বিনোদন ডেস্ক
ইরানের প্রখ্যাত নির্মাতা জাফর পানাহি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় সব উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র উৎসব তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে। তবে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ সিনেমার জন্য পানাহির পাম দ্য’র প্রাপ্তির তাৎপর্য আলাদা। ধরে নেওয়া হয়, প্যারালাল সিনেমার জগতে সবচেয়ে বড় সম্মান এই পাম দ্য’র। ১৯৯৭ সালে ‘টেস্ট অব চেরি’র জন্য আব্বাস কিয়ারোস্তামির পর এই সম্মান পেলেন ইরানের কোনো নির্মাতা।
এই সাফল্যের মুকুট মাথায় নিয়ে ইরানে ফিরে গেছেন জাফর পানাহি। গত সোমবার ফ্রান্স থেকে বিজয়ীর বেশে তেহরানের ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছান তিনি। এয়ারপোর্টে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন শত শত ভক্ত-অনুরাগী। জাফর পানাহিকে দেখেই তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন, স্লোগান দেন, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন কানজয়ী নির্মাতাকে। সেই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইরানি নির্মাতা মেহেদী নাদেরি লিখেছেন, ‘ইরানের স্বাধীন সিনেমার শিরায় তাজা রক্ত।’
কানজয় করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলেও ইরানের গণমাধ্যমে জাফর পানাহির পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর তেমন একটা প্রচারিত হয়নি। কারণ, ইরান সরকারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বৈরিতা। শেষ তিন দশকে সিনেমা বানানোর অধিকারের জন্য, শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য অনেক লড়াই তিনি করেছেন ইরান সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে তিনবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর সিনেমা নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, ছিল সাক্ষাৎকার দেওয়া কিংবা বিদেশে যাওয়ার ওপরও নানা বাধা। কিন্তু ক্লান্তিতে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ জাফর পানাহি নন। অনেকবার রাষ্ট্র তাঁকে সুযোগ দিয়েছে ইরান থেকে পালিয়ে গিয়ে ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে। কিন্তু পানাহি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তিনি ইরানের মাটি ছাড়বেন না। জন্মভূমিতে পা রেখেই তিনি লড়াই চালাবেন, সিনেমা বানাবেন। তাঁর সেই লড়াই আরেকবার সারা পৃথিবীর স্বীকৃতি পেল কানের পাম দ্য’র প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে।
জাফর পানাহির এই পুরস্কার জয় শুধু চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নয়, আলোড়ন ফেলেছে কূটনৈতিক অঙ্গনেও। বিষয়টি ফ্রান্স ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধের জন্ম দিয়েছে। পানাহির এই বিজয়কে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট আখ্যা দিয়েছেন ‘ইরানি শাসকদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক অনন্য নির্দশন’ হিসেবে। এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ইরান। দেশটিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান সরকার। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেছেন, ‘আমি শিল্পবিশেষজ্ঞ নই, তবে আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিল্পকে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ সিনেমায় জাফর পানাহির সর্বশেষ কারাবরণের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। পাঁচ রাজনৈতিক বন্দী একসময় একটি লোককে খুঁজে পায়, যাকে দেখে তাদের মনে হয়, এই সেই লোক, যে জেলখানায় তাদের ওপর নির্যাতন করেছিল। তারা লোকটিকে অপহরণ করে এবং ঠিক করে, একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করবে। তবে শেষ পর্যন্ত নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
ইরানের প্রখ্যাত নির্মাতা জাফর পানাহি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় সব উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র উৎসব তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে। তবে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ সিনেমার জন্য পানাহির পাম দ্য’র প্রাপ্তির তাৎপর্য আলাদা। ধরে নেওয়া হয়, প্যারালাল সিনেমার জগতে সবচেয়ে বড় সম্মান এই পাম দ্য’র। ১৯৯৭ সালে ‘টেস্ট অব চেরি’র জন্য আব্বাস কিয়ারোস্তামির পর এই সম্মান পেলেন ইরানের কোনো নির্মাতা।
এই সাফল্যের মুকুট মাথায় নিয়ে ইরানে ফিরে গেছেন জাফর পানাহি। গত সোমবার ফ্রান্স থেকে বিজয়ীর বেশে তেহরানের ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছান তিনি। এয়ারপোর্টে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন শত শত ভক্ত-অনুরাগী। জাফর পানাহিকে দেখেই তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন, স্লোগান দেন, ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন কানজয়ী নির্মাতাকে। সেই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইরানি নির্মাতা মেহেদী নাদেরি লিখেছেন, ‘ইরানের স্বাধীন সিনেমার শিরায় তাজা রক্ত।’
কানজয় করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলেও ইরানের গণমাধ্যমে জাফর পানাহির পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর তেমন একটা প্রচারিত হয়নি। কারণ, ইরান সরকারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বৈরিতা। শেষ তিন দশকে সিনেমা বানানোর অধিকারের জন্য, শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য অনেক লড়াই তিনি করেছেন ইরান সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে তিনবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর সিনেমা নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, ছিল সাক্ষাৎকার দেওয়া কিংবা বিদেশে যাওয়ার ওপরও নানা বাধা। কিন্তু ক্লান্তিতে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ জাফর পানাহি নন। অনেকবার রাষ্ট্র তাঁকে সুযোগ দিয়েছে ইরান থেকে পালিয়ে গিয়ে ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে। কিন্তু পানাহি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তিনি ইরানের মাটি ছাড়বেন না। জন্মভূমিতে পা রেখেই তিনি লড়াই চালাবেন, সিনেমা বানাবেন। তাঁর সেই লড়াই আরেকবার সারা পৃথিবীর স্বীকৃতি পেল কানের পাম দ্য’র প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে।
জাফর পানাহির এই পুরস্কার জয় শুধু চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নয়, আলোড়ন ফেলেছে কূটনৈতিক অঙ্গনেও। বিষয়টি ফ্রান্স ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধের জন্ম দিয়েছে। পানাহির এই বিজয়কে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট আখ্যা দিয়েছেন ‘ইরানি শাসকদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক অনন্য নির্দশন’ হিসেবে। এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ইরান। দেশটিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান সরকার। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেছেন, ‘আমি শিল্পবিশেষজ্ঞ নই, তবে আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিল্পকে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ সিনেমায় জাফর পানাহির সর্বশেষ কারাবরণের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। পাঁচ রাজনৈতিক বন্দী একসময় একটি লোককে খুঁজে পায়, যাকে দেখে তাদের মনে হয়, এই সেই লোক, যে জেলখানায় তাদের ওপর নির্যাতন করেছিল। তারা লোকটিকে অপহরণ করে এবং ঠিক করে, একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করবে। তবে শেষ পর্যন্ত নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
এ বছরের শুরু থেকে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, ইলিয়াস কাঞ্চনের মাথায় টিউমার রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেলন্ডনে আয়োজিত বাংলা বইমেলার বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানে গান গাইতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। আজ লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। ১৯ অক্টোবর আয়োজিত অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে সাবিনা ইয়াসমীনের পাশাপাশি আরও গাইবেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক।
২০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (এমা) অ্যাওয়ার্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা। এমা অ্যাওয়ার্ডের ৩৫তম আসরে প্রদর্শিত হবে গোলাম রাব্বানী ও জহিরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নিশি’।
২০ ঘণ্টা আগেএকসময়ের সাজানো-গোছানো শহর বিরলপুর এখন মাদকের আখড়া। দিনদুপুরে খুন হয়। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। শহরের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি চৌধুরীর ব্যবসার আড়ালে রয়েছে অবৈধ ব্যবসা। হঠাৎ তার তিনজন লোক খুন হয়ে যায়। গোয়েন্দা মারুফ জামানের ওপর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।
২০ ঘণ্টা আগে