Ajker Patrika

‘সাইয়ারা’র সাফল্যে বদলে গেল রাজেশের জীবন

বিনোদন ডেস্ক
রাজেশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত
রাজেশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

রাজেশ কুমার টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করছেন ১৯৯৯ সাল থেকে। ‘বা বহু অউর বেবি’, ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’সহ অনেক আলোচিত সিরিয়াল দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে অভিনয় ছেড়ে কৃষিতে মন দেন। তবে তাতে সাফল্য পাননি। ২ কোটি রুপির বেশি ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন। অনেক কষ্টের দিন পেরিয়ে সম্প্রতি ‘সাইয়ারা’ সিনেমা দিয়ে আবারও সাফল্যের দেখা পেয়েছেন রাজেশ কুমার।

মোহিত সুরি পরিচালিত রোমান্টিক সিনেমা ‘সাইয়ারা’য় অভিনয় করেছেন দুই নতুন মুখ আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডা। ১৮ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ঝড় তুলেছে ভারতের বক্স অফিসে। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে ৪৬০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।

তবে শুধু আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডা নয়, সাইয়ারা সিনেমা দিয়ে রাজেশ কুমারও অনেকদিন পর পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেয়েছেন। ব্যবসায়িক ক্ষতি, মানসিক চাপ সব মিলিয়ে যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজেশ, তা থেকে তাঁর মুক্তি মিলল এ সিনেমার সাফল্যের কারণে।

রাজেশ কুমার জানান, সিরিয়ালে একই রকম চরিত্র করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ২০১৭ সালে অভিনয় ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান। ২০ একর জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন কৃষি খামার। রাজেশ বলেন, ‘পাঁচ বছর আমি কৃষিতে প্রচুর শ্রম দিয়েছি। অনেক বাধা এসেছে। সে সব থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যেহেতু অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান তেমন ছিল না, তাই ক্ষতির মুখেও পড়েছি।’

রাজেশ জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাঁর লাগানো প্রায় ১৫ হাজার চারা নষ্ট হয়ে যায়। এতে তিনি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েন। রাজেশ বলেন, ‘ওই এলাকায় ৩০ বছরে কখনো বন্যা হয়নি। যে বছর আমি কৃষিকাজ শুরু করলাম, ওই বছরই বন্যা হলো। ক্ষেত ডুবে গেল। চারা নষ্ট হলো।’

‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার সঙ্গে রাজেশ। ছবি: সংগৃহীত
‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার সঙ্গে রাজেশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজেশ কুমারের সমস্যা এখানেই শেষ হয়নি। করোনার সময় তাঁর দ্বিতীয় বারের চাষের উদ্যোগও ব্যর্থ হয়। তত দিনে তার সমস্ত সঞ্চয় প্রায় শেষ। ২ কোটি রুপির বেশি দেনার দায় তখন তাঁর কাঁধে। মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন রাজেশ। অভিনেতা বলেন, ‘করোনা শেষ হতে হতে আমি প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাই। পরিবারের খরচ যোগানোর মতো অর্থও আমার কাছে ছিল না।’

বাধ্য হয়ে আবারও অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেন রাজেশ কুমার। বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু কিছুতেই ক্যামেরার সামনে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। রাজেশ নিজের ওজন বাড়ান, চুল কামিয়ে ফেলেন। লুক চেঞ্জ করার পর চারটি সিনেমায় চূড়ান্ত হন তিনি— ‘হাড্ডি’, ‘তেরি বাতোমে ম্যায় অ্যায়সা উলঝা জিয়া’, ‘রাউতু কা রাজ’ ও ‘বিন্নি অ্যান্ড ফ্যামিলি’। এরপর আসে ওয়েব সিরিজ ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ ও ‘ইয়ে মেরি ফ্যামিলি’।

ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও শক্ত হচ্ছিল রাজেশের অবস্থান। তবে তাঁর সাফল্যের পালে জোর হাওয়া দিল সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সাইয়ারা। এতে অনীত পাড্ডার বাবার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন রাজেশ। সাইয়ারার মাধ্যমে যেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো তাঁর।

অভিনেতা বলেন, ‘ক্যারিয়ারের ২৫-২৬ বছর পর আমি এই প্রথমবার কোনো ব্লকবাস্টার সিনেমার অংশ হতে পারলাম। সাইয়ারা যে এত সাফল্য পাবে, সে ধারণা ছিল না। তবে আমরা চেয়েছিলাম, সিনেমাটি সবার কাছে পৌঁছাক। প্রত্যেক অভিনেতা চান, এমন কিছু ঘটুক। যেমনটা ঘটেছিল শোলের ক্ষেত্রে। ওই সিনেমার প্রত্যেক ছোটখাটো চরিত্রও দর্শকের চেনা। সাইয়ার আমার জন্য শোলের চেয়ে কম কিছু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত