নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মঞ্চে হাজির তিন মৃত ব্যক্তি। কীভাবে তারা মারা গেলেন এই বয়ান দেন পরস্পরের কাছে। তাদের এই বয়ানে এমন এক সমাজজীবনের দেখা মেলে, যেখানে পুরুষের হাতে মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যারা অরক্ষিত। চোখের সামনে নারীর প্রতি অন্যায় ঘটার পরও প্রতিবাদহীন যুবক যখন ঘরে ফেরে, তখন পরিবার তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণা থেকেই প্রথম ব্যক্তি নিজেকে মৃত বলে আবিষ্কার করেন। এক সময় তিনজনেরই মনে পড়ে, তারা তাদের লাশ ফেলে এসেছে কোথাও।
টুকরো টুকরো গল্প। যেন কবিতার চিত্রকল্পে পরাবাস্তব কাহিনি। এর ভেতরে গেঁথে আছে জীবনবোধকে নাড়িয়ে দেওয়া গভীর দার্শনিক সংলাপ। শক্তিমান উর্দু কথাসাহিত্যিক ইনতেজার হুসেইনের গল্পগুলোই যেন এমন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মঞ্চে তাঁর গল্প নিয়ে নাটক মঞ্চায়িত হলো।
নতুন নাটকের দল সৃজন-নাটের যাত্রা শুরু হয়েছে ‘আফসোসের শহর’ নামের এই নাটক দিয়ে। এ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ছিল এর প্রথম প্রদর্শনী। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নজরুল সৈয়দ। তিনি টিভি নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাট্যকর্মী হিসেবে। এবারই তিনি প্রথম কোনো মঞ্চনাটকের নির্দেশনা দিলেন। উর্দু থেকে সালেহ ফুয়াদ অনূদিত মূল গল্পটি রেখে এটিকে কাব্যনাট্যে রূপ দিয়েছেন তিনি।
গল্পটি ‘ইনতেজার হুসেইনের শ্রেষ্ঠ গল্প’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। অনুবাদক সালেহ ফুয়াদ বলেন, ‘উর্দু ছোটগল্পের শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক ইনতেজার হুসেইন। পৌরাণিক আখ্যান আর গভীর দর্শনে পাঠককে আঁকড়ে রাখেন তিনি। সোজাসাপ্টা গল্প না বলে প্রতীক সৃষ্টি করে কাহিনির বিস্তার ঘটান। আফসোসের শহর মূলত তিন মৃত বা জীবিত ব্যক্তির সংলাপধর্মী গল্প।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই তিন ব্যক্তিও প্রতীক। হয়তো বা তারা মানুষ নয়; তিনটি শহর বা দেশ। সাতচল্লিশের আগে তারা একই ছিল। তারপর দিল্লি, লাহোর আর ঢাকায় বিভক্ত। এমনসব খণ্ড খণ্ড দৃশ্য আর দার্শনিক সংলাপ আছে এ নাটকে যে, অস্তিত্বকে নাড়িয়ে দেয়। গল্পটি সাত বছর আগে অনুবাদ করেছিলাম। এই গল্পের মাধ্যমে ঢাকার মঞ্চে ইনতেজারের যাত্রা শুরু হলো।’
নাট্যকার ও নির্দেশক নজরুল সৈয়দ বলেন, ‘যুদ্ধ আর ধর্ষণের রক্তস্নাত পৃথিবীতে মানুষ যখন নীরবতার সংস্কৃতিকে নির্ভর করে বালিতে মুখ গুঁজে ভালো থাকার অভিনয় করে, তখন নিজেকে যে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো প্রয়োজন বলে সৃজন-নাট মনে করে, সেই প্রশ্নের নাটক আফসোসের শহর। যে অলীক পৃথিবী মানুষের স্বপ্নের আঙিনায় এখন আর উঁকি দেয় না, সেই স্বপ্নের পৃথিবী সন্ধানের নাটক এটি। জাতি আর সম্প্রদায়গত এই সংঘাতের কালে মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই নির্দ্বিধায় হত্যা করে ফেলতে পারছে মানুষকে, মেতে উঠছে অমানবিক পৈশাচিকতায়।’
আফসোসের শহর তৈরি হয়েছে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়। অভিনয় করেছেন বন্ধন সাহা, পলক চক্রবর্তী, রিফাত আরা জুঁই, মিডিয়া আশাক্রা ও সুমন আহমেদ রানা। নির্দেশনায় সহযোগিতা করেছেন সমর কান্তি সিংহ। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন অম্লান বিশ্বাস। মিডিয়া আশাক্রার পোশাক পরিকল্পনায় চলন ও দেহ বিন্যাস পরিকল্পনায় ছিলেন বন্ধন সাহা।
মঞ্চে হাজির তিন মৃত ব্যক্তি। কীভাবে তারা মারা গেলেন এই বয়ান দেন পরস্পরের কাছে। তাদের এই বয়ানে এমন এক সমাজজীবনের দেখা মেলে, যেখানে পুরুষের হাতে মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যারা অরক্ষিত। চোখের সামনে নারীর প্রতি অন্যায় ঘটার পরও প্রতিবাদহীন যুবক যখন ঘরে ফেরে, তখন পরিবার তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণা থেকেই প্রথম ব্যক্তি নিজেকে মৃত বলে আবিষ্কার করেন। এক সময় তিনজনেরই মনে পড়ে, তারা তাদের লাশ ফেলে এসেছে কোথাও।
টুকরো টুকরো গল্প। যেন কবিতার চিত্রকল্পে পরাবাস্তব কাহিনি। এর ভেতরে গেঁথে আছে জীবনবোধকে নাড়িয়ে দেওয়া গভীর দার্শনিক সংলাপ। শক্তিমান উর্দু কথাসাহিত্যিক ইনতেজার হুসেইনের গল্পগুলোই যেন এমন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মঞ্চে তাঁর গল্প নিয়ে নাটক মঞ্চায়িত হলো।
নতুন নাটকের দল সৃজন-নাটের যাত্রা শুরু হয়েছে ‘আফসোসের শহর’ নামের এই নাটক দিয়ে। এ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ছিল এর প্রথম প্রদর্শনী। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নজরুল সৈয়দ। তিনি টিভি নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাট্যকর্মী হিসেবে। এবারই তিনি প্রথম কোনো মঞ্চনাটকের নির্দেশনা দিলেন। উর্দু থেকে সালেহ ফুয়াদ অনূদিত মূল গল্পটি রেখে এটিকে কাব্যনাট্যে রূপ দিয়েছেন তিনি।
গল্পটি ‘ইনতেজার হুসেইনের শ্রেষ্ঠ গল্প’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। অনুবাদক সালেহ ফুয়াদ বলেন, ‘উর্দু ছোটগল্পের শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক ইনতেজার হুসেইন। পৌরাণিক আখ্যান আর গভীর দর্শনে পাঠককে আঁকড়ে রাখেন তিনি। সোজাসাপ্টা গল্প না বলে প্রতীক সৃষ্টি করে কাহিনির বিস্তার ঘটান। আফসোসের শহর মূলত তিন মৃত বা জীবিত ব্যক্তির সংলাপধর্মী গল্প।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই তিন ব্যক্তিও প্রতীক। হয়তো বা তারা মানুষ নয়; তিনটি শহর বা দেশ। সাতচল্লিশের আগে তারা একই ছিল। তারপর দিল্লি, লাহোর আর ঢাকায় বিভক্ত। এমনসব খণ্ড খণ্ড দৃশ্য আর দার্শনিক সংলাপ আছে এ নাটকে যে, অস্তিত্বকে নাড়িয়ে দেয়। গল্পটি সাত বছর আগে অনুবাদ করেছিলাম। এই গল্পের মাধ্যমে ঢাকার মঞ্চে ইনতেজারের যাত্রা শুরু হলো।’
নাট্যকার ও নির্দেশক নজরুল সৈয়দ বলেন, ‘যুদ্ধ আর ধর্ষণের রক্তস্নাত পৃথিবীতে মানুষ যখন নীরবতার সংস্কৃতিকে নির্ভর করে বালিতে মুখ গুঁজে ভালো থাকার অভিনয় করে, তখন নিজেকে যে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো প্রয়োজন বলে সৃজন-নাট মনে করে, সেই প্রশ্নের নাটক আফসোসের শহর। যে অলীক পৃথিবী মানুষের স্বপ্নের আঙিনায় এখন আর উঁকি দেয় না, সেই স্বপ্নের পৃথিবী সন্ধানের নাটক এটি। জাতি আর সম্প্রদায়গত এই সংঘাতের কালে মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই নির্দ্বিধায় হত্যা করে ফেলতে পারছে মানুষকে, মেতে উঠছে অমানবিক পৈশাচিকতায়।’
আফসোসের শহর তৈরি হয়েছে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়। অভিনয় করেছেন বন্ধন সাহা, পলক চক্রবর্তী, রিফাত আরা জুঁই, মিডিয়া আশাক্রা ও সুমন আহমেদ রানা। নির্দেশনায় সহযোগিতা করেছেন সমর কান্তি সিংহ। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন অম্লান বিশ্বাস। মিডিয়া আশাক্রার পোশাক পরিকল্পনায় চলন ও দেহ বিন্যাস পরিকল্পনায় ছিলেন বন্ধন সাহা।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
২৩ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৩০ মিনিট আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৩৫ মিনিট আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৩৯ মিনিট আগে