বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বাসেডর টক ‘গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ: ফিলিস্তিনিদের চোখে শান্তির সংজ্ঞা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিপিএস মূলত জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি ও সংঘর্ষ নিয়ে কাজ করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধ্যানধারণা জানার লক্ষ্যে অ্যাম্বাসেডর টকের আয়োজন করে। গাজায় সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোচনা ফিলিস্তিনের ভাষ্যমতে তার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং শান্তির বিভিন্ন সম্ভাব্য দিক তুলে ধরেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং সিপিএসের সদস্য ইশরাত জাকিয়া সুলতানা এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সিপিএসের সদস্য প্রফেসর নোভা আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আওয়াজ তুলে ধরার এখনই সময়। আমাদের আওয়াজ সামান্য মনে হলেও সম্মিলিতভাবে তা অনেক প্রভাব ফেলতে পারবে।’
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বাংলাদেশিদের এই সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তো তাঁদের জন্মস্থান নিজেরা নিজেরা নির্ধারণ করেননি, অন্য সাধারণ মানুষদের মতো তাঁরা মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছে।
আমাদের মতো বাংলাদেশিরাও ১৯৭১-এ এই সংগ্রাম করেছিলেন, তবে তাঁরা এই সংগ্রামে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং আপনারা স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন।’
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের অধিকাংশ সময় মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে শেখানোর প্রচেষ্টা চালায়। তবে যেখানে তাঁরা বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের সুযোগ দেয়, সেখানে তাঁদের এই শেখানোর অধিকার নেই বলে আমার বিশ্বাস। আমেরিকার শিক্ষার্থীরা গাজায় এই চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো গাজার এই সহিংসতা এই শিক্ষার্থীরাই থামাতে পারবে।’
‘ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। তবে অতীতে কোনো মিডিয়া না থাকায় তাদের এই দুঃখ দুর্বিষহ অবস্থার কথা কেউ জানতে পারত না, কোনো ডকুমেন্ট হিসেবে থাকত না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মারফতে এখন সবাই এই গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী।’ উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘পণ্য বয়কট অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই পণ্যগুলো থেকে আসা লভ্যাংশ থেকে বুলেট ও অন্য যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ এই পণ্যগুলো বয়কট করার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (আইসি) এবং ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুর রব খান। তিনি বক্তব্যে সবাই যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সমব্যথী তা তুলে ধরে এই অন্যায়ের যোগ্য বিচার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘গতিবেগের শুরুতে আমরা বিশ্বাস করি, কিছু না কিছু এখন ঘটছেই। বলতে গেলে এখন আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যেই আছি।’
রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫০টি আসনের আর্জি নিয়ে দেশের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪০০ আসন এবং বৃত্তি ও ভাতার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের একাত্মতার একটি দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বাসেডর টক ‘গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ: ফিলিস্তিনিদের চোখে শান্তির সংজ্ঞা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিপিএস মূলত জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি ও সংঘর্ষ নিয়ে কাজ করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধ্যানধারণা জানার লক্ষ্যে অ্যাম্বাসেডর টকের আয়োজন করে। গাজায় সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোচনা ফিলিস্তিনের ভাষ্যমতে তার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং শান্তির বিভিন্ন সম্ভাব্য দিক তুলে ধরেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং সিপিএসের সদস্য ইশরাত জাকিয়া সুলতানা এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সিপিএসের সদস্য প্রফেসর নোভা আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আওয়াজ তুলে ধরার এখনই সময়। আমাদের আওয়াজ সামান্য মনে হলেও সম্মিলিতভাবে তা অনেক প্রভাব ফেলতে পারবে।’
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বাংলাদেশিদের এই সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তো তাঁদের জন্মস্থান নিজেরা নিজেরা নির্ধারণ করেননি, অন্য সাধারণ মানুষদের মতো তাঁরা মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছে।
আমাদের মতো বাংলাদেশিরাও ১৯৭১-এ এই সংগ্রাম করেছিলেন, তবে তাঁরা এই সংগ্রামে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং আপনারা স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন।’
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের অধিকাংশ সময় মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে শেখানোর প্রচেষ্টা চালায়। তবে যেখানে তাঁরা বর্ণ বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের সুযোগ দেয়, সেখানে তাঁদের এই শেখানোর অধিকার নেই বলে আমার বিশ্বাস। আমেরিকার শিক্ষার্থীরা গাজায় এই চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো গাজার এই সহিংসতা এই শিক্ষার্থীরাই থামাতে পারবে।’
‘ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। তবে অতীতে কোনো মিডিয়া না থাকায় তাদের এই দুঃখ দুর্বিষহ অবস্থার কথা কেউ জানতে পারত না, কোনো ডকুমেন্ট হিসেবে থাকত না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মারফতে এখন সবাই এই গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী।’ উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘পণ্য বয়কট অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই পণ্যগুলো থেকে আসা লভ্যাংশ থেকে বুলেট ও অন্য যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ এই পণ্যগুলো বয়কট করার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (আইসি) এবং ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুর রব খান। তিনি বক্তব্যে সবাই যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সমব্যথী তা তুলে ধরে এই অন্যায়ের যোগ্য বিচার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘গতিবেগের শুরুতে আমরা বিশ্বাস করি, কিছু না কিছু এখন ঘটছেই। বলতে গেলে এখন আমরা এই পরিস্থিতির মধ্যেই আছি।’
রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫০টি আসনের আর্জি নিয়ে দেশের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪০০ আসন এবং বৃত্তি ও ভাতার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের একাত্মতার একটি দৃষ্টান্ত।
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে