
জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
নির্মাতা জানান, ঢাকাইয়া দেবদাস মূলত প্রেমের গল্পের সিনেমা। দুজন মানুষের গল্পের মধ্যেই তুলে ধরা হবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি প্রেমের গল্প। এই গল্পটাকে তুলে ধরা হবে আমাদের পুরান ঢাকার শত শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যের মিশেলে। পুরান ঢাকা এমন একটি স্থান, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতির মেলবন্ধন রয়েছে। সবাই মিলে সাকরাইন, ঈদ, মহররম, নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করে। আরও অনেক সংস্কৃতি আছে, যেটা এখনকার প্রজন্মের অনেকেই জানে না। এসব সংস্কৃতিও উঠে আসবে দুটি মানুষের গল্পের মধ্য দিয়ে।’
ঢাকাইয়া দেবদাস নাম প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, দেবদাস নামটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা প্রেমে ব্যর্থ হয়, তারা নিজেদের মনে মনে দেবদাস ভাবে। এই সিনেমার গল্পেও নায়ক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে। তাই সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ঢাকাইয়া দেবদাস।
নির্মাতা জানান, আগামী জানুয়ারিতে সাকরাইন উৎসবের সময় শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার শুটিং। পর্দায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য উৎসবের সময়ে রিয়েল লোকেশনে শুটিং করতে চান তিনি। আদর-বুবলী ছাড়া এতে আরও অভিনয় করবেন তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিবেশনায় থাকছে এক্সেল ফিল্মস ও রেভল্যুশন মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকাইয়া দেবদাস আদর-বুবলী জুটির চতুর্থ সিনেমা। সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে জুটি হিসেবে বড় পর্দায় পথচলা শুরু আদর আজাদ ও শবনম বুবলীর। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২২ সালে। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় তাঁদের দ্বিতীয় সিনেমা ‘লোকাল’। এটি পরিচালনা করেন সাইফ চন্দন। গত বছর তাঁরা অভিনয় করেন জাহিদ জুয়েলের ‘পিনিক’ সিনেমায়। এ বছর ঈদে সিনেমাটি মুক্তির কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটি।

পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
নির্মাতা জানান, ঢাকাইয়া দেবদাস মূলত প্রেমের গল্পের সিনেমা। দুজন মানুষের গল্পের মধ্যেই তুলে ধরা হবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি প্রেমের গল্প। এই গল্পটাকে তুলে ধরা হবে আমাদের পুরান ঢাকার শত শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যের মিশেলে। পুরান ঢাকা এমন একটি স্থান, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতির মেলবন্ধন রয়েছে। সবাই মিলে সাকরাইন, ঈদ, মহররম, নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করে। আরও অনেক সংস্কৃতি আছে, যেটা এখনকার প্রজন্মের অনেকেই জানে না। এসব সংস্কৃতিও উঠে আসবে দুটি মানুষের গল্পের মধ্য দিয়ে।’
ঢাকাইয়া দেবদাস নাম প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, দেবদাস নামটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা প্রেমে ব্যর্থ হয়, তারা নিজেদের মনে মনে দেবদাস ভাবে। এই সিনেমার গল্পেও নায়ক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে। তাই সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ঢাকাইয়া দেবদাস।
নির্মাতা জানান, আগামী জানুয়ারিতে সাকরাইন উৎসবের সময় শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার শুটিং। পর্দায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য উৎসবের সময়ে রিয়েল লোকেশনে শুটিং করতে চান তিনি। আদর-বুবলী ছাড়া এতে আরও অভিনয় করবেন তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিবেশনায় থাকছে এক্সেল ফিল্মস ও রেভল্যুশন মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকাইয়া দেবদাস আদর-বুবলী জুটির চতুর্থ সিনেমা। সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে জুটি হিসেবে বড় পর্দায় পথচলা শুরু আদর আজাদ ও শবনম বুবলীর। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২২ সালে। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় তাঁদের দ্বিতীয় সিনেমা ‘লোকাল’। এটি পরিচালনা করেন সাইফ চন্দন। গত বছর তাঁরা অভিনয় করেন জাহিদ জুয়েলের ‘পিনিক’ সিনেমায়। এ বছর ঈদে সিনেমাটি মুক্তির কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটি।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ক্যারিয়ারের নানা চড়াই-উতরাইয়ের গল্পের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও কথা বলেছেন ঋতুপর্ণা। দুই অভিনয়শিল্পী আড্ডা দিয়েছেন নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বসে। সেখান থেকেই ধারণ করা হয়েছে নতুন পর্বটি। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় পর্বটি প্রচারিত হবে ঠিকানার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ক্যারিয়ারের নানা চড়াই-উতরাইয়ের গল্পের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও কথা বলেছেন ঋতুপর্ণা। দুই অভিনয়শিল্পী আড্ডা দিয়েছেন নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বসে। সেখান থেকেই ধারণ করা হয়েছে নতুন পর্বটি। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় পর্বটি প্রচারিত হবে ঠিকানার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
ফ্রান্সের জিয়ান লরিনজেট অব জ্যাজ ড্যান্স কোম্পানির আমন্ত্রণে ১৩ নভেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ফ্রান্সের নিস শহরে অবস্থান করবেন পূজা সেনগুপ্ত। সেখানে লাবান মুভমেন্ট এনালাইসিস বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবেন, ফ্রান্সের শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাচ নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করবেন। এ ছাড়া জিয়ান লরিনজেট অব জ্যাজ ড্যান্স কোম্পানির সঙ্গে চলতি মাসে ফ্রান্সের কান শহরে অনুষ্ঠেয় ২৫তম কান আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে অংশ নেবেন পূজা।
পূজা সেনগুপ্ত নির্দেশিত ড্যান্স থিয়েটার ও কোরিওগ্রাফিগুলোর মধ্যে ‘ওয়াটারনেস’, ‘অনামিকা সাগরকন্যা’, ‘নন্দিনী’, ‘হোচিমিন’, ‘অদম্য’, ‘ধরা তরু কাব্য’, ‘অরণ্যা’, ‘রেজল্যুশন’ অন্যতম।
নৃত্য ও নির্দেশনার পাশাপাশি পূজা একজন গবেষক। বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারা নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে গবেষণা করছেন তিনি। ২০১৪ সালে ব্যাংকক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০১৮-১৯ সালে ফিলিপাইন ড্যান্স এক্সচেঞ্জে নাচ নিয়ে কর্মশালা পরিচালনা করেছেন পূজা। ২০১৮ সালে চীনে ক্যাপিটাল নরমাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ড্যান্স একাডেমি, রাশিয়ায় হারজেন স্টেট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত নৃত্যশিক্ষা সম্মেলনে তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। চীন, রাশিয়া ও ভারতের একাধিক জার্নালে তাঁর নৃত্যবিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৮ সালে নুরুল কাদের সম্মাননা লাভ করেন পূজা। ২০১৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি নৃত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে পূজা সেনগুপ্ত ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল ইউনেসকোর সদস্যপদ লাভ করেন। ২০২২ সালে হোচিমিন প্রযোজনার জন্য পূজা সেনগুপ্তকে ফ্রেন্ডশিপ মেডেল প্রদান করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও নানা সম্মাননা পেয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত।

বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
ফ্রান্সের জিয়ান লরিনজেট অব জ্যাজ ড্যান্স কোম্পানির আমন্ত্রণে ১৩ নভেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ফ্রান্সের নিস শহরে অবস্থান করবেন পূজা সেনগুপ্ত। সেখানে লাবান মুভমেন্ট এনালাইসিস বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবেন, ফ্রান্সের শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাচ নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করবেন। এ ছাড়া জিয়ান লরিনজেট অব জ্যাজ ড্যান্স কোম্পানির সঙ্গে চলতি মাসে ফ্রান্সের কান শহরে অনুষ্ঠেয় ২৫তম কান আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে অংশ নেবেন পূজা।
পূজা সেনগুপ্ত নির্দেশিত ড্যান্স থিয়েটার ও কোরিওগ্রাফিগুলোর মধ্যে ‘ওয়াটারনেস’, ‘অনামিকা সাগরকন্যা’, ‘নন্দিনী’, ‘হোচিমিন’, ‘অদম্য’, ‘ধরা তরু কাব্য’, ‘অরণ্যা’, ‘রেজল্যুশন’ অন্যতম।
নৃত্য ও নির্দেশনার পাশাপাশি পূজা একজন গবেষক। বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারা নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে গবেষণা করছেন তিনি। ২০১৪ সালে ব্যাংকক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০১৮-১৯ সালে ফিলিপাইন ড্যান্স এক্সচেঞ্জে নাচ নিয়ে কর্মশালা পরিচালনা করেছেন পূজা। ২০১৮ সালে চীনে ক্যাপিটাল নরমাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ড্যান্স একাডেমি, রাশিয়ায় হারজেন স্টেট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত নৃত্যশিক্ষা সম্মেলনে তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। চীন, রাশিয়া ও ভারতের একাধিক জার্নালে তাঁর নৃত্যবিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৮ সালে নুরুল কাদের সম্মাননা লাভ করেন পূজা। ২০১৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি নৃত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে পূজা সেনগুপ্ত ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল ইউনেসকোর সদস্যপদ লাভ করেন। ২০২২ সালে হোচিমিন প্রযোজনার জন্য পূজা সেনগুপ্তকে ফ্রেন্ডশিপ মেডেল প্রদান করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও নানা সম্মাননা পেয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

⊲ তোমার জন্য মন (বাংলা সিনেমা)
⊲ অনুসন্ধান (বাংলা সিরিজ)
⊲ বারামুল্লা (হিন্দি সিনেমা)
⊲ মহারানি সিজন ৪ (হিন্দি সিরিজ)
⊲ ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ (ইংরেজি সিনেমা)

⊲ তোমার জন্য মন (বাংলা সিনেমা)
⊲ অনুসন্ধান (বাংলা সিরিজ)
⊲ বারামুল্লা (হিন্দি সিনেমা)
⊲ মহারানি সিজন ৪ (হিন্দি সিরিজ)
⊲ ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ (ইংরেজি সিনেমা)

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। বানাবেন জাহিদ হোসেন। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। আজ রাজধানীর একটি ক্লাবে মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত ঠিকানা টিভিতে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক টক শো উপস্থাপনা করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দশম পর্বে জায়েদ খানের অতিথি হিসেবে দেখা যাবে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও নির্দেশক এবং তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত। দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার নাচের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নাচ নিয়ে সেশন পরিচালনা করতে ও উৎসবে অংশ নিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন পূজা।
২ ঘণ্টা আগে