বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সাম্প্রতিক সময়ে নাটক-সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সংখ্যা। প্রায় সময় আয়োজন করা হচ্ছে নামে-বেনামে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড শো। নিয়মের তোয়াক্কা না করে যাকে তাকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার। যাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁরাও অনেক সময় জানেন না, কেন তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন। প্রশ্ন করলেও দিতে পারছেন না সদুত্তর।
বেশির ভাগ অ্যাওয়ার্ডের মান নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অনেকের পোশাক নিয়ে। কথিত মডেল-অভিনেত্রীদের পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সাংস্কৃতিক মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। শিল্পীদের অনেকে এ ধরনের ভুঁইফোড় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিকটু পোশাকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘তথাকথিত এসব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান কেন করে, কারা করে, সেটা জানা নেই। সিনেমা হচ্ছে না, শিল্পীদের মাথা নষ্ট। সেখানে এত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান! সমিতিকে না জানিয়ে শিল্পীরা যদি তথাকথিত এসব অনুষ্ঠানে যান এবং শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাহলে আমরা কোনো দায়ভার নেব না।’
সব শিল্পীকে সতর্ক করা হবে জানিয়ে মিশা বলেন, ‘আপনি যে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, সেটার মান কেমন, তা আগে নিশ্চিত হতে হবে। শিল্পী সমিতি থেকে আমরা সব শিল্পীকে সতর্ক করে দেব। আরেকটা বিষয় না বললেই না, অনেকেই যে ধরনের ড্রেসআপ-গেটআপে এসব অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, এ ধরনের পোশাক ও সাজসজ্জাকে শিল্পী হিসেবে আমরা সমর্থন করি না। আমাদের কালচার অনুযায়ী কতটুকু কী করা উচিত, সেটা জানা থাকা দরকার। শোবিজে কাজ করলেও আমাদের পোশাক সম্পর্কে রুচিবোধ থাকতে হবে।’
প্রায়ই এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান বলে জানান চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তবে যাঁরা অনুষ্ঠান করছেন আর যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তাঁদের চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি। পূর্ণিমা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাকেও এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে অ্যাওয়ার্ড নিতে বলা হয়। আমি জিজ্ঞেস করি, আমাকে কোন কাজের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেবেন? তাঁরা বলেন, এমনি। এমনি আবার অ্যাওয়ার্ড কেন দেবেন? অনেকে আবার এসব অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাও করে দিতে বলেন। যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তাঁদের নাম জানতে চাইলে দেখা যায়, তাঁদের কাউকে চিনি না। কেন পাচ্ছেন বা কী বিষয়ে কোন কাজের জন্য তাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জানি না। ফেমাস বা পরিচিত কেউ নেই। তাই আমাকে ডাকলে ওসব অনুষ্ঠানে যাই না।’
কয়েক দিন আগে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আপনারা কারা এই ধরনের অনুষ্ঠানে গেস্ট হয়ে যান পুরস্কার নেওয়ার জন্য ৩০ হাজার, ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকার বিনিময়ে। এই ধরনের টাকার লোভেই এসব অনুষ্ঠান হয়। দেশে জনসংখ্যা বেশি, চিটার-বাটপারও বেশি।’
আগেও অনেকবার এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওমর সানী। কয়েক মাস আগে সানী লিখেছিলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে পুরস্কার দিচ্ছেন আর আপনি কিসের ভিত্তিতে পুরস্কার নিচ্ছেন, নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? একটা ফাইজলামি শুরু হয়েছে। শুধু শোডাউন।’
এদিকে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একজন মডেলের ছবি শেয়ার করে তাঁর পোশাক নিয়ে শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি ফেসবুকে লেখেন, ‘জানি না এদেরকে অ্যাওয়ার্ড কেন দেওয়া হয়। জানার ইচ্ছেও নেই। শুধু এতটুকুই জানি, এই হলো অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের অবস্থা। আমি অবশ্যই সব মহলের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা সমাজ ও পরিবেশ রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।’
এ বিষয়ে মুক্তি আরও বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অনেক শিল্পী তাঁর পরিবার নিয়ে যান। সেখানে সিনিয়র শিল্পীরা থাকেন। তাই সেখানকার পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন পোশাকে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত নয়, যার কারণে পরিবেশ নষ্ট হয়। আর অ্যাওয়ার্ডও বুঝেশুনে দেওয়া উচিত। যারা যোগ্য, তাদেরকে বিবেচনা করা দরকার।’
শিল্পীদের দাবি, শুধু বাণিজ্যের আশায় নয়, শিল্প ও শিল্পীকে যাথার্থ সম্মান জানানোর জন্যই যেন আয়োজন করা হয় এ ধরনের অনুষ্ঠান। যেখানে শিল্পীদের রুচিবোধ আর শিল্প-সংস্কৃতি উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা ও সহযোগিতা কামনা করছেন তাঁরা।
সাম্প্রতিক সময়ে নাটক-সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সংখ্যা। প্রায় সময় আয়োজন করা হচ্ছে নামে-বেনামে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড শো। নিয়মের তোয়াক্কা না করে যাকে তাকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার। যাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁরাও অনেক সময় জানেন না, কেন তাঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন। প্রশ্ন করলেও দিতে পারছেন না সদুত্তর।
বেশির ভাগ অ্যাওয়ার্ডের মান নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অনেকের পোশাক নিয়ে। কথিত মডেল-অভিনেত্রীদের পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সাংস্কৃতিক মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। শিল্পীদের অনেকে এ ধরনের ভুঁইফোড় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিকটু পোশাকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘তথাকথিত এসব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান কেন করে, কারা করে, সেটা জানা নেই। সিনেমা হচ্ছে না, শিল্পীদের মাথা নষ্ট। সেখানে এত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান! সমিতিকে না জানিয়ে শিল্পীরা যদি তথাকথিত এসব অনুষ্ঠানে যান এবং শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাহলে আমরা কোনো দায়ভার নেব না।’
সব শিল্পীকে সতর্ক করা হবে জানিয়ে মিশা বলেন, ‘আপনি যে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, সেটার মান কেমন, তা আগে নিশ্চিত হতে হবে। শিল্পী সমিতি থেকে আমরা সব শিল্পীকে সতর্ক করে দেব। আরেকটা বিষয় না বললেই না, অনেকেই যে ধরনের ড্রেসআপ-গেটআপে এসব অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, এ ধরনের পোশাক ও সাজসজ্জাকে শিল্পী হিসেবে আমরা সমর্থন করি না। আমাদের কালচার অনুযায়ী কতটুকু কী করা উচিত, সেটা জানা থাকা দরকার। শোবিজে কাজ করলেও আমাদের পোশাক সম্পর্কে রুচিবোধ থাকতে হবে।’
প্রায়ই এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান বলে জানান চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তবে যাঁরা অনুষ্ঠান করছেন আর যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তাঁদের চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি। পূর্ণিমা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাকেও এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে অ্যাওয়ার্ড নিতে বলা হয়। আমি জিজ্ঞেস করি, আমাকে কোন কাজের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেবেন? তাঁরা বলেন, এমনি। এমনি আবার অ্যাওয়ার্ড কেন দেবেন? অনেকে আবার এসব অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাও করে দিতে বলেন। যাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তাঁদের নাম জানতে চাইলে দেখা যায়, তাঁদের কাউকে চিনি না। কেন পাচ্ছেন বা কী বিষয়ে কোন কাজের জন্য তাঁরা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জানি না। ফেমাস বা পরিচিত কেউ নেই। তাই আমাকে ডাকলে ওসব অনুষ্ঠানে যাই না।’
কয়েক দিন আগে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আপনারা কারা এই ধরনের অনুষ্ঠানে গেস্ট হয়ে যান পুরস্কার নেওয়ার জন্য ৩০ হাজার, ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকার বিনিময়ে। এই ধরনের টাকার লোভেই এসব অনুষ্ঠান হয়। দেশে জনসংখ্যা বেশি, চিটার-বাটপারও বেশি।’
আগেও অনেকবার এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওমর সানী। কয়েক মাস আগে সানী লিখেছিলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে পুরস্কার দিচ্ছেন আর আপনি কিসের ভিত্তিতে পুরস্কার নিচ্ছেন, নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? একটা ফাইজলামি শুরু হয়েছে। শুধু শোডাউন।’
এদিকে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একজন মডেলের ছবি শেয়ার করে তাঁর পোশাক নিয়ে শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি ফেসবুকে লেখেন, ‘জানি না এদেরকে অ্যাওয়ার্ড কেন দেওয়া হয়। জানার ইচ্ছেও নেই। শুধু এতটুকুই জানি, এই হলো অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের অবস্থা। আমি অবশ্যই সব মহলের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা সমাজ ও পরিবেশ রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।’
এ বিষয়ে মুক্তি আরও বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অনেক শিল্পী তাঁর পরিবার নিয়ে যান। সেখানে সিনিয়র শিল্পীরা থাকেন। তাই সেখানকার পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন পোশাকে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত নয়, যার কারণে পরিবেশ নষ্ট হয়। আর অ্যাওয়ার্ডও বুঝেশুনে দেওয়া উচিত। যারা যোগ্য, তাদেরকে বিবেচনা করা দরকার।’
শিল্পীদের দাবি, শুধু বাণিজ্যের আশায় নয়, শিল্প ও শিল্পীকে যাথার্থ সম্মান জানানোর জন্যই যেন আয়োজন করা হয় এ ধরনের অনুষ্ঠান। যেখানে শিল্পীদের রুচিবোধ আর শিল্প-সংস্কৃতি উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা ও সহযোগিতা কামনা করছেন তাঁরা।
১০০ কোটি ফিক্সড ডিপোজিট পরবর্তী সময়ে করতে পেরেছিলেন অক্ষয়। তাতেও কি আর্থিকভাবে নিরাপদ হতে পেরেছিলেন? এ নিয়ে অভিনেতা সম্প্রতি কথা বলেছেন কপিল শর্মার শোতে।
২৩ মিনিট আগেপ্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের বাছাই চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর। আঞ্চলিক পর্যায়ে ‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগিরা বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের অডিশন ৪ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর।
৩ ঘণ্টা আগেমেলবোর্নের কনসার্টে গাইতে উঠেই মন খারাপের খবরটি দেন তাহসান। বলেন, ‘অনেক জায়গায় লেখালেখি হচ্ছে যে, এটা আমার লাস্ট কনসার্ট। আসলে লাস্ট কনসার্ট নয়, লাস্ট ট্যুর। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটা হয়তো ইতি টানব।’
৫ ঘণ্টা আগের্যাম্বো চরিত্রে আরও একবার অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু বয়স বেড়েছে। ৭৯ বছর বয়সী স্ট্যালোন চেয়েছিলেন, এআই প্রযুক্তির সাহায্যে বয়স কমিয়ে যুবক র্যাম্বো হবেন। তবে তাতে সম্মতি দেননি নির্মাতারা।
৬ ঘণ্টা আগে