অনলাইন ডেস্ক
বলিউড ভাইজান সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া রায়ের প্রেম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এখনো মাঝে মাঝে সেই বিখ্যাত প্রেমকাহিনির আলাপ উঠে আসে বিভিন্ন আলাপচারিতায়। সালমান খান ঐশ্বরিয়া রায় জুটির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বহু বছর। বিচ্ছেদের বিষয়েও নানা কথা হয়েছে। কিন্তু সালমান খান যে, সঞ্জয় লীলা বনসালীর সিনেমা ‘দেবদাস’—এর সেটে নিজেই দেবদাসের মতো আচরণ করেছেন—এই বিষয়টি খানিকটা বোধ হয় নতুনই।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘দেবদাস’ সিনেমার মুক্তির ২৩ বছর পূর্ণ হলো। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালীর এই জাঁকজমকপূর্ণ, আবেগময় এবং চোখ ধাঁধানো দৃষ্টিনন্দন সিনেমা হিন্দি সিনেমার জগতে এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছিল। মুক্তির সময় এটি ছিল ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিন্দি চলচ্চিত্র।
সিনেমাটি যখন মুক্তি পায় তখন ‘মিলেনিয়াল’ প্রজন্ম আদৌ পুরোনো ধাঁচের প্রেম আর আত্মবিনাশের গল্পের সঙ্গে নিজেদের সংযোগ করতে পারবে কিনা—তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এর আগে বহুবার ‘দেবদাস’ নিয়ে ছবি বানানো হলেও বনসালী কেবল আরেকটি রিমেক বানাচ্ছিলেন না, তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিমল রায়ের ১৯৫৫ সালের কালজয়ী ক্ল্যাসিক এবং দিলীপ কুমারের কিংবদন্তি দেবদাস চরিত্রটিকেও।
এই সিনেমায় দেবদাস চরিত্রে শাহরুখ খান নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। তবে জানেন কি, এই ছবিতে একরকম বাস্তবের দেবদাস হয়েও হাজির ছিলেন সালমান খান? হ্যাঁ, সালমান খানও ছিলেন ‘দেবদাস’-এর অংশ!
সঞ্জয় লীলা বনসালীর আগের ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনমের’ শুটিংয়ের সময় সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রায়ের মধ্যে শুরু হয় তুমুল প্রেম। বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সেই প্রেমকাহিনিতে ছিল উত্তেজনা, অধিকারবোধ আর দ্বন্দ্বের ছায়া। ‘দেবদাস’-এর শুটিং যখন শুরু হয়, তখন তাদের সম্পর্ক পৌঁছেছে ভাঙনের কিনারায়।
অনুপমা চোপড়ার লেখা বই ‘King of Bollywood’—এ বলা হয়েছে, ‘সালমান একরকম বাস্তবের দেবদাসে পরিণত হয়েছিলেন—একদিকে নিজেকে ধ্বংস করছিলেন, অন্যদিকে সম্পর্কটা আবারও জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি ছিলেন দেবদাস ছবির শুটিং ইউনিটের প্রায় নিয়মিত অংশ...সালমান খান মাঝরাত পর্যন্ত ঐশ্বরিয়ার মেকআপ ভ্যানে মেঝেতে মাতাল অবস্থায় পড়ে থাকতেন।’
এমনকি, সালমানের এমন উপস্থিতিই এক অপ্রত্যাশিত ক্যামিও দৃশ্য তৈরি করে। এক রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং চলছিল, যেখানে পার্বতী বা পারু (ঐশ্বরিয়া) পায়ে কাঁটা ফুটিয়ে ফেলে, আর দেবদাস (শাহরুখ) তা রোমান্টিক ভালোবাসা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ঠিক তখন সালমান স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে দেখান, কীভাবে এই দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলা উচিত।
অনুপমা চোপড়া আরও লেখেন, ‘সালমান তখন সেটেই ছিলেন। তিনি বললেন, তিনি দেখিয়ে দিতে পারেন কীভাবে দৃশ্যটি করা যায়। শাহরুখ রাজি হন। সালমান দৃশ্যটি করে দেখানোর সময় সঞ্জয় বনসালী ক্যামেরা চালিয়ে দেন। এটি ছিল এক হৃদয়বিদারক মুহূর্ত—এক ক্লান্ত, বিষণ্ন প্রেমিক বাস্তব জীবনের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছিলেন পর্দায়। ঐশ্বরিয়া কেঁদে ফেলেন। এটিই ছিল তাদের একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হওয়ার শেষবারের মতো।’
সালমানের হাতে পারুর পা থেকে কাঁটা সরানোর সেই ক্লোজআপ শটটিই শেষ পর্যন্ত ছবির চূড়ান্ত সংস্করণে জায়গা পায়। এই দৃশ্যটিকে দিয়েছে এক ধরনের বেদনাময় আবহ।
বলিউড ভাইজান সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া রায়ের প্রেম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এখনো মাঝে মাঝে সেই বিখ্যাত প্রেমকাহিনির আলাপ উঠে আসে বিভিন্ন আলাপচারিতায়। সালমান খান ঐশ্বরিয়া রায় জুটির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বহু বছর। বিচ্ছেদের বিষয়েও নানা কথা হয়েছে। কিন্তু সালমান খান যে, সঞ্জয় লীলা বনসালীর সিনেমা ‘দেবদাস’—এর সেটে নিজেই দেবদাসের মতো আচরণ করেছেন—এই বিষয়টি খানিকটা বোধ হয় নতুনই।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘দেবদাস’ সিনেমার মুক্তির ২৩ বছর পূর্ণ হলো। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালীর এই জাঁকজমকপূর্ণ, আবেগময় এবং চোখ ধাঁধানো দৃষ্টিনন্দন সিনেমা হিন্দি সিনেমার জগতে এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছিল। মুক্তির সময় এটি ছিল ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিন্দি চলচ্চিত্র।
সিনেমাটি যখন মুক্তি পায় তখন ‘মিলেনিয়াল’ প্রজন্ম আদৌ পুরোনো ধাঁচের প্রেম আর আত্মবিনাশের গল্পের সঙ্গে নিজেদের সংযোগ করতে পারবে কিনা—তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এর আগে বহুবার ‘দেবদাস’ নিয়ে ছবি বানানো হলেও বনসালী কেবল আরেকটি রিমেক বানাচ্ছিলেন না, তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিমল রায়ের ১৯৫৫ সালের কালজয়ী ক্ল্যাসিক এবং দিলীপ কুমারের কিংবদন্তি দেবদাস চরিত্রটিকেও।
এই সিনেমায় দেবদাস চরিত্রে শাহরুখ খান নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। তবে জানেন কি, এই ছবিতে একরকম বাস্তবের দেবদাস হয়েও হাজির ছিলেন সালমান খান? হ্যাঁ, সালমান খানও ছিলেন ‘দেবদাস’-এর অংশ!
সঞ্জয় লীলা বনসালীর আগের ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনমের’ শুটিংয়ের সময় সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রায়ের মধ্যে শুরু হয় তুমুল প্রেম। বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সেই প্রেমকাহিনিতে ছিল উত্তেজনা, অধিকারবোধ আর দ্বন্দ্বের ছায়া। ‘দেবদাস’-এর শুটিং যখন শুরু হয়, তখন তাদের সম্পর্ক পৌঁছেছে ভাঙনের কিনারায়।
অনুপমা চোপড়ার লেখা বই ‘King of Bollywood’—এ বলা হয়েছে, ‘সালমান একরকম বাস্তবের দেবদাসে পরিণত হয়েছিলেন—একদিকে নিজেকে ধ্বংস করছিলেন, অন্যদিকে সম্পর্কটা আবারও জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি ছিলেন দেবদাস ছবির শুটিং ইউনিটের প্রায় নিয়মিত অংশ...সালমান খান মাঝরাত পর্যন্ত ঐশ্বরিয়ার মেকআপ ভ্যানে মেঝেতে মাতাল অবস্থায় পড়ে থাকতেন।’
এমনকি, সালমানের এমন উপস্থিতিই এক অপ্রত্যাশিত ক্যামিও দৃশ্য তৈরি করে। এক রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং চলছিল, যেখানে পার্বতী বা পারু (ঐশ্বরিয়া) পায়ে কাঁটা ফুটিয়ে ফেলে, আর দেবদাস (শাহরুখ) তা রোমান্টিক ভালোবাসা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ঠিক তখন সালমান স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে দেখান, কীভাবে এই দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলা উচিত।
অনুপমা চোপড়া আরও লেখেন, ‘সালমান তখন সেটেই ছিলেন। তিনি বললেন, তিনি দেখিয়ে দিতে পারেন কীভাবে দৃশ্যটি করা যায়। শাহরুখ রাজি হন। সালমান দৃশ্যটি করে দেখানোর সময় সঞ্জয় বনসালী ক্যামেরা চালিয়ে দেন। এটি ছিল এক হৃদয়বিদারক মুহূর্ত—এক ক্লান্ত, বিষণ্ন প্রেমিক বাস্তব জীবনের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছিলেন পর্দায়। ঐশ্বরিয়া কেঁদে ফেলেন। এটিই ছিল তাদের একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হওয়ার শেষবারের মতো।’
সালমানের হাতে পারুর পা থেকে কাঁটা সরানোর সেই ক্লোজআপ শটটিই শেষ পর্যন্ত ছবির চূড়ান্ত সংস্করণে জায়গা পায়। এই দৃশ্যটিকে দিয়েছে এক ধরনের বেদনাময় আবহ।
এই সাফল্যের আনন্দ কিছুটা হলেও মলিন করে দিয়েছে নকলের অভিযোগ। অনেকে অভিযোগ করছে, ২০০৪ সালের কোরিয়ান সিনেমা ‘আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার’-এর গল্প চুরি করে তৈরি হয়েছে সাইয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া।
৮ ঘণ্টা আগেইদানীং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন নিশো। এখন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন যদিও, কিন্তু এ অবস্থায় শুটিংয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। সুড়ঙ্গ ২ সিনেমার শুটিং শুরুর আগে তাই নিশোকে যেতে হবে ছুরি-কাঁচির নিচে। করাতে হবে হাঁটুর অস্ত্রোপচার।
৮ ঘণ্টা আগেগত কোরবানির ঈদে টিভিতে প্রচার হয়েছিল ইমরাউল রাফাত পরিচালিত নাটক ‘বকুল ফুল’। এতে একজন মানসিক রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। নাটকটি গত বৃহস্পতিবার ইউটিউবে প্রকাশের পর আবার আলোচনায় তিনি। প্রশংসিত হচ্ছে মাহির অভিনয় ও লুক। বকুল ফুল নাটকসহ অন্যান্য বিষয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব...
২১ ঘণ্টা আগেসেই আশির দশকের শুরুতে পরিচালনা শুরু জেমস ক্যামেরনের। বানিয়েছেন ‘টার্মিনেটর’, ‘এলিয়েনস’, ‘টাইটানিক’সহ অনেক আলোচিত সিনেমা। তবে দেড় যুগ ধরে এই জনপ্রিয় নির্মাতা আটকে আছেন একই বিষয়ে। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘অ্যাভাটার’, তার পর থেকে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ভাবেননি।
২১ ঘণ্টা আগে