বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর আইনক্স। ১৪ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ভারতজুড়ে পিভিআর আইনক্সের থিয়েটারে দেখা যাবে আমির খান অভিনীত পাঁচটি সিনেমা। এর আগে রাজ কাপুর, অমিতাভ বচ্চনদের সিনেমা নিয়েও হয়েছে উৎসব। আমাদের দেশে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রয়াত সালমান শাহকে নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হলেও, এর পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পী বা পরিচালককে নিয়ে এমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব আয়োজন করেছিল ঢুলি কমিউনিকেশন। ২০১৪ সালে বলাকা ও ২০১৯ সালে মধুমিতা সিনেমা হলে হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী উৎসব। দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল উৎসব দুটি নিয়ে। সালমান শাহ জন্মোৎসবের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উৎসবের আহ্বায়ক নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মানুষের কাছে সালমান শাহ একটি ভালোবাসার নাম। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা চারজন মিলে উৎসবের আয়োজন করি। ২০১৪ সালে বলাকায় ও ২০১৯ সালে মধুমিতায় হয় উৎসব। দুটি ভেন্যুতেই দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তবে ভালো অভিজ্ঞতার সঙ্গে তিক্ততাও আছে। সিনেমার প্রিন্ট জোগাড় করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলোর প্রিন্ট কোথায় আছে তা কেউ জানে না। এখন সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড। কিন্তু সিনেমার প্রিন্ট ছিল অ্যানালগ। এটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
এরপরে আর কেন এমন উৎসবের আয়োজন করা সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘একটি উৎসব করতে গেলে অনেক খরচ হয়। প্রয়োজন পড়ে পৃষ্ঠপোষকতার। আমাদের এখানে পৃষ্ঠপোষকতার খুব অভাব। দুটি উৎসবেই সেটা টের পেয়েছি। ইচ্ছা ছিল জাফর ইকবালের সিনেমা নিয়ে উৎসব করার, কিন্তু সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায়নি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শিল্পীদের পরিবার। সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব করায় আপত্তি তোলে তাঁর পরিবার। সালমান শাহর মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। এসব কারণেই ২০১৯ সালের পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে উৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
শিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। এমন আয়োজন না হওয়ার পেছনে পেশাদারত্বের অভাবকে দায়ী করলেন তিনি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পীর সিনেমা নিয়ে উৎসব হওয়া তো শিল্পীর জন্যই বড় পাওয়া, সম্মানের বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই আমাদের দেশের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে উৎসব হোক। কিন্তু শিল্পী তো নিজ থেকে বলতে পারেন না আমার সিনেমা নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেন। শিল্পী সমিতি থেকে আয়োজন করলেও বিষয়টা একই দাঁড়ায়। তাই শিল্পীদের সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো সংগঠন থেকে এটা হতে পারে। বেসরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবেও এমন আয়োজন হতে পারে। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে পেশাদারত্বটাই পুরোপুরি তৈরি হয়নি, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব একটু বাহুল্য বৈকি। আমি মনে করি, শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব করলে শিল্পকে সম্মান করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা আছেন, যাঁদের সিনেমা নিয়ে উৎসব আয়োজন করা যায়। কিন্তু কেন হচ্ছে না এটা আমার জানা নেই। পরিচালক সমিতিতে এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছি। প্রথমে নায়করাজ রাজ্জাক ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা আছে। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজনে তাঁদের সিনেমা দেখানো হবে, দুই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, সহকর্মীদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। সেদিন সবাই তাঁদের নিয়ে কথা বলবেন। সেই কথাগুলো আমরা ধারণ করে রাখতে চাই। এভাবে অন্য নির্মাতাদের নিয়েও নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর আইনক্স। ১৪ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ভারতজুড়ে পিভিআর আইনক্সের থিয়েটারে দেখা যাবে আমির খান অভিনীত পাঁচটি সিনেমা। এর আগে রাজ কাপুর, অমিতাভ বচ্চনদের সিনেমা নিয়েও হয়েছে উৎসব। আমাদের দেশে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রয়াত সালমান শাহকে নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হলেও, এর পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পী বা পরিচালককে নিয়ে এমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব আয়োজন করেছিল ঢুলি কমিউনিকেশন। ২০১৪ সালে বলাকা ও ২০১৯ সালে মধুমিতা সিনেমা হলে হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী উৎসব। দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল উৎসব দুটি নিয়ে। সালমান শাহ জন্মোৎসবের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উৎসবের আহ্বায়ক নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মানুষের কাছে সালমান শাহ একটি ভালোবাসার নাম। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা চারজন মিলে উৎসবের আয়োজন করি। ২০১৪ সালে বলাকায় ও ২০১৯ সালে মধুমিতায় হয় উৎসব। দুটি ভেন্যুতেই দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তবে ভালো অভিজ্ঞতার সঙ্গে তিক্ততাও আছে। সিনেমার প্রিন্ট জোগাড় করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলোর প্রিন্ট কোথায় আছে তা কেউ জানে না। এখন সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড। কিন্তু সিনেমার প্রিন্ট ছিল অ্যানালগ। এটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
এরপরে আর কেন এমন উৎসবের আয়োজন করা সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘একটি উৎসব করতে গেলে অনেক খরচ হয়। প্রয়োজন পড়ে পৃষ্ঠপোষকতার। আমাদের এখানে পৃষ্ঠপোষকতার খুব অভাব। দুটি উৎসবেই সেটা টের পেয়েছি। ইচ্ছা ছিল জাফর ইকবালের সিনেমা নিয়ে উৎসব করার, কিন্তু সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায়নি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শিল্পীদের পরিবার। সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব করায় আপত্তি তোলে তাঁর পরিবার। সালমান শাহর মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। এসব কারণেই ২০১৯ সালের পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে উৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
শিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। এমন আয়োজন না হওয়ার পেছনে পেশাদারত্বের অভাবকে দায়ী করলেন তিনি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পীর সিনেমা নিয়ে উৎসব হওয়া তো শিল্পীর জন্যই বড় পাওয়া, সম্মানের বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই আমাদের দেশের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে উৎসব হোক। কিন্তু শিল্পী তো নিজ থেকে বলতে পারেন না আমার সিনেমা নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেন। শিল্পী সমিতি থেকে আয়োজন করলেও বিষয়টা একই দাঁড়ায়। তাই শিল্পীদের সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো সংগঠন থেকে এটা হতে পারে। বেসরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবেও এমন আয়োজন হতে পারে। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে পেশাদারত্বটাই পুরোপুরি তৈরি হয়নি, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব একটু বাহুল্য বৈকি। আমি মনে করি, শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব করলে শিল্পকে সম্মান করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা আছেন, যাঁদের সিনেমা নিয়ে উৎসব আয়োজন করা যায়। কিন্তু কেন হচ্ছে না এটা আমার জানা নেই। পরিচালক সমিতিতে এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছি। প্রথমে নায়করাজ রাজ্জাক ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা আছে। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজনে তাঁদের সিনেমা দেখানো হবে, দুই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, সহকর্মীদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। সেদিন সবাই তাঁদের নিয়ে কথা বলবেন। সেই কথাগুলো আমরা ধারণ করে রাখতে চাই। এভাবে অন্য নির্মাতাদের নিয়েও নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।’
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর আইনক্স। ১৪ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ভারতজুড়ে পিভিআর আইনক্সের থিয়েটারে দেখা যাবে আমির খান অভিনীত পাঁচটি সিনেমা। এর আগে রাজ কাপুর, অমিতাভ বচ্চনদের সিনেমা নিয়েও হয়েছে উৎসব। আমাদের দেশে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রয়াত সালমান শাহকে নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হলেও, এর পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পী বা পরিচালককে নিয়ে এমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব আয়োজন করেছিল ঢুলি কমিউনিকেশন। ২০১৪ সালে বলাকা ও ২০১৯ সালে মধুমিতা সিনেমা হলে হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী উৎসব। দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল উৎসব দুটি নিয়ে। সালমান শাহ জন্মোৎসবের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উৎসবের আহ্বায়ক নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মানুষের কাছে সালমান শাহ একটি ভালোবাসার নাম। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা চারজন মিলে উৎসবের আয়োজন করি। ২০১৪ সালে বলাকায় ও ২০১৯ সালে মধুমিতায় হয় উৎসব। দুটি ভেন্যুতেই দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তবে ভালো অভিজ্ঞতার সঙ্গে তিক্ততাও আছে। সিনেমার প্রিন্ট জোগাড় করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলোর প্রিন্ট কোথায় আছে তা কেউ জানে না। এখন সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড। কিন্তু সিনেমার প্রিন্ট ছিল অ্যানালগ। এটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
এরপরে আর কেন এমন উৎসবের আয়োজন করা সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘একটি উৎসব করতে গেলে অনেক খরচ হয়। প্রয়োজন পড়ে পৃষ্ঠপোষকতার। আমাদের এখানে পৃষ্ঠপোষকতার খুব অভাব। দুটি উৎসবেই সেটা টের পেয়েছি। ইচ্ছা ছিল জাফর ইকবালের সিনেমা নিয়ে উৎসব করার, কিন্তু সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায়নি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শিল্পীদের পরিবার। সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব করায় আপত্তি তোলে তাঁর পরিবার। সালমান শাহর মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। এসব কারণেই ২০১৯ সালের পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে উৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
শিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। এমন আয়োজন না হওয়ার পেছনে পেশাদারত্বের অভাবকে দায়ী করলেন তিনি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পীর সিনেমা নিয়ে উৎসব হওয়া তো শিল্পীর জন্যই বড় পাওয়া, সম্মানের বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই আমাদের দেশের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে উৎসব হোক। কিন্তু শিল্পী তো নিজ থেকে বলতে পারেন না আমার সিনেমা নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেন। শিল্পী সমিতি থেকে আয়োজন করলেও বিষয়টা একই দাঁড়ায়। তাই শিল্পীদের সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো সংগঠন থেকে এটা হতে পারে। বেসরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবেও এমন আয়োজন হতে পারে। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে পেশাদারত্বটাই পুরোপুরি তৈরি হয়নি, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব একটু বাহুল্য বৈকি। আমি মনে করি, শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব করলে শিল্পকে সম্মান করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা আছেন, যাঁদের সিনেমা নিয়ে উৎসব আয়োজন করা যায়। কিন্তু কেন হচ্ছে না এটা আমার জানা নেই। পরিচালক সমিতিতে এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছি। প্রথমে নায়করাজ রাজ্জাক ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা আছে। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজনে তাঁদের সিনেমা দেখানো হবে, দুই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, সহকর্মীদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। সেদিন সবাই তাঁদের নিয়ে কথা বলবেন। সেই কথাগুলো আমরা ধারণ করে রাখতে চাই। এভাবে অন্য নির্মাতাদের নিয়েও নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর আইনক্স। ১৪ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ভারতজুড়ে পিভিআর আইনক্সের থিয়েটারে দেখা যাবে আমির খান অভিনীত পাঁচটি সিনেমা। এর আগে রাজ কাপুর, অমিতাভ বচ্চনদের সিনেমা নিয়েও হয়েছে উৎসব। আমাদের দেশে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রয়াত সালমান শাহকে নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হলেও, এর পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পী বা পরিচালককে নিয়ে এমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব আয়োজন করেছিল ঢুলি কমিউনিকেশন। ২০১৪ সালে বলাকা ও ২০১৯ সালে মধুমিতা সিনেমা হলে হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী উৎসব। দর্শকদেরও আগ্রহ ছিল উৎসব দুটি নিয়ে। সালমান শাহ জন্মোৎসবের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উৎসবের আহ্বায়ক নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মানুষের কাছে সালমান শাহ একটি ভালোবাসার নাম। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা চারজন মিলে উৎসবের আয়োজন করি। ২০১৪ সালে বলাকায় ও ২০১৯ সালে মধুমিতায় হয় উৎসব। দুটি ভেন্যুতেই দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তবে ভালো অভিজ্ঞতার সঙ্গে তিক্ততাও আছে। সিনেমার প্রিন্ট জোগাড় করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলোর প্রিন্ট কোথায় আছে তা কেউ জানে না। এখন সিনেমা হলগুলো ডিজিটালাইজড। কিন্তু সিনেমার প্রিন্ট ছিল অ্যানালগ। এটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।’
এরপরে আর কেন এমন উৎসবের আয়োজন করা সম্ভব হলো না, জানতে চাইলে নিপু বড়ুয়া বলেন, ‘একটি উৎসব করতে গেলে অনেক খরচ হয়। প্রয়োজন পড়ে পৃষ্ঠপোষকতার। আমাদের এখানে পৃষ্ঠপোষকতার খুব অভাব। দুটি উৎসবেই সেটা টের পেয়েছি। ইচ্ছা ছিল জাফর ইকবালের সিনেমা নিয়ে উৎসব করার, কিন্তু সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায়নি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শিল্পীদের পরিবার। সালমান শাহকে নিয়ে উৎসব করায় আপত্তি তোলে তাঁর পরিবার। সালমান শাহর মা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে। এসব কারণেই ২০১৯ সালের পরে আর কোনো অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে উৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি।’
শিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। এমন আয়োজন না হওয়ার পেছনে পেশাদারত্বের অভাবকে দায়ী করলেন তিনি। মিশা সওদাগর বলেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পীর সিনেমা নিয়ে উৎসব হওয়া তো শিল্পীর জন্যই বড় পাওয়া, সম্মানের বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই আমাদের দেশের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে উৎসব হোক। কিন্তু শিল্পী তো নিজ থেকে বলতে পারেন না আমার সিনেমা নিয়ে উৎসবের আয়োজন করেন। শিল্পী সমিতি থেকে আয়োজন করলেও বিষয়টা একই দাঁড়ায়। তাই শিল্পীদের সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো সংগঠন থেকে এটা হতে পারে। বেসরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবেও এমন আয়োজন হতে পারে। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে পেশাদারত্বটাই পুরোপুরি তৈরি হয়নি, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব একটু বাহুল্য বৈকি। আমি মনে করি, শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব করলে শিল্পকে সম্মান করা হবে।’

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা আছেন, যাঁদের সিনেমা নিয়ে উৎসব আয়োজন করা যায়। কিন্তু কেন হচ্ছে না এটা আমার জানা নেই। পরিচালক সমিতিতে এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছি। প্রথমে নায়করাজ রাজ্জাক ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে নিয়ে উৎসব করার পরিকল্পনা আছে। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজনে তাঁদের সিনেমা দেখানো হবে, দুই পরিবারের সদস্যরা থাকবেন, সহকর্মীদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। সেদিন সবাই তাঁদের নিয়ে কথা বলবেন। সেই কথাগুলো আমরা ধারণ করে রাখতে চাই। এভাবে অন্য নির্মাতাদের নিয়েও নিয়মিত আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।’

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
২ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স...
১০ মার্চ ২০২৫
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স...
১০ মার্চ ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
২ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স...
১০ মার্চ ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
২ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকদের সিনেমা নিয়ে আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা আমির খানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে এমন একটি উৎসবের ঘোষণা এসেছে। ‘আমির খান: সিনেমা কা জাদুকর’ শিরোনামের উৎসবটি আয়োজন করছে ভারতের মাল্টিপ্লেক্স...
১০ মার্চ ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
২ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে