ফাহিম ইবনে সারওয়ার

দ্য ফাদার
৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শুরু হয় এক যুদ্ধ। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অনবদ্য এক গল্প অসাধারণভাবে চিত্রিত করেছেন পরিচালক ফ্লোরিয়ান জেলার। ২০১২ সালের ফ্রেঞ্চ মঞ্চনাটক ‘লে পিয়েরে’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে অ্যান্থনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স এবং তাঁর মেয়ে অ্যানির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলিভিয়া কোলম্যান। অস্কারে ছবিটি ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা অভিনেতা (অ্যান্থনি হপকিন্স) এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অলিভিয়া কোলম্যান)।
ম্যাংক
পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের বাবা জ্যাক ফিঞ্চার ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ১৯৯০–এর দশকে। এটি মূলত মার্কিন চিত্রনাট্যকার হারমান জে ম্যাংকুইজের জীবনীভিত্তিক ছবি। ম্যাংকুইজ ও অরসন ওয়েলস মিলে লিখেছিলেন ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য। এটি ছিল অরসন ওয়েলসের প্রথম ছবি। এই ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের জীবনের নানা ঘটনাই দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের পা ভাঙা ছিল। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভাঙে। তাই তিনি বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন। সে সময় তিনি বলতেন, আর তাঁর সহকারী রিটা আলেক্সান্ডার লিখতেন। ছবিতে ম্যাংকুইজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান। সেই সময়কার আবহ ধরে রাখতে ছবিটি সাদাকালো রাখা হয়েছে।
সাউন্ড অব মেটাল
অস্কারে ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। সেরা ছবি, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা সম্পাদনা ও সেরা শব্দ বিভাগে। পরিচালক হিসেবে দারিশ মারদার–এর প্রথম ছবি এটি। একজন হেভি মেটাল ড্রামার তাঁর শ্রবণশক্তি ক্রমে হারিয়ে ফেলছেন। আর তার জন্য শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা। একদিকে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, আর অন্যদিকে অবশিষ্ট শ্রবণশক্তিকে ধরে রাখার লড়াই নিয়ে এর গল্প। এ জীবনের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প। ছবিতে ড্রামারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেতা রিজ আহমেদ।
জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ববি সিল এবং হুয়ে পার্সি নিউটন প্রতিষ্ঠা করেন গ্রুপটি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রেড হ্যাম্পটন। তাঁকে হত্যার জন্য এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট রয় মিটশেল গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করে উইলিয়াম বি ও’নিলকে। গাড়ি চুরি করতে গিয়ে মিটশেলের হাতে ধরা পড়ে ১৭ বছর বয়সী ও’নিল। এফবিআইয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করার শর্তে সে মুক্তি পায়। ফ্রেড হ্যাম্পটনের সঙ্গে দ্রুতই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে ও’নিল। এফবিআইকে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দেয় সে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পালিয়ে যায় ও’নিল। গভীর রাতে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটে হামলা চালায় শিকাগো পুলিশ ও এফবিআই। ১৯৬৯ সালের সেই অভিযানে মারা যান হ্যাম্পটন। আসলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ফ্রেড হ্যাম্পটন এবং ও’নিলকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিতে ফ্রেড হ্যাম্পটনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল কালুইয়া। ও’নিলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লেকিথ স্ট্যানফিল্ড ও রয় মিটশেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসে প্লেমন্স। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাকা কিং।
প্রমিজিং ইয়াং উইম্যান
৩০ বছর বয়সী ক্যাসি মেডিকেল স্কুল ড্রপআউট। তাঁর বন্ধু নিনা তাঁরই এক সহপাঠী আল মনরোর দ্বারা ধর্ষিত হয়। তবে প্রমাণের অভাবে সেই ঘটনা অমীমাংসিত থেকে যায়। এমনকি সহপাঠী ও শিক্ষকদের অনেকেই মনে করে নিনা ধর্ষণের শিকার হয়নি। কিন্তু ক্যাসি বিশ্বাস করে নিনা ধর্ষিত হয়েছিল। আর তা থেকে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকে সে। একসময় মেডিকেলের পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্যাসি। আর এমন সময়ে সে খবর পায় মনরো বিয়ে করতে যাচ্ছে। মনরোর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। কথা বলে বন্ধু, সহপাঠী ও মনরোর সাথে। মনরোর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে ক্যাসি। কিন্তু সে কি পারবে মনরোকে অপরাধী প্রমাণ করতে? এদিকে এগিয়ে আসছে মনরোর বিয়ের দিন। পরিচালক এমারেল্ড ফেনিলের প্রথম ছবি এটি। ৯৩তম অস্কারে পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। যার মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন। ছবিটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ক্যারি মুলিগান।
মিনারি
১৯৮০–এর দশকের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া কোরিয়ান এক পরিবারের গল্প, যারা তাদের ফেলে আসা অতীত ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের এক গ্রামে নতুন জীবন গড়ে তুলতে চায়। ছবিটির পরিচালক লি আইজাক চাং। পরিচালকের জীবনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর চিত্রনাট্য লেখা। গত বছর সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ ও ড্রামাটিক অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে ছবিটি।
নোম্যাডল্যান্ড
স্বাধীন বা ইনডিপেনডেন্ট সিনেমার ভালো একটি উদাহরণ এই ছবি। মহামন্দার কারণে নিজের ছোট্ট শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা নারী। তাঁর এই যাত্রার ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। নোম্যাড বলতে মূলত যাযাবরদের বোঝানো হয়ে থাকে, যাদের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল নেই। তাঁরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রান্সিস ম্যাকডরম্যান্ড। তিনি ছবিটির সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চীনা নির্মাতা ক্লোয়ি জাও। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা, সম্পাদনা এবং সহপ্রযোজনার কাজটিও করেছেন তিনি। জেসিকা ব্রুডারের লেখা ‘নোম্যাডল্যান্ড: সারভাইভিং আমেরিকা ইন দ্যা টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। ২০১৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়।
দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন
সত্য ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক অ্যারন সরকিন নির্মাণ করেছেন ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’। ষাটের দশকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করা ‘শিকাগো সেভেন’ নামের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে চলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার নিয়ে এই ছবির কাহিনি। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না। বিশেষ করে বিচারক জুলিয়াস হফম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সরকারের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতের কামরায় যুক্তি–পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে মার্কিন রাজনীতি, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের নীতির মতো বিষয় উঠে এসেছে। ছবিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াহিয়া আবদুল-মতিন দ্বিতীয়, সাচা ব্যারন কোহেন, ড্যানিয়েল ফ্ল্যাহার্টি, জোসেফ গর্ডন লেভিট, মাইকেল কিটন, ফ্র্যাংক ল্যাঙ্গেলা, জন ক্যারল লিঞ্চ, এডি রেডমেইন, নোয়া রবিন্স, মার্ক রাইল্যান্স, অ্যালেক্স শার্প, জেরেমি স্ট্রং।

দ্য ফাদার
৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শুরু হয় এক যুদ্ধ। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অনবদ্য এক গল্প অসাধারণভাবে চিত্রিত করেছেন পরিচালক ফ্লোরিয়ান জেলার। ২০১২ সালের ফ্রেঞ্চ মঞ্চনাটক ‘লে পিয়েরে’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে অ্যান্থনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স এবং তাঁর মেয়ে অ্যানির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলিভিয়া কোলম্যান। অস্কারে ছবিটি ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা অভিনেতা (অ্যান্থনি হপকিন্স) এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অলিভিয়া কোলম্যান)।
ম্যাংক
পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের বাবা জ্যাক ফিঞ্চার ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ১৯৯০–এর দশকে। এটি মূলত মার্কিন চিত্রনাট্যকার হারমান জে ম্যাংকুইজের জীবনীভিত্তিক ছবি। ম্যাংকুইজ ও অরসন ওয়েলস মিলে লিখেছিলেন ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য। এটি ছিল অরসন ওয়েলসের প্রথম ছবি। এই ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের জীবনের নানা ঘটনাই দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের পা ভাঙা ছিল। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভাঙে। তাই তিনি বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন। সে সময় তিনি বলতেন, আর তাঁর সহকারী রিটা আলেক্সান্ডার লিখতেন। ছবিতে ম্যাংকুইজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান। সেই সময়কার আবহ ধরে রাখতে ছবিটি সাদাকালো রাখা হয়েছে।
সাউন্ড অব মেটাল
অস্কারে ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। সেরা ছবি, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা সম্পাদনা ও সেরা শব্দ বিভাগে। পরিচালক হিসেবে দারিশ মারদার–এর প্রথম ছবি এটি। একজন হেভি মেটাল ড্রামার তাঁর শ্রবণশক্তি ক্রমে হারিয়ে ফেলছেন। আর তার জন্য শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা। একদিকে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, আর অন্যদিকে অবশিষ্ট শ্রবণশক্তিকে ধরে রাখার লড়াই নিয়ে এর গল্প। এ জীবনের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প। ছবিতে ড্রামারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেতা রিজ আহমেদ।
জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ববি সিল এবং হুয়ে পার্সি নিউটন প্রতিষ্ঠা করেন গ্রুপটি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রেড হ্যাম্পটন। তাঁকে হত্যার জন্য এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট রয় মিটশেল গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করে উইলিয়াম বি ও’নিলকে। গাড়ি চুরি করতে গিয়ে মিটশেলের হাতে ধরা পড়ে ১৭ বছর বয়সী ও’নিল। এফবিআইয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করার শর্তে সে মুক্তি পায়। ফ্রেড হ্যাম্পটনের সঙ্গে দ্রুতই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে ও’নিল। এফবিআইকে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দেয় সে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পালিয়ে যায় ও’নিল। গভীর রাতে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটে হামলা চালায় শিকাগো পুলিশ ও এফবিআই। ১৯৬৯ সালের সেই অভিযানে মারা যান হ্যাম্পটন। আসলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ফ্রেড হ্যাম্পটন এবং ও’নিলকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিতে ফ্রেড হ্যাম্পটনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল কালুইয়া। ও’নিলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লেকিথ স্ট্যানফিল্ড ও রয় মিটশেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসে প্লেমন্স। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাকা কিং।
প্রমিজিং ইয়াং উইম্যান
৩০ বছর বয়সী ক্যাসি মেডিকেল স্কুল ড্রপআউট। তাঁর বন্ধু নিনা তাঁরই এক সহপাঠী আল মনরোর দ্বারা ধর্ষিত হয়। তবে প্রমাণের অভাবে সেই ঘটনা অমীমাংসিত থেকে যায়। এমনকি সহপাঠী ও শিক্ষকদের অনেকেই মনে করে নিনা ধর্ষণের শিকার হয়নি। কিন্তু ক্যাসি বিশ্বাস করে নিনা ধর্ষিত হয়েছিল। আর তা থেকে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকে সে। একসময় মেডিকেলের পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্যাসি। আর এমন সময়ে সে খবর পায় মনরো বিয়ে করতে যাচ্ছে। মনরোর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। কথা বলে বন্ধু, সহপাঠী ও মনরোর সাথে। মনরোর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে ক্যাসি। কিন্তু সে কি পারবে মনরোকে অপরাধী প্রমাণ করতে? এদিকে এগিয়ে আসছে মনরোর বিয়ের দিন। পরিচালক এমারেল্ড ফেনিলের প্রথম ছবি এটি। ৯৩তম অস্কারে পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। যার মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন। ছবিটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ক্যারি মুলিগান।
মিনারি
১৯৮০–এর দশকের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া কোরিয়ান এক পরিবারের গল্প, যারা তাদের ফেলে আসা অতীত ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের এক গ্রামে নতুন জীবন গড়ে তুলতে চায়। ছবিটির পরিচালক লি আইজাক চাং। পরিচালকের জীবনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর চিত্রনাট্য লেখা। গত বছর সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ ও ড্রামাটিক অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে ছবিটি।
নোম্যাডল্যান্ড
স্বাধীন বা ইনডিপেনডেন্ট সিনেমার ভালো একটি উদাহরণ এই ছবি। মহামন্দার কারণে নিজের ছোট্ট শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা নারী। তাঁর এই যাত্রার ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। নোম্যাড বলতে মূলত যাযাবরদের বোঝানো হয়ে থাকে, যাদের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল নেই। তাঁরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রান্সিস ম্যাকডরম্যান্ড। তিনি ছবিটির সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চীনা নির্মাতা ক্লোয়ি জাও। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা, সম্পাদনা এবং সহপ্রযোজনার কাজটিও করেছেন তিনি। জেসিকা ব্রুডারের লেখা ‘নোম্যাডল্যান্ড: সারভাইভিং আমেরিকা ইন দ্যা টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। ২০১৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়।
দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন
সত্য ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক অ্যারন সরকিন নির্মাণ করেছেন ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’। ষাটের দশকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করা ‘শিকাগো সেভেন’ নামের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে চলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার নিয়ে এই ছবির কাহিনি। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না। বিশেষ করে বিচারক জুলিয়াস হফম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সরকারের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতের কামরায় যুক্তি–পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে মার্কিন রাজনীতি, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের নীতির মতো বিষয় উঠে এসেছে। ছবিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াহিয়া আবদুল-মতিন দ্বিতীয়, সাচা ব্যারন কোহেন, ড্যানিয়েল ফ্ল্যাহার্টি, জোসেফ গর্ডন লেভিট, মাইকেল কিটন, ফ্র্যাংক ল্যাঙ্গেলা, জন ক্যারল লিঞ্চ, এডি রেডমেইন, নোয়া রবিন্স, মার্ক রাইল্যান্স, অ্যালেক্স শার্প, জেরেমি স্ট্রং।
ফাহিম ইবনে সারওয়ার

দ্য ফাদার
৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শুরু হয় এক যুদ্ধ। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অনবদ্য এক গল্প অসাধারণভাবে চিত্রিত করেছেন পরিচালক ফ্লোরিয়ান জেলার। ২০১২ সালের ফ্রেঞ্চ মঞ্চনাটক ‘লে পিয়েরে’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে অ্যান্থনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স এবং তাঁর মেয়ে অ্যানির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলিভিয়া কোলম্যান। অস্কারে ছবিটি ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা অভিনেতা (অ্যান্থনি হপকিন্স) এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অলিভিয়া কোলম্যান)।
ম্যাংক
পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের বাবা জ্যাক ফিঞ্চার ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ১৯৯০–এর দশকে। এটি মূলত মার্কিন চিত্রনাট্যকার হারমান জে ম্যাংকুইজের জীবনীভিত্তিক ছবি। ম্যাংকুইজ ও অরসন ওয়েলস মিলে লিখেছিলেন ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য। এটি ছিল অরসন ওয়েলসের প্রথম ছবি। এই ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের জীবনের নানা ঘটনাই দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের পা ভাঙা ছিল। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভাঙে। তাই তিনি বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন। সে সময় তিনি বলতেন, আর তাঁর সহকারী রিটা আলেক্সান্ডার লিখতেন। ছবিতে ম্যাংকুইজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান। সেই সময়কার আবহ ধরে রাখতে ছবিটি সাদাকালো রাখা হয়েছে।
সাউন্ড অব মেটাল
অস্কারে ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। সেরা ছবি, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা সম্পাদনা ও সেরা শব্দ বিভাগে। পরিচালক হিসেবে দারিশ মারদার–এর প্রথম ছবি এটি। একজন হেভি মেটাল ড্রামার তাঁর শ্রবণশক্তি ক্রমে হারিয়ে ফেলছেন। আর তার জন্য শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা। একদিকে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, আর অন্যদিকে অবশিষ্ট শ্রবণশক্তিকে ধরে রাখার লড়াই নিয়ে এর গল্প। এ জীবনের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প। ছবিতে ড্রামারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেতা রিজ আহমেদ।
জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ববি সিল এবং হুয়ে পার্সি নিউটন প্রতিষ্ঠা করেন গ্রুপটি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রেড হ্যাম্পটন। তাঁকে হত্যার জন্য এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট রয় মিটশেল গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করে উইলিয়াম বি ও’নিলকে। গাড়ি চুরি করতে গিয়ে মিটশেলের হাতে ধরা পড়ে ১৭ বছর বয়সী ও’নিল। এফবিআইয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করার শর্তে সে মুক্তি পায়। ফ্রেড হ্যাম্পটনের সঙ্গে দ্রুতই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে ও’নিল। এফবিআইকে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দেয় সে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পালিয়ে যায় ও’নিল। গভীর রাতে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটে হামলা চালায় শিকাগো পুলিশ ও এফবিআই। ১৯৬৯ সালের সেই অভিযানে মারা যান হ্যাম্পটন। আসলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ফ্রেড হ্যাম্পটন এবং ও’নিলকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিতে ফ্রেড হ্যাম্পটনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল কালুইয়া। ও’নিলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লেকিথ স্ট্যানফিল্ড ও রয় মিটশেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসে প্লেমন্স। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাকা কিং।
প্রমিজিং ইয়াং উইম্যান
৩০ বছর বয়সী ক্যাসি মেডিকেল স্কুল ড্রপআউট। তাঁর বন্ধু নিনা তাঁরই এক সহপাঠী আল মনরোর দ্বারা ধর্ষিত হয়। তবে প্রমাণের অভাবে সেই ঘটনা অমীমাংসিত থেকে যায়। এমনকি সহপাঠী ও শিক্ষকদের অনেকেই মনে করে নিনা ধর্ষণের শিকার হয়নি। কিন্তু ক্যাসি বিশ্বাস করে নিনা ধর্ষিত হয়েছিল। আর তা থেকে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকে সে। একসময় মেডিকেলের পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্যাসি। আর এমন সময়ে সে খবর পায় মনরো বিয়ে করতে যাচ্ছে। মনরোর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। কথা বলে বন্ধু, সহপাঠী ও মনরোর সাথে। মনরোর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে ক্যাসি। কিন্তু সে কি পারবে মনরোকে অপরাধী প্রমাণ করতে? এদিকে এগিয়ে আসছে মনরোর বিয়ের দিন। পরিচালক এমারেল্ড ফেনিলের প্রথম ছবি এটি। ৯৩তম অস্কারে পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। যার মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন। ছবিটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ক্যারি মুলিগান।
মিনারি
১৯৮০–এর দশকের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া কোরিয়ান এক পরিবারের গল্প, যারা তাদের ফেলে আসা অতীত ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের এক গ্রামে নতুন জীবন গড়ে তুলতে চায়। ছবিটির পরিচালক লি আইজাক চাং। পরিচালকের জীবনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর চিত্রনাট্য লেখা। গত বছর সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ ও ড্রামাটিক অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে ছবিটি।
নোম্যাডল্যান্ড
স্বাধীন বা ইনডিপেনডেন্ট সিনেমার ভালো একটি উদাহরণ এই ছবি। মহামন্দার কারণে নিজের ছোট্ট শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা নারী। তাঁর এই যাত্রার ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। নোম্যাড বলতে মূলত যাযাবরদের বোঝানো হয়ে থাকে, যাদের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল নেই। তাঁরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রান্সিস ম্যাকডরম্যান্ড। তিনি ছবিটির সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চীনা নির্মাতা ক্লোয়ি জাও। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা, সম্পাদনা এবং সহপ্রযোজনার কাজটিও করেছেন তিনি। জেসিকা ব্রুডারের লেখা ‘নোম্যাডল্যান্ড: সারভাইভিং আমেরিকা ইন দ্যা টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। ২০১৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়।
দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন
সত্য ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক অ্যারন সরকিন নির্মাণ করেছেন ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’। ষাটের দশকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করা ‘শিকাগো সেভেন’ নামের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে চলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার নিয়ে এই ছবির কাহিনি। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না। বিশেষ করে বিচারক জুলিয়াস হফম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সরকারের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতের কামরায় যুক্তি–পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে মার্কিন রাজনীতি, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের নীতির মতো বিষয় উঠে এসেছে। ছবিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াহিয়া আবদুল-মতিন দ্বিতীয়, সাচা ব্যারন কোহেন, ড্যানিয়েল ফ্ল্যাহার্টি, জোসেফ গর্ডন লেভিট, মাইকেল কিটন, ফ্র্যাংক ল্যাঙ্গেলা, জন ক্যারল লিঞ্চ, এডি রেডমেইন, নোয়া রবিন্স, মার্ক রাইল্যান্স, অ্যালেক্স শার্প, জেরেমি স্ট্রং।

দ্য ফাদার
৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শুরু হয় এক যুদ্ধ। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অনবদ্য এক গল্প অসাধারণভাবে চিত্রিত করেছেন পরিচালক ফ্লোরিয়ান জেলার। ২০১২ সালের ফ্রেঞ্চ মঞ্চনাটক ‘লে পিয়েরে’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে অ্যান্থনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স এবং তাঁর মেয়ে অ্যানির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলিভিয়া কোলম্যান। অস্কারে ছবিটি ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা অভিনেতা (অ্যান্থনি হপকিন্স) এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অলিভিয়া কোলম্যান)।
ম্যাংক
পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের বাবা জ্যাক ফিঞ্চার ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ১৯৯০–এর দশকে। এটি মূলত মার্কিন চিত্রনাট্যকার হারমান জে ম্যাংকুইজের জীবনীভিত্তিক ছবি। ম্যাংকুইজ ও অরসন ওয়েলস মিলে লিখেছিলেন ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য। এটি ছিল অরসন ওয়েলসের প্রথম ছবি। এই ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের জীবনের নানা ঘটনাই দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। ‘সিটিজেন কেইন’-এর চিত্রনাট্য লেখার সময় ম্যাংকুইজের পা ভাঙা ছিল। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভাঙে। তাই তিনি বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন। সে সময় তিনি বলতেন, আর তাঁর সহকারী রিটা আলেক্সান্ডার লিখতেন। ছবিতে ম্যাংকুইজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্যারি ওল্ডম্যান। সেই সময়কার আবহ ধরে রাখতে ছবিটি সাদাকালো রাখা হয়েছে।
সাউন্ড অব মেটাল
অস্কারে ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। সেরা ছবি, সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা সম্পাদনা ও সেরা শব্দ বিভাগে। পরিচালক হিসেবে দারিশ মারদার–এর প্রথম ছবি এটি। একজন হেভি মেটাল ড্রামার তাঁর শ্রবণশক্তি ক্রমে হারিয়ে ফেলছেন। আর তার জন্য শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা মানে সবকিছু হারিয়ে ফেলা। একদিকে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, আর অন্যদিকে অবশিষ্ট শ্রবণশক্তিকে ধরে রাখার লড়াই নিয়ে এর গল্প। এ জীবনের গল্প, বেঁচে থাকার গল্প। ছবিতে ড্রামারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেতা রিজ আহমেদ।
জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসিয়াহ
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি। কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ববি সিল এবং হুয়ে পার্সি নিউটন প্রতিষ্ঠা করেন গ্রুপটি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রেড হ্যাম্পটন। তাঁকে হত্যার জন্য এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট রয় মিটশেল গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করে উইলিয়াম বি ও’নিলকে। গাড়ি চুরি করতে গিয়ে মিটশেলের হাতে ধরা পড়ে ১৭ বছর বয়সী ও’নিল। এফবিআইয়ের সোর্স হিসেবে কাজ করার শর্তে সে মুক্তি পায়। ফ্রেড হ্যাম্পটনের সঙ্গে দ্রুতই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে ও’নিল। এফবিআইকে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটের ঠিকানা দেয় সে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পালিয়ে যায় ও’নিল। গভীর রাতে হ্যাম্পটনের ফ্ল্যাটে হামলা চালায় শিকাগো পুলিশ ও এফবিআই। ১৯৬৯ সালের সেই অভিযানে মারা যান হ্যাম্পটন। আসলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ফ্রেড হ্যাম্পটন এবং ও’নিলকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ছবিতে ফ্রেড হ্যাম্পটনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ড্যানিয়েল কালুইয়া। ও’নিলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লেকিথ স্ট্যানফিল্ড ও রয় মিটশেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসে প্লেমন্স। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শাকা কিং।
প্রমিজিং ইয়াং উইম্যান
৩০ বছর বয়সী ক্যাসি মেডিকেল স্কুল ড্রপআউট। তাঁর বন্ধু নিনা তাঁরই এক সহপাঠী আল মনরোর দ্বারা ধর্ষিত হয়। তবে প্রমাণের অভাবে সেই ঘটনা অমীমাংসিত থেকে যায়। এমনকি সহপাঠী ও শিক্ষকদের অনেকেই মনে করে নিনা ধর্ষণের শিকার হয়নি। কিন্তু ক্যাসি বিশ্বাস করে নিনা ধর্ষিত হয়েছিল। আর তা থেকে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকে সে। একসময় মেডিকেলের পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্যাসি। আর এমন সময়ে সে খবর পায় মনরো বিয়ে করতে যাচ্ছে। মনরোর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সে। কথা বলে বন্ধু, সহপাঠী ও মনরোর সাথে। মনরোর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে ক্যাসি। কিন্তু সে কি পারবে মনরোকে অপরাধী প্রমাণ করতে? এদিকে এগিয়ে আসছে মনরোর বিয়ের দিন। পরিচালক এমারেল্ড ফেনিলের প্রথম ছবি এটি। ৯৩তম অস্কারে পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি। যার মধ্যে রয়েছে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন। ছবিটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ক্যারি মুলিগান।
মিনারি
১৯৮০–এর দশকের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া কোরিয়ান এক পরিবারের গল্প, যারা তাদের ফেলে আসা অতীত ভুলে যুক্তরাষ্ট্রের এক গ্রামে নতুন জীবন গড়ে তুলতে চায়। ছবিটির পরিচালক লি আইজাক চাং। পরিচালকের জীবনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর চিত্রনাট্য লেখা। গত বছর সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ ও ড্রামাটিক অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে ছবিটি।
নোম্যাডল্যান্ড
স্বাধীন বা ইনডিপেনডেন্ট সিনেমার ভালো একটি উদাহরণ এই ছবি। মহামন্দার কারণে নিজের ছোট্ট শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা নারী। তাঁর এই যাত্রার ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। নোম্যাড বলতে মূলত যাযাবরদের বোঝানো হয়ে থাকে, যাদের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল নেই। তাঁরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফ্রান্সিস ম্যাকডরম্যান্ড। তিনি ছবিটির সহপ্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চীনা নির্মাতা ক্লোয়ি জাও। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা, সম্পাদনা এবং সহপ্রযোজনার কাজটিও করেছেন তিনি। জেসিকা ব্রুডারের লেখা ‘নোম্যাডল্যান্ড: সারভাইভিং আমেরিকা ইন দ্যা টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। ২০১৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয়।
দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন
সত্য ঘটনা অবলম্বনে পরিচালক অ্যারন সরকিন নির্মাণ করেছেন ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’। ষাটের দশকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করা ‘শিকাগো সেভেন’ নামের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে চলা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার নিয়ে এই ছবির কাহিনি। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না। বিশেষ করে বিচারক জুলিয়াস হফম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সরকারের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতের কামরায় যুক্তি–পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে মার্কিন রাজনীতি, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের নীতির মতো বিষয় উঠে এসেছে। ছবিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইয়াহিয়া আবদুল-মতিন দ্বিতীয়, সাচা ব্যারন কোহেন, ড্যানিয়েল ফ্ল্যাহার্টি, জোসেফ গর্ডন লেভিট, মাইকেল কিটন, ফ্র্যাংক ল্যাঙ্গেলা, জন ক্যারল লিঞ্চ, এডি রেডমেইন, নোয়া রবিন্স, মার্ক রাইল্যান্স, অ্যালেক্স শার্প, জেরেমি স্ট্রং।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৩ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

দ্য ফাদার ৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শু
২২ এপ্রিল ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

দ্য ফাদার ৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শু
২২ এপ্রিল ২০২১
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৩ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

দ্য ফাদার ৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শু
২২ এপ্রিল ২০২১
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৩ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দ্য ফাদার ৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি ডিমনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তাঁর সব স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন। তাঁর মেয়ে তাঁর দেখভাল করা শুরু করে। কিন্তু একটা সময় তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। স্মৃতিহীন জীবনে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়েন অ্যান্থনি। আর তাঁর মেয়ের জন্য শু
২২ এপ্রিল ২০২১
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৩ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে