
সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন দেশের দর্শক। পদাতিক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হলো ‘পদাতিক’। এবারই প্রথম দেশের দর্শক সিনেমাটি দেখার সুযোগ পেল। উৎসবে অনেকেই আপনার উপস্থিতি আশা করছিলেন। আপনি ছিলেন না কেন?
ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেই প্রথমবার বাংলাদেশে সিনেমাটি দেখানো হলো। আমার খুব ভালো লাগছে কিছু দর্শক পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছে। উৎসবে আমি থাকতে পারলে আরও ভালো লাগত। ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ছিল, এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় ছিল। যেকোনো কারণেই হোক, যাওয়া হয়নি। পদাতিকের শোয়ের পর অনেকেই আমাকে মেসেজ দিয়েছেন, ফোন করে ভালো লাগার কথা বলছেন; এটা আমাকে আপ্লুত করেছে। পদাতিকে কাজ করার সময়ও আমার এমন আগ্রহ ও উত্তেজনা ছিল। মৃণাল সেনের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করব, এটা চিন্তা করতেই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছিল। ভারতবর্ষে লাখ লাখ অভিনেতা আছেন। অনেকেই মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই সৌভাগ্যটা আমার হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেও একই দিনে পদাতিক মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ভবিষ্যতে কি মুক্তির কোনো সম্ভাবনা আছে?
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে রিলিজ করা যায়নি। প্রযোজক ফেরদৌসুল হাসান সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। এটা আমার জন্য খুব বড় আফসোস। রিলিজের সময় কলকাতায়ও যাইনি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে। আমি খুব করে চাইব, সুযোগ থাকলে সিনেমাটি যেন এ দেশের হলে মুক্তি দেওয়া হয়। চলচ্চিত্র উৎসবে তো সবাই দেখতে পারে না। সিনেমা হলে রিলিজ হলে সাধারণ দর্শকেরা দেখার সুযোগ পাবেন।
পদাতিকের শুটিংয়ের আগে আপনার বাবা মারা যান। সেই শোক নিয়েই মৃণাল সেন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। কেমন ছিল সেই দিনগুলো?
যে দুঃসময়ে কাজটি করেছি, সেটা ভাবলে এখনো শিউরে উঠি। বাংলাদেশের একজন অভিনেতা হিসেবে কিংবদন্তি মৃণাল সেনের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না, এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লুক সেটের সময় আমার বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শুটিংয়ে যাওয়ার আগে তিনি মারা গেলেন। সেই অবস্থায় আমার ভেতরে যে কী চলছিল, সেটা শুধু আমিই জানি। শুটিংয়ে যাওয়ার পর সৃজিত মুখার্জি আমাকে বলেছিলেন, ‘আপনার মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। আপনার বিষয়ে একটা কথা জানি, আপনি যখন একটা চরিত্রে ঢোকেন, সেটা শেষ না করা পর্যন্ত চরিত্র থেকে বের হন না। আমি বুঝতে পারছি মানসিকভাবে খুব ডিস্টার্বড। তবে যখন আপনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন, যতটুকু শট দেবেন; ওই সময়টুকু শুধু ক্যারেক্টারে থাকবেন। বাকি সময় আপনি আপনার মতো করে থাকেন।’ এই সাপোর্ট উনি আমাকে দিয়েছিলেন। সে সময় এমন কোনো রাত ছিল না, যে রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত শুটিং করে আসার পর পরের দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আর চিৎকার করে হোটেল রুমে কাঁদছি। যত দিন পদাতিকের শুটিং করেছি, এটা ছিল আমার প্রতিদিনের রুটিনের মতো। তখন তো একেবারে দগদগে শোক। ওই কষ্ট পার করে কাজটা করা আমার জন্য বড় স্ট্রাগল ছিল।
আপনি দেখেছেন পদাতিক?
লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখেছিলাম। সেখানে তিনটা শো হয়েছিল। তবে ওই সময় সিনেমাটি ঠিকমতো দেখা হয়নি, নিজের দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল, ব্যক্তিগত ইমোশনের কারণে আমি কি ক্যারেক্টার থেকে বের হয়ে গেছি? কোনো এক্সপ্রেশনে কি মনে হচ্ছে যে আমি মৃণাল সেন নই? নাকি চোখমুখে ফুটে উঠেছে আমার শোক? অভিনয় করতে গিয়ে মৃণাল সেনের বাইরে অন্য কোনো চরিত্র হয়ে গেছে কি? তিনটি প্রদর্শনীতে শুধু এসবই খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। আমি জানি না দর্শক দেখার সময় এই বিষয়টি বুঝতে পারবে কি না। ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে গিয়ে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা যেকোনো শিল্পীর জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে টানাপোড়েন থাকে, চড়াই-উতরাই থাকে। কিন্তু যখন আমরা কোনো চরিত্রে অভিনয় করি, তখন সারা পৃথিবীর সমস্ত ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। কোনো কিছুই যেন বাধা হয়ে উঠতে না পারে, সেই চরিত্রটি ধারণের জন্য।
আপনিসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী টালিউডে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন ভিসা জটিলতাসহ অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন কি এই সংস্কৃতি বিনিময়ে বাধাগ্রস্ত হবে?
শুধু আমি নই, অনেকেই দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। সবাই দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা শুধু দুই বাংলা না, পুরো পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য কাজ করছি। সেই জায়গা থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জন্য কিছুটা হলেও সংস্কৃতির বিনিময়গুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এটা ঠিক, রাজনৈতিক বাধা যতই আসুক, শিল্পের আলাদা একটা শক্তি আছে। যারা শিল্পপ্রেমী, তাদেরকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না। কোনো নোংরা রাজনীতি দিয়ে গান শোনা বন্ধ করা যাবে না, সিনেমা দেখা বন্ধ করা যাবে না। আমাদের শিল্পী, নির্মাতারা যাঁর যাঁর মতো করে একটা দর্শকশ্রেণি তৈরি করেছেন। সেই দর্শককে কোনোভাবেই কোনো নোংরা রাজনীতির ফাঁদে ফেলে আটকানো যাবে না। এটাই হচ্ছে শিল্পের শক্তি। সাময়িক সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত তো একটু হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে এটা কমবেশি হবেই। এটার আঁচ শিল্পসাহিত্য থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই লাগে। সেখান থেকে আবার আমাদের মুক্ত হয়ে স্বকীয় জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
৩০ জানুয়ারি আপনার অভিনীত নতুন সিরিজ ‘ফেউ’ মুক্তি পাচ্ছে...
একটা জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে সিরিজটি। এটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হলেও গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানে না। এবার সিরিজের মাধ্যমে সেই গল্পটি অনেকেই জানার সুযোগ পাবেন। একটা জনগোষ্ঠীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হওয়া, তাদের জীবনের সংকট, জীবন-মরণ—সবকিছু মিলিয়ে অনবদ্য একটা গল্প। নির্মাতার কাছ থেকে প্রথম যখন গল্পটি শুনি, তখন খুব চিন্তায় ছিলাম কীভাবে সে পর্দায় দেখাবে। সেই কঠিন কাজটি খুব ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছেন নির্মাতা। এখন দর্শক কাজটি কীভাবে গ্রহণ করে, সেটাই দেখার বিষয়।
ওটিটি আসার পর আমাদের নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তবে এই মাধ্যমেও বিষয়ের বৈচিত্র্য তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
আমরা একই ধরনের গল্পের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি, এটা হয়তো সত্যি। নতুন নতুন গল্প নিয়ে কাজ করলে দর্শকের আগ্রহ বেশি থাকে। যখন নতুন ভাবনা দিয়ে দর্শকদের চমকে দেওয়া যায়, তখনই তারা কাজটি দেখে। দর্শক সব সময় আমাদের কাছে ভালো কাজ চায়। ভালো কাজের অর্থ এমন নয় যে একটি কাজ সবাই পছন্দ করল, সেটাকে পুঁজি করে সেই ধরনের কাজ বারবার করলাম। যাঁরা নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন, যাঁরা পরিচালনা করেন, অভিনয় করেন; তাঁদের অনেক দায়িত্ব। আমাদের প্রচুর গল্প আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাখ লাখ গল্প ছড়িয়ে আছে। যাঁরা নতুন গল্প ও ভাবনা নিয়ে কাজ করবেন এবং সেটা যদি রিয়েলিটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, তাহলে দর্শক সব সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের এখানে অনেক ভালো নির্মাতা আছেন, যাঁরা ভালো কাজ করতে চান। তাঁদেরকে দর্শক লেভেল থেকেও সাপোর্ট দেওয়া উচিত। নতুন কিছু ভালো হলে সবাই যেন অন্যকে দেখতে উৎসাহী করে, তাহলে নির্মাতারাও আত্মবিশ্বাস পাবেন।
ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হলো ‘পদাতিক’। এবারই প্রথম দেশের দর্শক সিনেমাটি দেখার সুযোগ পেল। উৎসবে অনেকেই আপনার উপস্থিতি আশা করছিলেন। আপনি ছিলেন না কেন?
ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেই প্রথমবার বাংলাদেশে সিনেমাটি দেখানো হলো। আমার খুব ভালো লাগছে কিছু দর্শক পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছে। উৎসবে আমি থাকতে পারলে আরও ভালো লাগত। ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ছিল, এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় ছিল। যেকোনো কারণেই হোক, যাওয়া হয়নি। পদাতিকের শোয়ের পর অনেকেই আমাকে মেসেজ দিয়েছেন, ফোন করে ভালো লাগার কথা বলছেন; এটা আমাকে আপ্লুত করেছে। পদাতিকে কাজ করার সময়ও আমার এমন আগ্রহ ও উত্তেজনা ছিল। মৃণাল সেনের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করব, এটা চিন্তা করতেই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছিল। ভারতবর্ষে লাখ লাখ অভিনেতা আছেন। অনেকেই মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই সৌভাগ্যটা আমার হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেও একই দিনে পদাতিক মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ভবিষ্যতে কি মুক্তির কোনো সম্ভাবনা আছে?
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে রিলিজ করা যায়নি। প্রযোজক ফেরদৌসুল হাসান সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। এটা আমার জন্য খুব বড় আফসোস। রিলিজের সময় কলকাতায়ও যাইনি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে। আমি খুব করে চাইব, সুযোগ থাকলে সিনেমাটি যেন এ দেশের হলে মুক্তি দেওয়া হয়। চলচ্চিত্র উৎসবে তো সবাই দেখতে পারে না। সিনেমা হলে রিলিজ হলে সাধারণ দর্শকেরা দেখার সুযোগ পাবেন।
পদাতিকের শুটিংয়ের আগে আপনার বাবা মারা যান। সেই শোক নিয়েই মৃণাল সেন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। কেমন ছিল সেই দিনগুলো?
যে দুঃসময়ে কাজটি করেছি, সেটা ভাবলে এখনো শিউরে উঠি। বাংলাদেশের একজন অভিনেতা হিসেবে কিংবদন্তি মৃণাল সেনের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না, এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লুক সেটের সময় আমার বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শুটিংয়ে যাওয়ার আগে তিনি মারা গেলেন। সেই অবস্থায় আমার ভেতরে যে কী চলছিল, সেটা শুধু আমিই জানি। শুটিংয়ে যাওয়ার পর সৃজিত মুখার্জি আমাকে বলেছিলেন, ‘আপনার মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। আপনার বিষয়ে একটা কথা জানি, আপনি যখন একটা চরিত্রে ঢোকেন, সেটা শেষ না করা পর্যন্ত চরিত্র থেকে বের হন না। আমি বুঝতে পারছি মানসিকভাবে খুব ডিস্টার্বড। তবে যখন আপনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন, যতটুকু শট দেবেন; ওই সময়টুকু শুধু ক্যারেক্টারে থাকবেন। বাকি সময় আপনি আপনার মতো করে থাকেন।’ এই সাপোর্ট উনি আমাকে দিয়েছিলেন। সে সময় এমন কোনো রাত ছিল না, যে রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত শুটিং করে আসার পর পরের দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আর চিৎকার করে হোটেল রুমে কাঁদছি। যত দিন পদাতিকের শুটিং করেছি, এটা ছিল আমার প্রতিদিনের রুটিনের মতো। তখন তো একেবারে দগদগে শোক। ওই কষ্ট পার করে কাজটা করা আমার জন্য বড় স্ট্রাগল ছিল।
আপনি দেখেছেন পদাতিক?
লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখেছিলাম। সেখানে তিনটা শো হয়েছিল। তবে ওই সময় সিনেমাটি ঠিকমতো দেখা হয়নি, নিজের দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল, ব্যক্তিগত ইমোশনের কারণে আমি কি ক্যারেক্টার থেকে বের হয়ে গেছি? কোনো এক্সপ্রেশনে কি মনে হচ্ছে যে আমি মৃণাল সেন নই? নাকি চোখমুখে ফুটে উঠেছে আমার শোক? অভিনয় করতে গিয়ে মৃণাল সেনের বাইরে অন্য কোনো চরিত্র হয়ে গেছে কি? তিনটি প্রদর্শনীতে শুধু এসবই খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। আমি জানি না দর্শক দেখার সময় এই বিষয়টি বুঝতে পারবে কি না। ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে গিয়ে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা যেকোনো শিল্পীর জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে টানাপোড়েন থাকে, চড়াই-উতরাই থাকে। কিন্তু যখন আমরা কোনো চরিত্রে অভিনয় করি, তখন সারা পৃথিবীর সমস্ত ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। কোনো কিছুই যেন বাধা হয়ে উঠতে না পারে, সেই চরিত্রটি ধারণের জন্য।
আপনিসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী টালিউডে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন ভিসা জটিলতাসহ অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন কি এই সংস্কৃতি বিনিময়ে বাধাগ্রস্ত হবে?
শুধু আমি নই, অনেকেই দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। সবাই দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা শুধু দুই বাংলা না, পুরো পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য কাজ করছি। সেই জায়গা থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জন্য কিছুটা হলেও সংস্কৃতির বিনিময়গুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এটা ঠিক, রাজনৈতিক বাধা যতই আসুক, শিল্পের আলাদা একটা শক্তি আছে। যারা শিল্পপ্রেমী, তাদেরকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না। কোনো নোংরা রাজনীতি দিয়ে গান শোনা বন্ধ করা যাবে না, সিনেমা দেখা বন্ধ করা যাবে না। আমাদের শিল্পী, নির্মাতারা যাঁর যাঁর মতো করে একটা দর্শকশ্রেণি তৈরি করেছেন। সেই দর্শককে কোনোভাবেই কোনো নোংরা রাজনীতির ফাঁদে ফেলে আটকানো যাবে না। এটাই হচ্ছে শিল্পের শক্তি। সাময়িক সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত তো একটু হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে এটা কমবেশি হবেই। এটার আঁচ শিল্পসাহিত্য থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই লাগে। সেখান থেকে আবার আমাদের মুক্ত হয়ে স্বকীয় জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
৩০ জানুয়ারি আপনার অভিনীত নতুন সিরিজ ‘ফেউ’ মুক্তি পাচ্ছে...
একটা জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে সিরিজটি। এটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হলেও গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানে না। এবার সিরিজের মাধ্যমে সেই গল্পটি অনেকেই জানার সুযোগ পাবেন। একটা জনগোষ্ঠীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হওয়া, তাদের জীবনের সংকট, জীবন-মরণ—সবকিছু মিলিয়ে অনবদ্য একটা গল্প। নির্মাতার কাছ থেকে প্রথম যখন গল্পটি শুনি, তখন খুব চিন্তায় ছিলাম কীভাবে সে পর্দায় দেখাবে। সেই কঠিন কাজটি খুব ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছেন নির্মাতা। এখন দর্শক কাজটি কীভাবে গ্রহণ করে, সেটাই দেখার বিষয়।
ওটিটি আসার পর আমাদের নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তবে এই মাধ্যমেও বিষয়ের বৈচিত্র্য তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
আমরা একই ধরনের গল্পের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি, এটা হয়তো সত্যি। নতুন নতুন গল্প নিয়ে কাজ করলে দর্শকের আগ্রহ বেশি থাকে। যখন নতুন ভাবনা দিয়ে দর্শকদের চমকে দেওয়া যায়, তখনই তারা কাজটি দেখে। দর্শক সব সময় আমাদের কাছে ভালো কাজ চায়। ভালো কাজের অর্থ এমন নয় যে একটি কাজ সবাই পছন্দ করল, সেটাকে পুঁজি করে সেই ধরনের কাজ বারবার করলাম। যাঁরা নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন, যাঁরা পরিচালনা করেন, অভিনয় করেন; তাঁদের অনেক দায়িত্ব। আমাদের প্রচুর গল্প আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাখ লাখ গল্প ছড়িয়ে আছে। যাঁরা নতুন গল্প ও ভাবনা নিয়ে কাজ করবেন এবং সেটা যদি রিয়েলিটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, তাহলে দর্শক সব সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবে। আমাদের এখানে অনেক ভালো নির্মাতা আছেন, যাঁরা ভালো কাজ করতে চান। তাঁদেরকে দর্শক লেভেল থেকেও সাপোর্ট দেওয়া উচিত। নতুন কিছু ভালো হলে সবাই যেন অন্যকে দেখতে উৎসাহী করে, তাহলে নির্মাতারাও আত্মবিশ্বাস পাবেন।

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগে
৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন।
১ ঘণ্টা আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের। ‘লাইভ’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘টগর’, ‘জীবন জুয়া’সহ এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ১০টির মতো সিনেমা। কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তবে এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি আদরের কোনো সিনেমা। সম্প্রতি নিজের এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।
সাফল্য না পেলেও পিছু হটেননি আদর। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমায়। সম্প্রতি আদর আজাদ যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হোসেনের ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ সিনেমায়। এর মহরতে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমা আসলে ওয়ান ম্যান শো না। এটি পুরো টিমের জার্নি। সিনেমায় যদি ১০০টি বিভাগ থাকে, তাহলে কোনো বিভাগেই বিন্দুমাত্র খাদ রাখা যাবে না। আমার সিনেমাগুলোতে হয়তো ওই ধরনের ত্রুটি ছিল। গল্পে কোনো ত্রুটি ছিল, তা বলব না। যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়, তখনই কাজটা করি। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে নতুন। ঠিক কোন কারণে ক্লিক হচ্ছে না বা কী ধরনের ভুল ছিল, তা বলতে পারব না। তবে ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।’
সিনেমার ব্যর্থতায় নিজের দোষ নেই বলে মনে করেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সিনেমায় পারফরমার হিসেবে আমাকে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বলি, তিরন্দাজ যখন তির ছোড়ে, তখন বাতাসের গতিবিধিও মাথায় রাখতে হয়। বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই হিসাবে টার্গেট পয়েন্ট ঠিক করতে হয়। কখনো ১০-এ ১০ হয়, কখনো হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। সিনেমার সব বিভাগের কাজ যখন একই মানের হবে, তখনই ক্লিক করবে।’
আদর আজাদ মনে করেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি ভালো করছেন বলেই নিয়মিত সিনেমায় সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মাত্রই ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ নামের একটি সিনেমা শেষ করলাম। এখন ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যদি খারাপ করতাম, তাহলে আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করত না। আমাকে নিয়ে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছে, পরিকল্পনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। আমার ক্যারিয়ার হয়তো কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে, কিন্তু কাজ তো হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, একটা চলচ্চিত্রে সবার মেধা ব্যবহার করতে হবে। প্রমোশন, মার্কেটিং থেকে শুরু করে সবকিছু ১০-এ ১০ হওয়া উচিত। তাহলেই একটা বিগ সাকসেস অচিরেই আমরা পেয়ে যাব।’

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের। ‘লাইভ’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘টগর’, ‘জীবন জুয়া’সহ এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ১০টির মতো সিনেমা। কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তবে এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি আদরের কোনো সিনেমা। সম্প্রতি নিজের এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।
সাফল্য না পেলেও পিছু হটেননি আদর। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমায়। সম্প্রতি আদর আজাদ যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হোসেনের ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ সিনেমায়। এর মহরতে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমা আসলে ওয়ান ম্যান শো না। এটি পুরো টিমের জার্নি। সিনেমায় যদি ১০০টি বিভাগ থাকে, তাহলে কোনো বিভাগেই বিন্দুমাত্র খাদ রাখা যাবে না। আমার সিনেমাগুলোতে হয়তো ওই ধরনের ত্রুটি ছিল। গল্পে কোনো ত্রুটি ছিল, তা বলব না। যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়, তখনই কাজটা করি। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে নতুন। ঠিক কোন কারণে ক্লিক হচ্ছে না বা কী ধরনের ভুল ছিল, তা বলতে পারব না। তবে ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।’
সিনেমার ব্যর্থতায় নিজের দোষ নেই বলে মনে করেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সিনেমায় পারফরমার হিসেবে আমাকে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বলি, তিরন্দাজ যখন তির ছোড়ে, তখন বাতাসের গতিবিধিও মাথায় রাখতে হয়। বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই হিসাবে টার্গেট পয়েন্ট ঠিক করতে হয়। কখনো ১০-এ ১০ হয়, কখনো হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। সিনেমার সব বিভাগের কাজ যখন একই মানের হবে, তখনই ক্লিক করবে।’
আদর আজাদ মনে করেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি ভালো করছেন বলেই নিয়মিত সিনেমায় সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মাত্রই ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ নামের একটি সিনেমা শেষ করলাম। এখন ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যদি খারাপ করতাম, তাহলে আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করত না। আমাকে নিয়ে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছে, পরিকল্পনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। আমার ক্যারিয়ার হয়তো কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে, কিন্তু কাজ তো হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, একটা চলচ্চিত্রে সবার মেধা ব্যবহার করতে হবে। প্রমোশন, মার্কেটিং থেকে শুরু করে সবকিছু ১০-এ ১০ হওয়া উচিত। তাহলেই একটা বিগ সাকসেস অচিরেই আমরা পেয়ে যাব।’

সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন..
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগে
৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন।
১ ঘণ্টা আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গতকাল বিয়ের পরদিন ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও রাকিবুল। ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁদের।
এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, তিনি এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যিনি ধর্মপরায়ণ ও ভালো মনের মানুষ এবং প্রিয়াঙ্কাকে অনেক ভালোবাসবে। সৌদি যাওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে পরিচয় বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে আমি তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন। আমার মনে হয়েছে, জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমন একজন। তার বিনয় এবং কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পরদিনই আমরা ওমরাহ করার জন্য সৌদি যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকি জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা জামান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকায় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জামান সজীব চিশতীর ‘গয়নার বাক্স’সহ আরও দুটি নাটকে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে শুটিং করেছেন কামরুল হুদার রচনা ও কামরুল হাসান সুজনের পরিচালনায় ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মার্ডার’-এর। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ডিপজল প্রযোজিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে তাঁর। এই তালিকায় আছে মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’, মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’ ইত্যাদি।

বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গতকাল বিয়ের পরদিন ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও রাকিবুল। ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁদের।
এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, তিনি এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যিনি ধর্মপরায়ণ ও ভালো মনের মানুষ এবং প্রিয়াঙ্কাকে অনেক ভালোবাসবে। সৌদি যাওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে পরিচয় বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে আমি তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন। আমার মনে হয়েছে, জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমন একজন। তার বিনয় এবং কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পরদিনই আমরা ওমরাহ করার জন্য সৌদি যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকি জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা জামান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকায় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জামান সজীব চিশতীর ‘গয়নার বাক্স’সহ আরও দুটি নাটকে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে শুটিং করেছেন কামরুল হুদার রচনা ও কামরুল হাসান সুজনের পরিচালনায় ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মার্ডার’-এর। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ডিপজল প্রযোজিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে তাঁর। এই তালিকায় আছে মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’, মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’ ইত্যাদি।

সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন..
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
১ ঘণ্টা আগে
৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন।
১ ঘণ্টা আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে বানানো সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনো যা হয়নি, সেটাই ঘটে। বক্স অফিসে একেবারে ডাহা ফেল!
মেগালোপলিস তৈরি করতে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার খরচ হয় ১২০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বক্স অফিস থেকে ফেরত আসে মাত্র ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। এক সিনেমার পেছনে এত অর্থ খরচ করে এবং লগ্নি হারিয়ে বলতে গেলে পথে বসেছেন কপোলা। সর্বস্ব খুইয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। এই বিপুল ক্ষতি পোষাতে নিজের কাছে অবশিষ্ট যা কিছু আছে, তা-ই বিক্রি করছেন।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে নিজের দামি ঘড়িগুলো নিলামে তুলেছেন কপোলা। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল বিলাসবহুল অনেক ঘড়ি, যার মধ্যে একটির দামই ১ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিজের সংগ্রহ থেকে সাতটি ঘড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কপোলা। আগামী ৬ ও ৭ ডিসেম্বরে নিউইয়র্কের ফিলিপস অকশন হাউসে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হবে ঘড়িগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি ঘড়িটি তিনি আগলে রেখেছিলেন প্রায় আট বছর। নিজেই ডিজাইন করেছিলেন ঘড়িটি। এত শখের ঘড়ি ছাড়াও কপোলাকে বিক্রি করতে হয়েছে তাঁর কেনা একটি দ্বীপ।
৮ নভেম্বর হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, মধ্য আমেরিকার বেলিজে একটি দ্বীপ কিনেছিলেন কপোলা। কোরাল কে নামের ওই দ্বীপটি আয়তনে ৮ মাইল লম্বা। মাঝে মাঝে অবকাশ যাপনে সেখানে যেতেন নির্মাতা। নিজের খুবই পছন্দের দ্বীপটি ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছেন কপোলা।
গডফাদার সিনেমা দিয়ে প্রথম সাফল্য পেয়েছিলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। পরবর্তী সময়ে সিনেমা বানানোর পাশাপাশি রিসোর্ট, লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে বিপুল সম্পদের অধিকারী হন। তবে মেগালোপলিস বানাতে গিয়ে নিজের সব সঞ্চয় হারিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে এখন কোনো টাকা নেই। কারণ, মেগালোপলিস বানাতে গিয়ে নিজের সব অর্থ বিনিয়োগ করেছিলাম। আরও কিছু ঋণ নিয়েছিলাম। সবই চলে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ১৫-২০ বছর লাগবে। কিন্তু সেই সময়টা আমার হাতে নেই।’
সায়েন্স ফিকশন গল্পের সিনেমা মেগালোপলিস তৈরি হয়েছে রোমান সাম্রাজ্যের পটভূমিতে। এতে অভিনয় করেছেন অ্যাডাম ড্রাইভার, জন ভয়েট, জিয়ানকার্লো এসপোসিতো, নাথালি ইমানুয়েল, ডাস্টিন হফম্যান প্রমুখ। মুক্তির পর কিছু সমালোচকের প্রশংসা পেলেও বেশির ভাগই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করেছেন কপোলাকে। সবচেয়ে বাজে সিনেমা হিসেবে গোল্ডেন রাস্পবেরি পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে পাঁচবার অস্কারজয়ী এই নির্মাতাকে।
তবে এই অপমানেও দমে যাননি কপোলা। নিজের এই পরিস্থিতিকে তুলনা করছেন ফরাসি নির্মাতা জ্যাজ টাটির সঙ্গে। ১৯৬৭ সালে ‘প্লেটাইম’ বানিয়ে তাঁকেও দেউলিয়া হতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল প্লেটাইম। কপোলাও আশা করছেন, মেগালোপলিসও হয়তো ভবিষ্যতে দর্শকদের প্রশংসা পাবে।

৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে বানানো সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনো যা হয়নি, সেটাই ঘটে। বক্স অফিসে একেবারে ডাহা ফেল!
মেগালোপলিস তৈরি করতে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার খরচ হয় ১২০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বক্স অফিস থেকে ফেরত আসে মাত্র ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। এক সিনেমার পেছনে এত অর্থ খরচ করে এবং লগ্নি হারিয়ে বলতে গেলে পথে বসেছেন কপোলা। সর্বস্ব খুইয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। এই বিপুল ক্ষতি পোষাতে নিজের কাছে অবশিষ্ট যা কিছু আছে, তা-ই বিক্রি করছেন।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে নিজের দামি ঘড়িগুলো নিলামে তুলেছেন কপোলা। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল বিলাসবহুল অনেক ঘড়ি, যার মধ্যে একটির দামই ১ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিজের সংগ্রহ থেকে সাতটি ঘড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কপোলা। আগামী ৬ ও ৭ ডিসেম্বরে নিউইয়র্কের ফিলিপস অকশন হাউসে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হবে ঘড়িগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি ঘড়িটি তিনি আগলে রেখেছিলেন প্রায় আট বছর। নিজেই ডিজাইন করেছিলেন ঘড়িটি। এত শখের ঘড়ি ছাড়াও কপোলাকে বিক্রি করতে হয়েছে তাঁর কেনা একটি দ্বীপ।
৮ নভেম্বর হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, মধ্য আমেরিকার বেলিজে একটি দ্বীপ কিনেছিলেন কপোলা। কোরাল কে নামের ওই দ্বীপটি আয়তনে ৮ মাইল লম্বা। মাঝে মাঝে অবকাশ যাপনে সেখানে যেতেন নির্মাতা। নিজের খুবই পছন্দের দ্বীপটি ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছেন কপোলা।
গডফাদার সিনেমা দিয়ে প্রথম সাফল্য পেয়েছিলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। পরবর্তী সময়ে সিনেমা বানানোর পাশাপাশি রিসোর্ট, লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে বিপুল সম্পদের অধিকারী হন। তবে মেগালোপলিস বানাতে গিয়ে নিজের সব সঞ্চয় হারিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে এখন কোনো টাকা নেই। কারণ, মেগালোপলিস বানাতে গিয়ে নিজের সব অর্থ বিনিয়োগ করেছিলাম। আরও কিছু ঋণ নিয়েছিলাম। সবই চলে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ১৫-২০ বছর লাগবে। কিন্তু সেই সময়টা আমার হাতে নেই।’
সায়েন্স ফিকশন গল্পের সিনেমা মেগালোপলিস তৈরি হয়েছে রোমান সাম্রাজ্যের পটভূমিতে। এতে অভিনয় করেছেন অ্যাডাম ড্রাইভার, জন ভয়েট, জিয়ানকার্লো এসপোসিতো, নাথালি ইমানুয়েল, ডাস্টিন হফম্যান প্রমুখ। মুক্তির পর কিছু সমালোচকের প্রশংসা পেলেও বেশির ভাগই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করেছেন কপোলাকে। সবচেয়ে বাজে সিনেমা হিসেবে গোল্ডেন রাস্পবেরি পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে পাঁচবার অস্কারজয়ী এই নির্মাতাকে।
তবে এই অপমানেও দমে যাননি কপোলা। নিজের এই পরিস্থিতিকে তুলনা করছেন ফরাসি নির্মাতা জ্যাজ টাটির সঙ্গে। ১৯৬৭ সালে ‘প্লেটাইম’ বানিয়ে তাঁকেও দেউলিয়া হতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল প্লেটাইম। কপোলাও আশা করছেন, মেগালোপলিসও হয়তো ভবিষ্যতে দর্শকদের প্রশংসা পাবে।

সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন..
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম। শুনেই আনন্দে ফেটে পড়েন ব্ল্যাকপিঙ্কের সদস্যরা। আর রোজে তো বলেই দিলেন, ‘আমি আমার জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না! সবকিছু বুঝে উঠতে এখনো সময় লাগছে।’
৭ নভেম্বর ঘোষিত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকায় শুধু এক বিভাগে নয়, রোজের নাম উঠে এসেছে তিন বিভাগে। রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার এবং বেস্ট পপ ডুয়ো/ গ্রুপ পারফরম্যান্স বিভাগে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কে-পপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রোজে। তিনিই গ্র্যামিতে মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী শিল্পী।
রোজে এই সাফল্য পেয়েছেন ‘আপাতে’ গান দিয়ে। এতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্রুনো মার্স। গত বছর প্রকাশ পাওয়া রোজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘রোজি’তে ছিল গানটি। প্রকাশের পর থেকেই ইউটিউব থেকে বিলবোর্ডের টপ লিস্ট—সবখানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয় আপাতে। ফলে রোজে যে এবার গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেতে পারেন, এ জল্পনা ছিল বছরজুড়ে। অবশেষে সে ধারণাই সত্যি হয়ে ধরা দিল।
ব্যাড বানি, সাবরিনা কার্পেন্টার, দোয়েচি, বিলি আইলিশ, লেডি গাগা, কেনড্রিক লামারদের পেছনে ফেলে রোজে যদি এবার সত্যিই গ্র্যামি জিতে যান; তাহলে সেটা হবে কে-পপের ইতিহাসে আরেকটি বড় অর্জন।

গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন ঘোষণার সময় টিভির পর্দার সামনে বসে ছিলেন রোজে। ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্ল্যাকপিঙ্ক ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য জিসু, জেনি ও লিসা। টিভিতে ঘোষণা করা হচ্ছিল রেকর্ড অব দ্য ইয়ার বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীদের নাম। একেবারে শেষে এল রোজের নাম। শুনেই আনন্দে ফেটে পড়েন ব্ল্যাকপিঙ্কের সদস্যরা। আর রোজে তো বলেই দিলেন, ‘আমি আমার জীবনকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না! সবকিছু বুঝে উঠতে এখনো সময় লাগছে।’
৭ নভেম্বর ঘোষিত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকায় শুধু এক বিভাগে নয়, রোজের নাম উঠে এসেছে তিন বিভাগে। রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার এবং বেস্ট পপ ডুয়ো/ গ্রুপ পারফরম্যান্স বিভাগে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে কে-পপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রোজে। তিনিই গ্র্যামিতে মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী শিল্পী।
রোজে এই সাফল্য পেয়েছেন ‘আপাতে’ গান দিয়ে। এতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্রুনো মার্স। গত বছর প্রকাশ পাওয়া রোজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘রোজি’তে ছিল গানটি। প্রকাশের পর থেকেই ইউটিউব থেকে বিলবোর্ডের টপ লিস্ট—সবখানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নেয় আপাতে। ফলে রোজে যে এবার গ্র্যামিতে মনোনয়ন পেতে পারেন, এ জল্পনা ছিল বছরজুড়ে। অবশেষে সে ধারণাই সত্যি হয়ে ধরা দিল।
ব্যাড বানি, সাবরিনা কার্পেন্টার, দোয়েচি, বিলি আইলিশ, লেডি গাগা, কেনড্রিক লামারদের পেছনে ফেলে রোজে যদি এবার সত্যিই গ্র্যামি জিতে যান; তাহলে সেটা হবে কে-পপের ইতিহাসে আরেকটি বড় অর্জন।

সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। অবশেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে পদাতিক দেখার সুযোগ পেয়েছেন..
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
১ ঘণ্টা আগে
৬০ বছরের ক্যারিয়ারে এতটা খারাপ সময় হয়তো কখনো আসেনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার। ‘দ্য গডফাদার’, ‘দ্য কনভারসেশন’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমাগুলো দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন এই হলিউড নির্মাতা। তাঁর অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল, ‘মেগালোপলিস’ নামে একটি সিনেমা বানাবেন।
১ ঘণ্টা আগে