নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৭৩ সালের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচন বানচালের উদ্দেশে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল; গুলিবর্ষণ, বোমাবর্ষণ হয়েছিল। পরে প্রশাসন ওই ডাকসু নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করে। আজকেও ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গভীর ষড়যন্ত্র এবং বৃহৎ এক রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।
‘সেনাবাহিনী মোতায়েনে ভীতি, আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া বা নির্বিকার-নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করা, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র ও নারী শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ ভোটারদের নিরুৎসাহিত করছে নির্বাচন কমিশন।’
ডাকসুর এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘ভোটারদের আগ্রহ ও অনুকূল পরিবেশ অনুযায়ী, সুবিধা অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যে প্রস্তাব দিচ্ছি, ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে তার বিপরীত কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ কোনো গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে তারা।’
১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন কীভাবে বানচাল করা হয়, সে সম্পর্কে পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে বলা হয়, ‘গতকাল ডাকসু ও হল ইউনিটসমূহের নির্বাচনে ভোটদান পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হইলেও সন্ধ্যার পর ভোট গণনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহারে শঙ্কিত হইয়া ওঠে। রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল ব্যতীত অন্যান্য হলের অধিকাংশ ব্যালট বাক্স অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করা হয়। তবে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট বাক্সগুলি ভোট গ্রহণের পরপরই কড়া প্রহরাধীনে কলাভবনে আনয়ন করার ফলে ব্যালট বাক্সগুলি অপহৃত হয় নাই। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, ডাকসুর ভোট গণনা স্থগিত রাখা হইয়াছে।’
‘গতকালের এই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন) ও আ স ম আবদুর রব-সমর্থিত জাসদ ছাত্রলীগ পরস্পর পরস্পরকে দায়ী করিয়াছে। রাত্রি সাড়ে ১২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গোলাগুলি চলিতেছে এবং চরম উত্তেজনা বিরাজ করিতেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরই হল ছাড়িতে শুরু করে।’
খবরে আরও বলা হয়, ‘শামসুন্নাহার হলের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন) ১২টি আসনের মধ্যে সহ-সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদিকা পদসহ ৮টি পদে জয়লাভ করিয়াছে। অপর আসনগুলি লাভ করিয়াছে আ স ম আব্দুর রব-সমর্থিত ছাত্রলীগ।’
১৯৭৩ সালের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচন বানচালের উদ্দেশে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল; গুলিবর্ষণ, বোমাবর্ষণ হয়েছিল। পরে প্রশাসন ওই ডাকসু নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করে। আজকেও ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গভীর ষড়যন্ত্র এবং বৃহৎ এক রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।
‘সেনাবাহিনী মোতায়েনে ভীতি, আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া বা নির্বিকার-নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করা, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র ও নারী শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ ভোটারদের নিরুৎসাহিত করছে নির্বাচন কমিশন।’
ডাকসুর এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘ভোটারদের আগ্রহ ও অনুকূল পরিবেশ অনুযায়ী, সুবিধা অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যে প্রস্তাব দিচ্ছি, ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে তার বিপরীত কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ কোনো গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে তারা।’
১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন কীভাবে বানচাল করা হয়, সে সম্পর্কে পরদিন দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে বলা হয়, ‘গতকাল ডাকসু ও হল ইউনিটসমূহের নির্বাচনে ভোটদান পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হইলেও সন্ধ্যার পর ভোট গণনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্যবহারে শঙ্কিত হইয়া ওঠে। রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল ব্যতীত অন্যান্য হলের অধিকাংশ ব্যালট বাক্স অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করা হয়। তবে ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট বাক্সগুলি ভোট গ্রহণের পরপরই কড়া প্রহরাধীনে কলাভবনে আনয়ন করার ফলে ব্যালট বাক্সগুলি অপহৃত হয় নাই। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, ডাকসুর ভোট গণনা স্থগিত রাখা হইয়াছে।’
‘গতকালের এই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন) ও আ স ম আবদুর রব-সমর্থিত জাসদ ছাত্রলীগ পরস্পর পরস্পরকে দায়ী করিয়াছে। রাত্রি সাড়ে ১২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গোলাগুলি চলিতেছে এবং চরম উত্তেজনা বিরাজ করিতেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরই হল ছাড়িতে শুরু করে।’
খবরে আরও বলা হয়, ‘শামসুন্নাহার হলের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন) ১২টি আসনের মধ্যে সহ-সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদিকা পদসহ ৮টি পদে জয়লাভ করিয়াছে। অপর আসনগুলি লাভ করিয়াছে আ স ম আব্দুর রব-সমর্থিত ছাত্রলীগ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার।
৮ ঘণ্টা আগেঘটনাবহুল প্রচার পর্ব শেষের দিকে। আর কয়েক দিন পরই (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ছাত্রসংগঠনগুলো সংবাদ সম্মেলন, অনলাইন প্রচার ও জনসংযোগসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে। প্রচারের এ পর্যায়ে এসে চলছে নারী ভোটারদের মন জয়ে দৌড়ঝাঁপ। বিশেষ করে...
২১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর (জোবরা) মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় তিন দিন বাড়িয়ে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে চূড়ান্ত তালিকা পূর্বনির্ধারিত সময়েই...
১ দিন আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক
১ দিন আগে