জাহীদ রেজা নূর

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
২ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে