‘হাচি: আ ডগস টেল’ সিনেমাটি। গল্পটি পার্কার উইলসন ও তাঁর কুকুর হাচিকোর।

একদিন রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক কুকুরছানা অধ্যাপক পার্কার উইলসনের সামনে এসে দাঁড়ায়। কোলে তুলে নেন তিনি। বাসায় নিয়ে গেলে স্ত্রী কিছুটা বিরক্তই হন। দত্তক নিতে আগ্রহী এমন কারও কাছে কুকুরটি দিয়ে আসার নির্দেশ দেন। কিন্তু যুৎসই মালিক খুঁজে পাওয়ার আগেই অধ্যাপক আর কুকুরের বাচ্চাটির বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে এলে পার্কারের স্ত্রী নিজেই কুকুরটিকে বাসায় রাখতে বলেন।

এতে কুকুরছানার সঙ্গে পার্কারের বন্ধুত্ব বদলে যায় ভালোবাসায়। ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় কোনোভাবেই হাচি বাসায় থাকতে চাইত না। কোনো না কোনোভাবে পিছু নিত পার্কারের। ক্লাস থেকে না ফেরা পর্যন্ত রেলস্টেশনের গেটের সামনে বসে থাকত। প্রথম প্রথম মানা করতেন পার্কার। কিন্তু হাচিকে আটকানো যেত না দেখে কিছু বলতেন না আর পরে।

একদিন ক্লাস নিতে গিয়ে আর ফেরেননি অধ্যাপক পার্কার। হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাঁর। দিন গড়িয়ে রাত হয়, কিন্তু হাচির অপেক্ষা শেষ হয় না। নিয়মের হেরফের না করে রোজ সে বসে থাকে। স্টেশনের সামনেই থাকে। আশাপাশের মানুষ যা দেয়, তাই খায়। রাত হলে পরিত্যক্ত ট্রেনের নিচে ঘুমায়। পার্কারের মেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে গেলেও সে বেরিয়ে আসে। স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে তার ১০ বছর চলে যায়।

বাস্তবেও হাচিকো নামের একটি কুকুর ছিল। ১৯২০–এর দশকে হাচিকো বাস করত জাপানে। সেখানে তার একটি ভাস্কর্যও রয়েছে। জাপানিজ আকিতা প্রজাতির কুকুর ছিল হাচিকো। ভালোবাসার মানুষের প্রতি অনুগত থাকা তাদের স্বভাবেরই অংশ। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা রিচার্ড গিয়ার। হৃদয় নাড়িয়ে দেওয়া সিনেমাটি ইউটিউবেই দেখা যাবে।

সূত্র: আইএমডিবি ও উইকিপিডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত