মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
এ টি এম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। আমাদের তিন বোনেরই খুব কাছের মানুষ ছিলেন। অনেক ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছি। অনেক অনেক স্মৃতি তাঁকে ঘিরে। শুটিংয়ের সময় আমাকে নামাজ আদায়ের তাড়া দিতেন। আমি সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার শিক্ষাটা ওনার কাছেই পেয়েছিলাম। অনেক সুরা মুখস্থ করতে গিয়ে হিমশিম খেতাম। উনি সুরার তরজমা করে এমনভাবে বুঝিয়ে বলতেন যে সুরাটা সহজে মুখস্থ করতে পারতাম। ধর্মীয় অনেক বিষয়ই আমি ওনার কাছ থেকে জেনেছি, শিখেছি।
এ টি এম শামসুজ্জামান বাস্তবিকই একজন মজার মানুষ ছিলেন। পর্দার সামনেও যেমন মজার ছিলেন, পর্দার বাইরেও তেমনি। ওনার কাছে গেলে কোনো দুঃখবোধ থাকত না। মন খারাপ থাকলে তাই ওনার কাছে যেতাম। মন খুলে কথা বলতে পারতাম। উনি সব দুঃখ-কষ্ট নিমেষেই উড়িয়ে দিতেন। প্রচুর জানাশোনা লোক ছিলেন তিনি। ধর্ম, শিল্প, সংস্কৃতি, দেশি-বিদেশি লেখকদের বই নিয়মিত পড়তেন।
ওনার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হলো হাসপাতালে। আমরা তিন বোন গিয়েছিলাম তাঁকে দেখতে। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। আমাদের সঙ্গে মজা করলেন। আমরা তিন বোন বললাম, ‘ভাই, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমাদের মন ভালো করার টনিক আপনি।’ ছবি তুললাম একসঙ্গে। ছবি তোলার সময় ঠিকভাবে হাসলেন। বললেন, সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেলেই যেন আমরা ওনার বাড়ি যাই। উনি নানা ধরনের খাবার খাওয়াবেন। আমরা কী কী খেতে পছন্দ করি তাও ওনার মুখস্থ। অনেক ধরনের খাবার নিয়ে গল্পও বললেন।
এ টি এম ভাই আমাদের অন্তরে বসে আছেন। এখনো বিশ্বাস হয় না যে তিনি নেই। তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেতা কমই দেখেছি। শট দেওয়ার আগে তুমুল মজা করছেন। আমার হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। শট শুরু হলো, দেখি উনি ভয়ংকর এক ভিলেন। সে কী সংলাপ! উনি কমেডি করলে আমি সমস্যায় পড়ে যেতাম। দেখা যেত উনি সংলাপ দিচ্ছেন আর আমি হাসি চেপে রাখতে পারছি না। উনি যা করতেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতেন। সেটাই বাস্তব মনে হতো। এসব আর আমাদের জীবনে আসবে না, ভাবলেই মনে হয় কত-কী হারাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
এ টি এম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। আমাদের তিন বোনেরই খুব কাছের মানুষ ছিলেন। অনেক ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছি। অনেক অনেক স্মৃতি তাঁকে ঘিরে। শুটিংয়ের সময় আমাকে নামাজ আদায়ের তাড়া দিতেন। আমি সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার শিক্ষাটা ওনার কাছেই পেয়েছিলাম। অনেক সুরা মুখস্থ করতে গিয়ে হিমশিম খেতাম। উনি সুরার তরজমা করে এমনভাবে বুঝিয়ে বলতেন যে সুরাটা সহজে মুখস্থ করতে পারতাম। ধর্মীয় অনেক বিষয়ই আমি ওনার কাছ থেকে জেনেছি, শিখেছি।
এ টি এম শামসুজ্জামান বাস্তবিকই একজন মজার মানুষ ছিলেন। পর্দার সামনেও যেমন মজার ছিলেন, পর্দার বাইরেও তেমনি। ওনার কাছে গেলে কোনো দুঃখবোধ থাকত না। মন খারাপ থাকলে তাই ওনার কাছে যেতাম। মন খুলে কথা বলতে পারতাম। উনি সব দুঃখ-কষ্ট নিমেষেই উড়িয়ে দিতেন। প্রচুর জানাশোনা লোক ছিলেন তিনি। ধর্ম, শিল্প, সংস্কৃতি, দেশি-বিদেশি লেখকদের বই নিয়মিত পড়তেন।
ওনার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হলো হাসপাতালে। আমরা তিন বোন গিয়েছিলাম তাঁকে দেখতে। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। আমাদের সঙ্গে মজা করলেন। আমরা তিন বোন বললাম, ‘ভাই, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমাদের মন ভালো করার টনিক আপনি।’ ছবি তুললাম একসঙ্গে। ছবি তোলার সময় ঠিকভাবে হাসলেন। বললেন, সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেলেই যেন আমরা ওনার বাড়ি যাই। উনি নানা ধরনের খাবার খাওয়াবেন। আমরা কী কী খেতে পছন্দ করি তাও ওনার মুখস্থ। অনেক ধরনের খাবার নিয়ে গল্পও বললেন।
এ টি এম ভাই আমাদের অন্তরে বসে আছেন। এখনো বিশ্বাস হয় না যে তিনি নেই। তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেতা কমই দেখেছি। শট দেওয়ার আগে তুমুল মজা করছেন। আমার হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। শট শুরু হলো, দেখি উনি ভয়ংকর এক ভিলেন। সে কী সংলাপ! উনি কমেডি করলে আমি সমস্যায় পড়ে যেতাম। দেখা যেত উনি সংলাপ দিচ্ছেন আর আমি হাসি চেপে রাখতে পারছি না। উনি যা করতেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতেন। সেটাই বাস্তব মনে হতো। এসব আর আমাদের জীবনে আসবে না, ভাবলেই মনে হয় কত-কী হারাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৫ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
৮ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১৫ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে