খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। সামিরা টিভি দেখছিলেন। সালমান একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। শেষবারের মতো স্ত্রীকে দেখে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সকাল। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে স্বপ্নের নায়কের আকস্মিক বিদায়ের খবর।
এর আগের রাতটা খুব অস্থির কেটেছে। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট বলছে, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে উত্তরায় শুটিং করেছেন সালমান। সন্ধ্যার দিকে যান এফডিসিতে। ফোন করে স্ত্রী সামিরাকেও যেতে বলেছিলেন সেখানে। সামিরা গিয়ে দেখেন, স্টুডিওতে ডাবিং চলছে। আর ভেতরে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন সালমান ও শাবনূর। এ দৃশ্য দেখে রাগ করে বাইরে চলে আসেন সামিরা। পরদিন বাদল খন্দকারের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল সালমানের। এফডিসিতে তাঁকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন বাদল। রাতে সালমান ও সামিরার সঙ্গে একই গাড়িতে তিনিও যান নায়কের বাসায়।
বাসায় গিয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করেন নায়ক। শাবনূরের সঙ্গে আর কোনো সিনেমা করবেন না জানিয়ে বাদল খন্দকারের সামনেই কন্ট্রাক্ট পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। শাবনূরকে কেন্দ্র করে তখনো সালমান-সামিরার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। দুজনকে বুঝিয়ে, শান্ত থাকতে বলে চলে যান বাদল। রাতে কয়েকবার শাবনূরের কল আসে সালমানের মোবাইলে। প্রতিবারই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শাবনূরকে জানিয়ে দেন তাঁকে আর কল না করতে। এ পরিস্থিতিতে সামিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে ব্যক্তিগত সহকারী আবুলকে পাঠিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। রাগ করে শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যান ও মোবাইল ফোন মেঝেতে আছড়ে ভেঙে ফেলেন সালমান।
সালমান-সামিরার জীবনে শাবনূরের আগমন ছিল অনেকটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো। যে ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়েছিল তাঁদের সুখের সংসার। দিনে দিনে সালমান-শাবনূর জুটি যত জনপ্রিয় হচ্ছিল, ততই ফিকে হচ্ছিল সালমান-সামিরার সম্পর্ক। অথচ ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিকটাও। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই ছেলের এ সম্পর্কে মত ছিল না নীলা চৌধুরীর। তবে সামিরাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন একরোখা-জেদি স্বভাবের সালমান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৯২ সালের নভেম্বরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগপর্যন্ত ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
সালমানের মৃত্যুর পর তাঁর গৃহকর্মী জরিনা বেগম আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সালমান-সামিরা-শাবনূরের ত্রিভুজ সম্পর্কের বিষয়টি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন শাবনূর। নায়কের স্ত্রী এটা ভালোভাবে নিতেন না। ফলে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায়ও দু্ই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন শাবনূর। একদিন সারা রাত ছিলেন, আরেক দিন বের হন রাত ১২টার দিকে। ফিরে এসে সেটা জানতে পারেন সালমানের স্ত্রী।
সামিরা ও শাবনূর—দুজনকেই ভালোবাসতেন সালমান। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেও রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সামিরার আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এই জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি সালমান শাহ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সালমান। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে শাবনূরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ভারত সফরে। সামিরা তখন চট্টগ্রামে।
চলবে...

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। সামিরা টিভি দেখছিলেন। সালমান একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। শেষবারের মতো স্ত্রীকে দেখে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সকাল। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে স্বপ্নের নায়কের আকস্মিক বিদায়ের খবর।
এর আগের রাতটা খুব অস্থির কেটেছে। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট বলছে, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে উত্তরায় শুটিং করেছেন সালমান। সন্ধ্যার দিকে যান এফডিসিতে। ফোন করে স্ত্রী সামিরাকেও যেতে বলেছিলেন সেখানে। সামিরা গিয়ে দেখেন, স্টুডিওতে ডাবিং চলছে। আর ভেতরে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন সালমান ও শাবনূর। এ দৃশ্য দেখে রাগ করে বাইরে চলে আসেন সামিরা। পরদিন বাদল খন্দকারের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল সালমানের। এফডিসিতে তাঁকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন বাদল। রাতে সালমান ও সামিরার সঙ্গে একই গাড়িতে তিনিও যান নায়কের বাসায়।
বাসায় গিয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করেন নায়ক। শাবনূরের সঙ্গে আর কোনো সিনেমা করবেন না জানিয়ে বাদল খন্দকারের সামনেই কন্ট্রাক্ট পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। শাবনূরকে কেন্দ্র করে তখনো সালমান-সামিরার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। দুজনকে বুঝিয়ে, শান্ত থাকতে বলে চলে যান বাদল। রাতে কয়েকবার শাবনূরের কল আসে সালমানের মোবাইলে। প্রতিবারই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শাবনূরকে জানিয়ে দেন তাঁকে আর কল না করতে। এ পরিস্থিতিতে সামিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে ব্যক্তিগত সহকারী আবুলকে পাঠিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। রাগ করে শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যান ও মোবাইল ফোন মেঝেতে আছড়ে ভেঙে ফেলেন সালমান।
সালমান-সামিরার জীবনে শাবনূরের আগমন ছিল অনেকটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো। যে ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়েছিল তাঁদের সুখের সংসার। দিনে দিনে সালমান-শাবনূর জুটি যত জনপ্রিয় হচ্ছিল, ততই ফিকে হচ্ছিল সালমান-সামিরার সম্পর্ক। অথচ ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিকটাও। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই ছেলের এ সম্পর্কে মত ছিল না নীলা চৌধুরীর। তবে সামিরাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন একরোখা-জেদি স্বভাবের সালমান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৯২ সালের নভেম্বরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগপর্যন্ত ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
সালমানের মৃত্যুর পর তাঁর গৃহকর্মী জরিনা বেগম আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সালমান-সামিরা-শাবনূরের ত্রিভুজ সম্পর্কের বিষয়টি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন শাবনূর। নায়কের স্ত্রী এটা ভালোভাবে নিতেন না। ফলে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায়ও দু্ই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন শাবনূর। একদিন সারা রাত ছিলেন, আরেক দিন বের হন রাত ১২টার দিকে। ফিরে এসে সেটা জানতে পারেন সালমানের স্ত্রী।
সামিরা ও শাবনূর—দুজনকেই ভালোবাসতেন সালমান। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেও রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সামিরার আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এই জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি সালমান শাহ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সালমান। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে শাবনূরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ভারত সফরে। সামিরা তখন চট্টগ্রামে।
চলবে...
খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। সামিরা টিভি দেখছিলেন। সালমান একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। শেষবারের মতো স্ত্রীকে দেখে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সকাল। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে স্বপ্নের নায়কের আকস্মিক বিদায়ের খবর।
এর আগের রাতটা খুব অস্থির কেটেছে। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট বলছে, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে উত্তরায় শুটিং করেছেন সালমান। সন্ধ্যার দিকে যান এফডিসিতে। ফোন করে স্ত্রী সামিরাকেও যেতে বলেছিলেন সেখানে। সামিরা গিয়ে দেখেন, স্টুডিওতে ডাবিং চলছে। আর ভেতরে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন সালমান ও শাবনূর। এ দৃশ্য দেখে রাগ করে বাইরে চলে আসেন সামিরা। পরদিন বাদল খন্দকারের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল সালমানের। এফডিসিতে তাঁকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন বাদল। রাতে সালমান ও সামিরার সঙ্গে একই গাড়িতে তিনিও যান নায়কের বাসায়।
বাসায় গিয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করেন নায়ক। শাবনূরের সঙ্গে আর কোনো সিনেমা করবেন না জানিয়ে বাদল খন্দকারের সামনেই কন্ট্রাক্ট পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। শাবনূরকে কেন্দ্র করে তখনো সালমান-সামিরার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। দুজনকে বুঝিয়ে, শান্ত থাকতে বলে চলে যান বাদল। রাতে কয়েকবার শাবনূরের কল আসে সালমানের মোবাইলে। প্রতিবারই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শাবনূরকে জানিয়ে দেন তাঁকে আর কল না করতে। এ পরিস্থিতিতে সামিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে ব্যক্তিগত সহকারী আবুলকে পাঠিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। রাগ করে শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যান ও মোবাইল ফোন মেঝেতে আছড়ে ভেঙে ফেলেন সালমান।
সালমান-সামিরার জীবনে শাবনূরের আগমন ছিল অনেকটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো। যে ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়েছিল তাঁদের সুখের সংসার। দিনে দিনে সালমান-শাবনূর জুটি যত জনপ্রিয় হচ্ছিল, ততই ফিকে হচ্ছিল সালমান-সামিরার সম্পর্ক। অথচ ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিকটাও। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই ছেলের এ সম্পর্কে মত ছিল না নীলা চৌধুরীর। তবে সামিরাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন একরোখা-জেদি স্বভাবের সালমান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৯২ সালের নভেম্বরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগপর্যন্ত ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
সালমানের মৃত্যুর পর তাঁর গৃহকর্মী জরিনা বেগম আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সালমান-সামিরা-শাবনূরের ত্রিভুজ সম্পর্কের বিষয়টি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন শাবনূর। নায়কের স্ত্রী এটা ভালোভাবে নিতেন না। ফলে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায়ও দু্ই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন শাবনূর। একদিন সারা রাত ছিলেন, আরেক দিন বের হন রাত ১২টার দিকে। ফিরে এসে সেটা জানতে পারেন সালমানের স্ত্রী।
সামিরা ও শাবনূর—দুজনকেই ভালোবাসতেন সালমান। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেও রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সামিরার আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এই জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি সালমান শাহ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সালমান। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে শাবনূরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ভারত সফরে। সামিরা তখন চট্টগ্রামে।
চলবে...

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। সামিরা টিভি দেখছিলেন। সালমান একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। শেষবারের মতো স্ত্রীকে দেখে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সকাল। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে স্বপ্নের নায়কের আকস্মিক বিদায়ের খবর।
এর আগের রাতটা খুব অস্থির কেটেছে। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট বলছে, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে উত্তরায় শুটিং করেছেন সালমান। সন্ধ্যার দিকে যান এফডিসিতে। ফোন করে স্ত্রী সামিরাকেও যেতে বলেছিলেন সেখানে। সামিরা গিয়ে দেখেন, স্টুডিওতে ডাবিং চলছে। আর ভেতরে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন সালমান ও শাবনূর। এ দৃশ্য দেখে রাগ করে বাইরে চলে আসেন সামিরা। পরদিন বাদল খন্দকারের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল সালমানের। এফডিসিতে তাঁকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন বাদল। রাতে সালমান ও সামিরার সঙ্গে একই গাড়িতে তিনিও যান নায়কের বাসায়।
বাসায় গিয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করেন নায়ক। শাবনূরের সঙ্গে আর কোনো সিনেমা করবেন না জানিয়ে বাদল খন্দকারের সামনেই কন্ট্রাক্ট পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। শাবনূরকে কেন্দ্র করে তখনো সালমান-সামিরার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। দুজনকে বুঝিয়ে, শান্ত থাকতে বলে চলে যান বাদল। রাতে কয়েকবার শাবনূরের কল আসে সালমানের মোবাইলে। প্রতিবারই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শাবনূরকে জানিয়ে দেন তাঁকে আর কল না করতে। এ পরিস্থিতিতে সামিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে ব্যক্তিগত সহকারী আবুলকে পাঠিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। রাগ করে শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যান ও মোবাইল ফোন মেঝেতে আছড়ে ভেঙে ফেলেন সালমান।
সালমান-সামিরার জীবনে শাবনূরের আগমন ছিল অনেকটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো। যে ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়েছিল তাঁদের সুখের সংসার। দিনে দিনে সালমান-শাবনূর জুটি যত জনপ্রিয় হচ্ছিল, ততই ফিকে হচ্ছিল সালমান-সামিরার সম্পর্ক। অথচ ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিকটাও। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই ছেলের এ সম্পর্কে মত ছিল না নীলা চৌধুরীর। তবে সামিরাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন একরোখা-জেদি স্বভাবের সালমান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৯২ সালের নভেম্বরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগপর্যন্ত ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।
সালমানের মৃত্যুর পর তাঁর গৃহকর্মী জরিনা বেগম আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সালমান-সামিরা-শাবনূরের ত্রিভুজ সম্পর্কের বিষয়টি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন শাবনূর। নায়কের স্ত্রী এটা ভালোভাবে নিতেন না। ফলে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায়ও দু্ই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন শাবনূর। একদিন সারা রাত ছিলেন, আরেক দিন বের হন রাত ১২টার দিকে। ফিরে এসে সেটা জানতে পারেন সালমানের স্ত্রী।
সামিরা ও শাবনূর—দুজনকেই ভালোবাসতেন সালমান। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেও রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সামিরার আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এই জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি সালমান শাহ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সালমান। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে শাবনূরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ভারত সফরে। সামিরা তখন চট্টগ্রামে।
চলবে...

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে