Ajker Patrika

৭ বছর মুখে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগেছেন সালমান খান, কী সেই রোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
‘পার্টনার’ সিনেমায় সালমান খান ও লারা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত
‘পার্টনার’ সিনেমায় সালমান খান ও লারা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের ভাইজান সালমান খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দীর্ঘদিনের অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে ‘পার্টনার’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এই যন্ত্রণাদায়ক রোগের সূত্রপাত হয়। সাড়ে সাত বছর এই রোগ তাঁকে ভুগিয়েছে।

কঙ্কনা সেন শর্মা ও কাজল পরিচালিত ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ শীর্ষক টকশোর প্রথম পর্বেই অতিথি ছিলেন সালমান খান।

সালমান জানান, লারা দত্তের সঙ্গে ‘পার্টনার’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এই রোগের প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি “পার্টনার” করছিলাম। লারা সেখানে ছিল। সে যখন আমার মুখের ওপর থেকে তার একটি চুল সরিয়েছিল, তখনই ব্যথা অনুভব করেছিলাম। আমি মজা করে বলেছিলাম, “বাহ লারা, তুমি তো পুরাই বিদ্যুৎ! ” ওটা থেকেই আমার এই রোগের শুরু।’

৫৯ বছর বয়সী ভাইজান সেই থেকে রোগ ভোগের বর্ণনায় বলেন, এই ব্যথা দৈনন্দিন জীবন কঠিন করে তুলেছিল। তিনি বলেন, ‘আপনাকে এটা নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। অনেক মানুষ বাইপাস সার্জারি, হৃদ্‌রোগ এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে বেঁচে আছে। যখন আমার ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া ছিল, সেই ব্যথা এমন ছিল যে, আপনি পরম শত্রুরও এমন ভোগান্তি দেখতে চাইবেন না।’

সালমান জানান, সাড়ে সাত বছর ধরে তিনি এই ব্যথায় ভুগেছেন। প্রতি চার-পাঁচ মিনিট পরপর হঠাৎ করেই ব্যথা শুরু হতো। কথা বলার সময়ও এমনটা ঘটত। তিনি বলেন, ‘আমার সকালের নাশতা করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লাগত। এরপর একদম রাতের খাবার খেতাম। একটা অমলেট খাওয়ার জন্যও আমাকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো। যতটা সম্ভব ব্যথা সহ্য করে খাবারটা কোনোরকম শেষ করতাম।’

শুরুতে অনেকেই ভেবেছিলেন, সালমানের এই ব্যথা দাঁতের সমস্যার কারণে হচ্ছে। কিন্তু পরে জানা যায়, এটি আরও জটিল কিছু। অভিনেতা জানান, এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিদিন ৭৫০ মিলিগ্রাম ব্যথানাশক ওষুধ খেতেন। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, সামান্য (অ্যালকোহল) পান করলে, ব্যথা কিছুটা কমে যেত।

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া কী?

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান মায়ো ক্লিনিকের মতে, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া (টিএন) হলো এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ু রোগ। এ রোগে মুখের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুকে প্রভাবিত হয় এবং মুখে আকস্মিক, তীব্র ও বৈদ্যুতিক শকের মতো ব্যথা হয়। মুখে সামান্য স্পর্শ, দাঁত ব্রাশ করা, খাবার খাওয়া বা এমনকি হালকা বাতাস লাগার মতো বিষয় থেকেও এই ব্যথা শুরু হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ: নবনির্বাচিত ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

মোদিজি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই, তবে দিল্লিতে আপনার বোন বসে আছেন: ওয়াইসি

অধ্যক্ষকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হলো কলেজ থেকে

হাফ হাতা পোশাক পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত