মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
আজ মুক্তি পাচ্ছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত ‘পদ্মাপুরাণ’। ছবিতে তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আফরিন মাহি। তাঁর সঙ্গে পদ্মাপুরাণ ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান।
‘পদ্মপুরাণ’ ছবির অফার আসে কীভাবে?
২০১৭ সালের কথা। আমি তখন মডেলিং নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত। তখনই পরিচালক রাশিদ পলাশ ছবির অফার দেন। গল্পটা আমার আগেই জানা ছিল।
কীভাবে জেনেছিলেন গল্পটা?
‘কবর’ নামে পরিচালকের একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তখন থেকেই আমাদের সুসম্পর্ক। পরিচালক ‘প্রীতিলতা’ নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যে ছবিটির এখন শুটিং চলছে। পাশাপাশি ‘পদ্মপুরাণ’ ছবির গল্পটাও মাথায় ছিল। দুই ছবি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অনেকেরই অডিশন নিয়েছেন, শেষমেশ আমাকেই বললেন অভিনয়ের জন্য।
আপনাকে পছন্দ করার বিশেষ কোনো কারণ ছিল?
আমি জানতাম চরিত্রটা কী। গল্পে গল্পে বহুবার এ চলচ্চিত্র সম্পর্কে জেনেছি। প্রতিটি চরিত্র, গল্প নিয়ে আমাদের কথা হতো। সেখানে আমার চুল বিসর্জন দিতে হবে। সময় দিতে হবে প্রস্তুতির জন্য। ছেদ পড়বে মডেলিং ক্যারিয়ারে। সবটাই জানা ছিল আমার। ছবিটার জন্য কেমন একটা মায়া তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পরিচালক বলেছিলেন, গতানুগতিক নায়িকা চাই না। গল্পটা একটু ভিন্ন ধারার। ছবিতে অনেক সময় দিতে হবে। সব মিলিয়ে হয়তো আমকেই পছন্দ করেছেন তিনি।
তাহলে কী কী বিসর্জন দিতে হয়েছে?
২০১৮ সালে শুটিং শুরু হয়। মডেলিং ক্যারিয়ারে বিরতি দিয়েই ছবির কাজ শুরু করেছি। ওয়েট লস করতে হয়েছে। মাথার চুল ফেলে দিতে হয়েছে। যাকে বলে একেবারে ন্যাড়া মাথা। চুল কাটার সময় খুব কাঁদছিলাম।
সবটাই কি চরিত্রের জন্য?
ছবিতে তিনটি চরিত্র করেছি। গর্ভবতী নারী, ড্রাগ ডিলার ও শিখণ্ডী চরিত্র। এর মধ্যে শিখণ্ডী চরিত্রটি ছিল সবচেয়ে কঠিন। একটা ছেলেকে খুব সহজেই সাজিয়ে হিজড়ার চরিত্র করা সম্ভব হয়। সেটাই সাধারণত হয়। একজন মেয়ের বেলায় সেটা একটু টাফ। সেই জায়গা থেকে তেমন বডি স্ট্রাকচার তৈরি করেছি। শিখণ্ডীদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে। ওদের কথাবার্তা কেমন। ওরা কীভাবে চলাফেরা করে। অ্যাপ্রোচ কেমন হয় মানুষের সঙ্গে। রাজশাহীতে ছবির প্রথম লটের শুটিংয়ে আমাদের সঙ্গে আসল শিখণ্ডীরাই কাজ করেছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ওরা রাজশাহীর বাসিন্দা। শুটিং শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পুরো টিমের সঙ্গে ছিলাম। হাঁটাচলা, খাওয়া, ওঠাবসা ওদের সঙ্গেই ছিল। ওরা খুবই হেল্পফুল। এটা এভাবে না ওভাবে কর। এভাবে তালি দিস না। এভাবে দাঁড়া। ওরা ধরে ধরে সাহায্য করেছে।
কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। নিজের ছবির নামে মেয়ের নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’…
পর্দায়ও আমার নবজাতকের নাম ছিল পদ্মা। এই ছবিটা আমার জন্য স্বপ্নের মতো। আমার মেয়ের জন্মের তারিখও ছিল ৮ অক্টোবর। ছবি রিলিজের তারিখও ৮ অক্টোবর। যদিও কিছুদিন আগে ওর জন্ম হয়েছে। ও আসবে ছবিও আসবে। তাই মেয়ের নাম পদ্মা রাখলাম। দুটো বিষয়ই আমার অনেক গর্বের।
ছবির গল্প কী?
এই ছবিতে নদীপারের মানুষের জীবনের গল্প বলতে চেয়েছেন পরিচালক। যেটা একেবারেই এই বাংলার গল্প। পদ্মাপারের মানুষের গল্প। আমাদের পুরো টিমের জন্যই পদ্মাপুরাণ একটা যুদ্ধ ছিল। পদ্মা নদীর চরে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শুটিং করেছিলাম আমরা। পুরো টিমের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই হতো না এ অসাধ্যসাধন।
টেলিভিশন উপস্থাপনায়ও আছেন…
চুল ফেলে দেওয়ার পর মডেলিং থেকে কিছুটা বিরতি নিয়েছিলাম। তড়িঘড়ি করে কিছু করতে চাইনি। যমুনা টেলিভিশন থেকে কামরুল রিফাত ভাই প্রস্তাব দিলেন একটা অনুষ্ঠানের প্রেজেন্টার হতে। মূলত তাঁর উৎসাহেই সেখানে কাজ শুরু করি। তবে এখন মাতৃকালীন বিরতিতে আছি।
ক্যারিয়ারের শুরু কীভাবে?
২০১৪ সালের শেষের দিকে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর স্টিল ফটোশুট, র্যাম্পে হাঁটা হয়েছে প্রচুর। অভিনয়ের হাতেখড়ি পলাশের সঙ্গে ‘কবর’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। সামনের দিনে ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে।
আজ মুক্তি পাচ্ছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত ‘পদ্মাপুরাণ’। ছবিতে তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আফরিন মাহি। তাঁর সঙ্গে পদ্মাপুরাণ ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান।
‘পদ্মপুরাণ’ ছবির অফার আসে কীভাবে?
২০১৭ সালের কথা। আমি তখন মডেলিং নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত। তখনই পরিচালক রাশিদ পলাশ ছবির অফার দেন। গল্পটা আমার আগেই জানা ছিল।
কীভাবে জেনেছিলেন গল্পটা?
‘কবর’ নামে পরিচালকের একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তখন থেকেই আমাদের সুসম্পর্ক। পরিচালক ‘প্রীতিলতা’ নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যে ছবিটির এখন শুটিং চলছে। পাশাপাশি ‘পদ্মপুরাণ’ ছবির গল্পটাও মাথায় ছিল। দুই ছবি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অনেকেরই অডিশন নিয়েছেন, শেষমেশ আমাকেই বললেন অভিনয়ের জন্য।
আপনাকে পছন্দ করার বিশেষ কোনো কারণ ছিল?
আমি জানতাম চরিত্রটা কী। গল্পে গল্পে বহুবার এ চলচ্চিত্র সম্পর্কে জেনেছি। প্রতিটি চরিত্র, গল্প নিয়ে আমাদের কথা হতো। সেখানে আমার চুল বিসর্জন দিতে হবে। সময় দিতে হবে প্রস্তুতির জন্য। ছেদ পড়বে মডেলিং ক্যারিয়ারে। সবটাই জানা ছিল আমার। ছবিটার জন্য কেমন একটা মায়া তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পরিচালক বলেছিলেন, গতানুগতিক নায়িকা চাই না। গল্পটা একটু ভিন্ন ধারার। ছবিতে অনেক সময় দিতে হবে। সব মিলিয়ে হয়তো আমকেই পছন্দ করেছেন তিনি।
তাহলে কী কী বিসর্জন দিতে হয়েছে?
২০১৮ সালে শুটিং শুরু হয়। মডেলিং ক্যারিয়ারে বিরতি দিয়েই ছবির কাজ শুরু করেছি। ওয়েট লস করতে হয়েছে। মাথার চুল ফেলে দিতে হয়েছে। যাকে বলে একেবারে ন্যাড়া মাথা। চুল কাটার সময় খুব কাঁদছিলাম।
সবটাই কি চরিত্রের জন্য?
ছবিতে তিনটি চরিত্র করেছি। গর্ভবতী নারী, ড্রাগ ডিলার ও শিখণ্ডী চরিত্র। এর মধ্যে শিখণ্ডী চরিত্রটি ছিল সবচেয়ে কঠিন। একটা ছেলেকে খুব সহজেই সাজিয়ে হিজড়ার চরিত্র করা সম্ভব হয়। সেটাই সাধারণত হয়। একজন মেয়ের বেলায় সেটা একটু টাফ। সেই জায়গা থেকে তেমন বডি স্ট্রাকচার তৈরি করেছি। শিখণ্ডীদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে। ওদের কথাবার্তা কেমন। ওরা কীভাবে চলাফেরা করে। অ্যাপ্রোচ কেমন হয় মানুষের সঙ্গে। রাজশাহীতে ছবির প্রথম লটের শুটিংয়ে আমাদের সঙ্গে আসল শিখণ্ডীরাই কাজ করেছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ওরা রাজশাহীর বাসিন্দা। শুটিং শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পুরো টিমের সঙ্গে ছিলাম। হাঁটাচলা, খাওয়া, ওঠাবসা ওদের সঙ্গেই ছিল। ওরা খুবই হেল্পফুল। এটা এভাবে না ওভাবে কর। এভাবে তালি দিস না। এভাবে দাঁড়া। ওরা ধরে ধরে সাহায্য করেছে।
কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। নিজের ছবির নামে মেয়ের নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’…
পর্দায়ও আমার নবজাতকের নাম ছিল পদ্মা। এই ছবিটা আমার জন্য স্বপ্নের মতো। আমার মেয়ের জন্মের তারিখও ছিল ৮ অক্টোবর। ছবি রিলিজের তারিখও ৮ অক্টোবর। যদিও কিছুদিন আগে ওর জন্ম হয়েছে। ও আসবে ছবিও আসবে। তাই মেয়ের নাম পদ্মা রাখলাম। দুটো বিষয়ই আমার অনেক গর্বের।
ছবির গল্প কী?
এই ছবিতে নদীপারের মানুষের জীবনের গল্প বলতে চেয়েছেন পরিচালক। যেটা একেবারেই এই বাংলার গল্প। পদ্মাপারের মানুষের গল্প। আমাদের পুরো টিমের জন্যই পদ্মাপুরাণ একটা যুদ্ধ ছিল। পদ্মা নদীর চরে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শুটিং করেছিলাম আমরা। পুরো টিমের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই হতো না এ অসাধ্যসাধন।
টেলিভিশন উপস্থাপনায়ও আছেন…
চুল ফেলে দেওয়ার পর মডেলিং থেকে কিছুটা বিরতি নিয়েছিলাম। তড়িঘড়ি করে কিছু করতে চাইনি। যমুনা টেলিভিশন থেকে কামরুল রিফাত ভাই প্রস্তাব দিলেন একটা অনুষ্ঠানের প্রেজেন্টার হতে। মূলত তাঁর উৎসাহেই সেখানে কাজ শুরু করি। তবে এখন মাতৃকালীন বিরতিতে আছি।
ক্যারিয়ারের শুরু কীভাবে?
২০১৪ সালের শেষের দিকে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর স্টিল ফটোশুট, র্যাম্পে হাঁটা হয়েছে প্রচুর। অভিনয়ের হাতেখড়ি পলাশের সঙ্গে ‘কবর’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। সামনের দিনে ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে।
দম সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর নির্মাণে ফিরছেন রেদওয়ান রনি। এই সিনেমায় আফরান নিশোর সঙ্গে আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী। এটি দিয়ে প্রথমবার বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে চঞ্চল ও নিশোকে।
৩ ঘণ্টা আগেগত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খানের দুটি সিনেমা— ‘বরবাদ’ ও ‘অন্তরাত্মা’। বরবাদ হিট হলেও প্রচারের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে অন্তরাত্মা। সিনেমাটি এবার আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
৩ ঘণ্টা আগেজয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘ফেরেশতে’ মুক্তি পাবে ১৯ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমায় উঠে এসেছে সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প।
৩ ঘণ্টা আগেনতুন ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। ‘খুব কাছেরই কেউ’ নামের এই কনটেন্টকে বলা হচ্ছে ফ্ল্যাশ ফিকশন। এতে নাঈমের সহশিল্পী সুনেরাহ বিনতে কামাল। রোমান্টিক ঘরানার কনটেন্টটি পরিচালনা করেছেন সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আরাফাত মহসিন নিধি। এটি তাঁর দ্বিতীয় নির্মাণ।
১৫ ঘণ্টা আগে